ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ৮ টি কারন। রাতে ভালো ঘুমের সর্বনাশ। 8 reasons for frequent urination at night – the bane of good sleep.

ঘন ঘন প্রস্রাব
রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারন কি 
ভালো ঘুমের সর্বনাশ।
রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব এর চাপ। বিছানা ছেড়ে উঠলে মেজাজ বিগড়ে যায়, খুব অসহায় লাগে। ঘুম ভালো হয় না। রাতে বার বার ঘুম থেকে উঠে মূত্রত্যাগের এ রোগের নাম নকটারিয়া। নকটারিয়ার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, রাতে ঘুম ভেঙে অন্তত দুই বার প্রস্রাব করার জন্য যদি কাউকে উঠতে হয়, তাহলে তিনি এ রোগে আক্রান্ত।
ঘন ঘন প্রস্রাব

বয়স্ক মানুষেরা এ সমস্যায় বেশি ভুগেন। এক হিসাব অনুযায়ী ৭০+ বয়সের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনই এই সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া আবহাওয়া এবং সামাজিক অবস্থান কারন হতে পারে। গর্ভবতী নারীরাও এই সমস্যায় পড়েন অনেক সময়ই। তবে কম বয়সীরাও এতে আক্রান্ত হতে পারেন।  

ঘন ঘন প্রস্রাবের কারন 
সাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে এর প্রধান কারন শরীরে অধিক মাত্রায় ইনসুলিন রিলিজ হওয়া।
এড্রিনাল হরমোন আমাদের প্রস্রাব আটকে রাখতে সহায়তা করে। যদি শরীরে ইনসুলিন বেশি নিঃসৃত হয় তাহলে এড্রিনাল হরমোন বাধাগ্রস্ত হয়, প্রস্রাব ঘন ঘন হয়।
১. ডায়াবেটিস রোগীরা এ বিষয়ে বেশ কষ্ট পান কারন তাদের রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিন বেশি থাকে।
আরও যে কারনে প্রস্রাব ঘন ঘন হতে পারে
২. শরীর খুব ক্লান্ত থাকলে এমন টা হতে পারে।
৩. কেক বিস্কুট চানাচুর মিষ্টি কোল্ড ড্রিংকস এ জাতীয় খাবার খেয়ে বিছানায় গেলে।
৪. অনেক মানসিক চাপ নিয়ে বিছানায় গেলে তখন শরীরে করটিসল নিঃসৃত হয় তখন এমন টা হতে পারে।
৫. ঘুমানোর আগে বেশি পানি খেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
৬. প্রোস্টেট সমস্যা থাকলে এমন টা হতে পারে। যেমন Benign Prostatic Hyperplasia (BPH), যা মূত্রথলিতে চাপ ফেলে।
৭. মুত্রথলি বেশি সক্রিয় হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
৮. যেসব ঔষধ শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। যেমন – ডায়াবেটিকের ঔষধ, উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ।
এ সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে
রাত ৮ টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করুন, এরপর আর কোন কিছুই খাবেন না।
প্রতিদিন হেলদি ন্যাচারাল খাবার গুলো খান, যেখানে শর্করা থাকবে পরিমানে খুবই কম। অর্থাৎ আমাদের নির্দেশিত খাবার গুলোই খান।
প্রতিদিন দুই মিল খাবার খান, একটা বড় সময় ফাস্টিং করুন।
আশাকরি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

ঘন ঘন প্রস্রাব

সেলিম হোসেন – ২৬/০১/২০২৪ ইং

Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *