পালং শাক এবং ডিমের রেসিপি। ওজন কমাতে দারুন কার্যকর। জেনে নিন ৩ টি রেসিপি। Know 3 recipes

পালং শাক
পালং শাক এর পুষ্টি গুন

এক কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার ২০% পূরণ করে। এতে আছে ভিটামিন ‘এ ’ও ‘কে। আরও আছে  প্রোটিন, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘ই’, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলো খুবই জরুরি।

এর পাতার আকার ২-৩০ সেমি লম্বা ও ১-১৫ সেমি চওড়া হতে পারে। গাছের গোড়ার দিকের পাতাগুলো বড় বড় এবং উপরের দিকের পাতাগুলো ছোট হয়। এর ফুল হলদেটে সাদা, ৩-৪ মিমি ব্যাসবিশিষ্ট হয়। এর ফল ছোট, শক্ত, দানাকৃতির ও গুচ্ছাকার। ফলের আকার আড়াআড়ি ৫-১০ মিমি; একটি ফলে বেশ কয়েকটি বীজ থাকে।

জেনে নিন আরও বিস্তারিত এই পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে।

পালং শাক

পালং শাক খাওয়া উচিত নয় কেন 
কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবনতা আছে। আপনি এই শাক অল্প পরিমান খাবেন। একশ গ্রাম শাকে থাকে  অক্সালিক অ্যাসিড থাকে ৬৫২ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মি. গ্রাম। পটাসিয়ামও বেশি থাকে। তাই এটা আপনি নাও খেতে পারেন। যারা ইতিমধ্যে কিডনি রোগে আক্রান্ত তারা খাবেন না। পালং শাক রান্নার রেসিপি সাথে ডিম। চারটে ডিম দিয়ে রান্না করলে একজনের জন্য এক বেলার পরিপূর্ণ খাবার হবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ ঃ

ডিম ৪ টা, শাক এক মুঠো, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, কাচা মরিচ, ঘি এবং গোল মরিচের গুড়ো।

ডিম গুলো ভেঙে কুসুম আস্ত সহ প্লেটে রাখুন। শাক ছোট বা বড় করে কাটতে পারেন। চুলায় কড়াই তুলে দিন। কড়াই গরম হলে পরিমান অনুযায়ী ঘি ঢেলে দিন। ঘি গরম হলে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি ছেড়ে দিন। ২ মিনিট নাড়ুন। কাঁচা মরিচ ছেড়ে দিন।  লবন দিন। এরপর  শাক ছেড়ে দিন। নাড়তে থাকুন। শাক কিছুটা সিদ্ধ হয়ে এলে এর উপর ডিম গুলো ছেড়ে দিন। ডিমের উপর হাল্কা করে লবন ছিটিয়ে দিন। স্বাদ বাড়বে। কড়াই ঢেকে দিন। কুসুম নরম থাকতেই নামিয়ে ফেলুন। এবার তৈরি আপনার একটি সাস্থ্যকর একবেলার খাবার। পালং শাক এবং ডিমের রেসিপি সবাইকে শেয়ার করুন।

জেনে নিন – দ্রুত এবং সহজে ওজন কমানোর উপায়।

পালং শাক

পালং শাকের আরও রেসিপি 
প্রয়োজনীয় উপকরণ:পালং শাক- ১ আঁটি (মোটা কুচি)
মসুরের ডাল- আধা কাপ
কাঁচামরিচ- ২টি আস্ত, পেঁয়াজ কুচি- ১ টেবিল চামচ
রসুন কুচি- ১ টেবিল চামচ
শুকনা মরিচ- ২টি
তেজপাতা- ১টি
লবণ- স্বাদ মতো
মরিচ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
ধনে গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
পাঁচফোড়ন- আধা চা চামচ
তেল- ২ টেবিল চামচ
পালং শাক
 
প্রস্তুত প্রণালি:
৩০ মিনিট ডাল ভিজিয়ে রাখুন পানিতে। এবার ডাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। পাতিল পানি নিয়ে চুলায় দিন। বলক আসলে ডাল ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে দিন। ডাল সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আধা ঘণ্টা পর হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নিন। পালং শাক কুচি দিয়ে ঢেকে দিন পাত্র। ২ মিনিট পর দেখুন শাক সেদ্ধ হয়েছে কিনা।
সেদ্ধ হয়ে গেলে টমেটোর টুকরা দিয়ে নেড়ে পাতিল নামিয়ে নিন।তেল গরম করুন চুলায় আরেকটি কড়াই দিয়ে। এবার পাঁচফোড়ন দিয়ে নাড়তে থাকুন। ফেনা উঠলে শুকনা মরিচ ও তেজপাতা দিয়ে দিন। পেঁয়াজ কুচি দিয়ে লাল না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ লাল হয়ে গেলে রসুন কুচি দিয়ে দিন। সেদ্ধ করা পালং শাক থেকে খানিকটা অংশ দিয়ে দিন বাগারের কড়াইয়ে।সুন্দর গন্ধ বের হলে কড়াইয়ের মিশ্রণ পালং শাক ও ডালের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলা বন্ধ করে দিন। ২ মিনিট পর গরম গরম পরিবেশন করুন ডাল দিয়ে পালং শাক।
পালং শাক চিংড়ি দিয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ

* চিংড়ি এক কাপ
* পালং শাক প্রয়োজনমতো
* তেল পরিমাণমতো
* সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ
* রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ
* পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ
* কাঁচা মরিচ ৩টি
* লবণ স্বাদমতো ও
* ধনেপাতা এক কাপ।

পদ্ধতি

চিংড়ি মাছে হলুদ ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এবারে ভেজে নিন। এরপর প্যানে তেল গরম করে একে একে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ ভেজে নিন।

এরপর মিশিয়ে দিন পালং শাক। সামান্য লবণ দিতে ভুলবেন না। কিছুক্ষণ ঢেকে রান্না করুন। এই শাক খুব তারাতারি সিদ্ধ হয়। শাক সেদ্ধ হলে চিংড়ি মিশিয়ে ভাজা ভাজা করুন। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে পরিবেশন করুন মজাদার পালং চিংড়ি। গরম ভাতের সঙ্গে পালং চিংড়ি বেশ মানিয়ে যায়।

পাইলসের ন্যাচারাল মহা ঔষধ নারিকেল তেল। 

পালং শাক

সেলিম হোসেন – ০১/০২/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী

Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *