সুস্থতা ফিটনেস প্রোবায়োটিক। প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার কোন গুলো ? Probiotics in wellness fitness

সুস্থতা ফিটনেস
সুস্থতা ফিটনেসে প্রোবায়োটিক
সুস্থতা আল্লাহর বড় নেয়ামত। সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করুন। আরও কি করবেন, খাবেন প্রোবায়োটিক ? কোথায় পাব প্রোবায়োটিক ? সেটাই আমরা জানব।
আমরা যে খাবারই গ্রহণ করি না কেন, এর সাথে রোগ জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ঢুকবেই।
আমরা যে খাবার গুলো গ্রহন করি, এর থেকে পুষ্টি তখনই নিশ্চিত হয়, যখন আমাদের পেটের ভিতর ভালো ব্যাকটেরিয়ার অবস্থান সুসংহত থাকে। পেটে খারাপ ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকলে, পেট খারাপ হয়, খাবার হজম হয় না।
শরীর পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে, আমরা বিভিন্ন রকম রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারি।

সুস্থতা ফিটনেস

২০ শতকের গোড়ার দিকে রাশিয়ান নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী এলি মেচনিকফ এক আশ্চর্য বিষয় আবিষ্কার করেছিলেন।
তিনি লক্ষ করেছিলেন অত্যন্ত দারিদ্র এবং খারাপ আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করেও বুলগেরিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের একদল ব্যবসায়ী বহুদিন পর্যন্ত সুস্থ শরীরে জীবনযাপন করছেন।
কীভাবে তা সম্ভব!
বিষয়টা তাঁকে ভাবিয়েছিল।
তিনি এদের জীবন যাত্রা পর্যবেক্ষণ শুরু করলেন। তিনি দেখলেন, যে তারা যতটুকুই খাদ্য গ্রহন করুন, সঙ্গে টক দই রাখাটা প্রায় বাধ্যতামূলক।
তিনি এরপর নিজেও বেশ কয়েকদিন যাবত খাদ্যতালিকায় টক দই রাখতে শুরু করলেন। ফলও পেলেন হাতে নাতে। সমগ্র পরীক্ষা থেকে তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন—অন্ত্রের মধ্যে ভালো ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ করিয়ে সুস্বাস্থ্য গঠন করা সম্ভব।
সেইথেকে আধুনিক প্রোবায়োটিক নিয়ে ধারণার যাত্রা শুরু। এরপর বহু গবেষণায় প্রোবায়োটিকের ভালো দিকগুলি বেরিয়ে এসেছে।
তবে প্রোবায়োটিক এর সবচেয়ে সেরা উৎস হচ্ছে জাপান এবং কোরিয়ান দের খাবার “কিমচি”। জার্মান এবং রাশিয়ান দের খাবার  “সাওয়ারক্রাউট”।

সুস্থতা ফিটনেস

এছাড়া দইয়ের ঘোল, ডার্ক চকোলেট, গ্রিন অলিভ, চিজ ইত্যাদিতেও প্রোবায়োটিক থাকে।
যদি কোন বড় ধরনের অসুস্থতা না থাকে, তাহলে ফার্মেসি থেকে কিনেও প্রোবায়োটিক খেতে পারেন।
অসুস্থতা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

সুস্থতা ফিটনেস

আমরা অন্যের সুস্থতার জন্য দোয়া করি। মা বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া করি। সুস্থতা কামনা করে স্ট্যাটাস দেই। এটা ভালো কাজ। পাশাপাশি সবাইকে বলব সুস্থতা ফিটনেসে প্রোবায়োটিক খাবেন।

সেলিম হোসেন – ২৮/০১/২০২৪ ইং

Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *