কোন আটা ভালো ? রুটি খেলে ওজন কমে !! আটায় তৈরি খাবার ক্ষতিকর ? Say no to foods made from flour. Jesus 1 story

কোন আটা ভালো
কোন আটা ভালো
লাল আটা নাকি সাদা আটা ? যদি বলি আটার তৈরি খাবার খাওয়াই যাবেনা। কেন খাওয়া যাবেনা ? সুস্থ থাকতে আমাদের জানতে হবে। কারন প্রতিদিন আমারা গমের তৈরি খাবারই বেশি খাই। তাই বিষয় টা ক্লিয়ার হওয়া দরকার।
ওজন কমানো নিয়ে একটি গল্প আছে।
গল্প টা হল
এক ভদ্রলোকের শরীরের ওজন বেড়েই চলছিল। তিনি গেলেন ডাক্তারের কাছে।
ওজন কিভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে ডাক্তারের সাহায্য কামনা করলেন।
ডাক্তার সব পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন, ঔষধ দিলেন, আরও বললেন এখন থেকে তিন বেলা রুটি খাবেন।
ভদ্রলোক বললেন, স্যার রুটি কি খাওয়ার আগে খাব নাকি পরে খাব ?
আটা

আমরা কি খাই

মাছে ভাতে বাঙালির রুটি বিষয়ক ধারনা টা এমনই ছিল। এখন সময় টা বদলেছে। নাস্তার টেবিলে যদি রুটি, পরোটা সাথে ডিম ডাল থাকে তাহলে নাস্তা টা হয় জোস।
দুপুরে লাঞ্চের পূর্বে হাল্কা নাস্তায় থাকতে পারে, বিস্কুট, সিঙ্গারা, সমুচা বা এজাতীয় কিছু।
বিকেলের নাস্তায় থাকতে পারে স্যান্ডউইচ, কেক, পেস্ট্রি, আরও আটা বা ময়দায় তৈরি কত সুস্বাদু খাবার। সত্যিই খাবার গুলো মুখরোচক, যারা খান তারা বার বার খান।

আটা ও ময়দার মধ্যে পার্থক্য কী 

দুটোই গম থেকে আসে। আটা এবং ময়দা বানানোর প্রক্রিয়া আসলে ভিন্ন। গম পিষে তৈরি করা হয় আটা। এতে গমের বীজের সঙ্গে তার খোসাও পিষে ফেলা হয়। এ কারণে আটার রং অনেকটা বাদামী হয়।
কিন্তু ময়দা বানাতে আটাকে পরিশোধিত করা হয়। আলাদা করা হয় খোসা। এ কাজটি কয়েক দফা করলেই ময়দা পাওয়া যায়।
লাল বা সাদা আটা কোনটাই নয়
হোটেল রেস্টুরেন্টে , বেকারিতে যে খাবার গুলো তৈরি হয়, আশপাশে যে খাবার গুলো দেখতে পাই, তার শতকরা ৮০ ভাগ খাবার গম থেকে আসে।
আটা বা ময়দার তৈরি খাবারে আগের দিনে স্বাদ এত বেশি ছিল না, উৎপাদনও ছিল অনেক কম। ১৯৭০ সালের পর থেকে উৎপাদন পূর্বের থেকে প্রায় ১০ গুন বাড়ে, স্বাদও বেড়ে যায় বহুগুন।
যিনি এই ম্যাজিক যিনি টি সম্পন্ন করেন তার নাম Dr Norman Ernest Borlaug
তিনি একজন আমেরিকান।

জেনে নিন – পিনাট বাটার তৈরির রেসিপি।

আটা

তিনি গম নিয়ে কোন কাজটি করেন ?
Norman Ernest Borlaug গমের জিন কে পরিবর্তন করে দেন। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড এই গমের ফলন বেড়ে যায়, স্বাদও বেড়ে যায়, একারনে তাকে ১৯৭০ সালে তাঁকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়।
আর মানুষের সাস্থ্যের সমস্যা এখান থেকেই শুরু হয়। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড খাবার আজকের যত সব রোগ, যেমন স্ট্রোক, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ আরও অনেক। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড আটা বা ময়দায় তৈরি খাবারে মানব দেহে প্রদাহের তৈরি করে। প্রদাহের ফলে হয় স্ট্রোক। এই আটা বা ময়দায় আরও আছে অসাস্থ্যকর Gluten।
এখন দেখা যায় ২০ বছর বয়সী যুবকও স্ট্রোকে মারা যায়, চিকন মানুষের হার্ট এ্যাটাক হয়, মোটা মানুষের তো কথা তো সবাই জানি !
এর থেকে পরিত্রান পেতে নন জি এম ও খাবার টাই আমাদের খেতে হবে।
হেলদি লাইফ স্টাইল বজায় রাখতে হবে। তাহলেই আমরা সুস্থ থাকতে পারব।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন লাল বা সাদা গমের তৈরি কোনটাই সাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আরও কোন কিছু জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।
আটা
লাল আটা ওজন কমায় 
হোক সেটা লাল অথবা সাদা। এরা ওজন কমায় না। বরং ওজন বাড়ায়। কারন সাদা চালের ভাতের চেয়েও আটা বা ময়দার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি।

এ বিষয়ে কি যীশু কিছু বলেছেন ?

যীশু তার সামনে থাকা টেবিলের দিকে তাকালেন। ভাবতে লাগলেন, দুনিয়া পথ চলতে কোনটা সবচেয়ে ভালো হবে। টেবিলে ছিল গ্যালিলির ডালিম, দক্ষিনের মরুভুমির মসলা, সিরিয়ার শুকনো ফল ও মিসরের খেজুর। তাকে অবশ্যই এগুলোর কোন একটির উপর হাত রেখে সেটিকে পবিত্র করতেই হবে।
এমন সময় সব জায়গার সব মানুষের জন্য তিনি যে বার্তা বয়ে এনেছিলেন, সে কথা মনে পরে গেল। সম্ভবত ডালিম ও খেজুর পৃথিবীর সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তিনি ভাবতে লাগলেন।
এবার তার মধ্যে দ্বিতীয় ভাবনা এল। ডালিম, খেজুর এবং ফলে মানুষের কোন হস্তক্ষেপ ছাড়াই সৃষ্টির অলৌকিকত্ব প্রকাশিত হয়। তাই তিনি রুটিই বেছে নিলেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি এটি ছিঁড়লেন। তার শিষ্যদের বললেন – তোমরা সবাই নাও এবং খাও। কারন এটি হল আমার দেহ।
রুটি সব জায়গায় পাওয়া যায়। রুটি কিন্ত খেজুর, ডালিম ও সিরিয়ার ফলের মত নয়। রুটি হল ঈশ্বরের দিকে যাওয়া পথের সেরা প্রতীক। রুটি হল দুনিয়া এবং মানুষের শ্রমের ফসল।
আটা
আমরা আগেই জানতে পেরেছি, গমের জিনের পরিবর্তন ঘটেছে। যিশুর সময়কার সেই গমও নেই, রুটিও নেই।
সেলিম হোসেন – ২৬/০১/২০২৪ ইং
Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *