ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির। যেভাবে দেশের সেরা জনপ্রিয় ডাঃ হলেন। ঘি নিয়ে জরিমানার গল্প !! The story of the unsealed drum.

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির

ওজন বেড়ে যাওয়া দারুন সমস্যায় ছিল দেশের মানুষ। সাথে দীর্ঘমেয়াদি রোগ বেড়েই চলছিল। নানান রকম ঔষধ খেয়ে প্রতারনার শিকার হচ্ছিলেন দেশবাসী। ঠিক এমন সময় ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির তার ভিডিও কন্টেন্ট গুলো শুরু করেন ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সাল থেকে। প্রথম দিকে এ্যাজমা বিষয়ক ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতেন।

এরপর ওজন কমানোর এক নতুন নিয়মের সাথে আমাদের কে পরিচিত করেন। যার ডাকনাম ‘ কিটো’। ধীরে ধীরে মানুষ তার বক্তব্যে প্রভাবিত হন। যারাই নিয়ম ফলো করেন তাদেরই অযাচিত ওজন কমতে থাকে। অবাক ব্যাপার, ডায়াবেটিস মুক্ত হতে থাকেন ঔষধ ছাড়া। অন্যান্য রোগ গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন। শুরু হয় দেশব্যাপি এক নতুন আলোড়ন। রোষানলে পড়েন এক শ্রেণির ঔষধ ব্যবসায়ী ডাক্তারদের।

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির

কে এই ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির

ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির একজন ফ্যামিলি মেডিসিন ডায়াবেটিস এ্যাজমা এবং শ্বাস রোগ বিশেষজ্ঞ। ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৪ সালে বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানায়। তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। তিনি প্রাইমারীতে পড়াশুনা করছেন নিজ গ্রামের স্কুলে। ছোট বেলায় খুব দুষ্ট প্রকৃতির ছিলেন। পড়াশুনায় ছিলেন অমনোযোগী। তাই পড়াশুনার জন্য তাকে পরিবারের সাথে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তথ্য গুলো তিনি নিজেই শেয়ার করেছেন এক ভিডিও পডকাস্টে।

১৯৯০ সালের শহীদ রমিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন । ১৯৯২ সালে তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় স্টার মার্কস সহ উত্তীর্ণ হন। তারপর ১৯৯৩ সালে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। কিন্ত ১৯৯৪ সালে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির

২০০০ সালে তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে এমবিবিএস কোর্সটি সম্পন্ন করেন। পরবর্তী বছর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেন । কর্মজীবনের শুরুতে ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির ফেনীর দাগনভূঁইয়ার ন্যাশনাল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার পরে দায়িত্ব পালন করেছেন । সেখানে নিযুক্ত ছিলেন ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত। সেখান থেকেই আলট্রাসনোগ্রাফির উপর একটি কোষ সম্পূর্ণ করেন । তার পরের বছর পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।

ইতিহাসে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির 

করোনা পূর্বকালেই ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বমুখী হয়। এরপর তা আকাশ ছুয়ে যায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি হয়ে পড়েন সবচেয়ে জনপ্রিয় ডাক্তার। জনপ্রিয়তায় তার ধারে কাছে কেউ নেই। আজ থেকে ৫০ পঞ্চাশ বছর পর যখন এদেশের ইতিহাস লেখা হবে। সেই ইতিহাসে একজন মানবদরদী ডাক্তার হিসেবে তার নাম জ্বলজ্বল করবে।

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির এর চেম্বার 

JK Lifestyle limited, নূর টাওয়ার, ব্লক-ডি বাসা নং-২৯/৩১, রোড নং- ০১, সেক্টর- ০২, জহুরুল হক সিটি, আফতাবনগর মেইন রোড, বাড্ডা, ঢাকা ১২১২. এখানে ডাক্তার প্রতিদিন বিনামুল্যে ১০০ জন রোগী দেখেন। প্রতিদিন এখানে লাইভ একটি লেকচার দেন রোগীদের সামনে। এই বিল্ডিঙেই রয়েছে তার আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান। JK fitness arena, JK food arena and Ultimate organic life, product shop.

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির এর জরিমানা 
সিল বিহীন ড্রামের গল্প। ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির ধরা খেয়েছেন। এমন হেড লাইন করেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। আসুন আমরা বিষয় টা কল্পনায় ডুব দেই।
ড্রামে থাকত ঘি, ক্রেতাদের মাঝে ঘি টা দারুন সুনাম কুড়িয়েছিল, তার খাটি মান আর স্বাদ দিয়ে।
হঠাৎ বিপত্তি ড্রামের বাড়িতে হাজির হন কর্তা বাবু, ড্রাম কে ঝাঁঝালো সব প্রশ্ন করতে থাকেন। ঘিয়ের মান, স্বাদ, মেয়াদকাল সব প্রশ্নে দারুনভাবে উত্তর দেয় ড্রাম টি। কর্তা বাবুর কপালে ঘাম, কর্তা বাবু নতুন প্রশ্ন করেন।
কর্তা বাবু ঃ তোমার গায়ে সিল কোথায় ?
ড্রাম ঃ আমি তো ধারণকৃত পাত্র, সিল আছে কৌটার গায়ে।
কর্তা বাবু ঃ তোমার গায়ে সিল থাকতে হবে।
তখন বাড়িওয়ালা সব কাগজ পত্র দেখালেন।
কর্তা বাবু ঃ এসব কাগজে হবে না। ড্রামের গায়ে সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
ড্রাম ঃ কর্তা বাবু
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির
শুনুন একটা ঘটনার কথা বলি। ৯০ সালের দিকে পত্রিকায় পড়েছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা এক ছেলে যাবে আমেরিকায়। ছেলেটি তার প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিল আমেরিকান দুতাবাসে। রাষ্ট্রদূত তাকে বললেন, তুমি অমুক বিষয়ে তথ্য নিয়ে দুই মাস পরে দেখা কর। তারিখ অনুযায়ী ছেলেটি কাগজ সহ দেখা করল। এবারে বলা হল আরেক বিষয়ে তথ্য নিয়ে তিন মাস পরে দেখা কর।
এভাবে ছেলেটি বিভিন্ন কাগজ সহ কয়েকবার দেখা করল। শেষ বার ছেলেটির কাছে যখন আরও একটি তথ্য চাওয়া হল। তখন ছেলেটি খুব বিরক্ত হল। তবে এবারও ছেলেটি দেখা করল, রাষ্ট্রদূতের সামনে কাগজ টি মেলে ধরল। রাষ্ট্রদূত অবাক হয়ে ডানে বাঁয়ে চোখ ঘুড়িয়ে এরপর ছেলেটির মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বললেন , তোমার ডেথ সার্টিফিকেট তুমি কিভাবে যোগার করলে, এটা কিভাবে সম্ভব !?

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির

কর্তা বাবু আপনি দেখেছেন তো, করোনাকালে আমাদের এক ডাক্তার আপু কিভাবে করোনার সার্টিফিকেট দিয়েছেন আমাদের কে।
কর্তা বাবু ঃ ওসব বুঝিনা, তোমার গায়ে সিল নাই, অতএব জরিমানা গুন।
ড্রাম ঃ কর্তা বাবু এই ছবি গুলো দেখুন, এই প্রতিটি খাবারেরই সার্টিফিকেট আছে, রাস্তার ধারেই ছোট বড় অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন, অনলাইনেও অর্ডার করতে পারবেন। অথচ খাবারগুলো সাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
কর্তা বাবু ঃ তুমি বেশি কথা বল, যেহেতু তোমার গায়ে সিল নাই, এর মানে হল তোমার বাবা মা নাই, অর্থাৎ সঠিক জন্ম পরিচয় নাই । তোমাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হল।
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির এবং ঘি 
ড্রাম ঃ কর্তা বাবু আমাদের ঘি আপনি এক কৌটা বাসায় নিতে পারেন, আপানার বাচ্চাদের জন্য খুবই সাস্থ্যকর হবে। প্যাক করে দিব ?
কর্তা বাবু ঃ তুমি আসলেই বেশি কথা বল।  রাবিস
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির এর সিল বিহীন ড্রামের গল্প। গল্প শেষ হল জরিমানা দিলেন মানুষের কল্যানে নিয়োজিত Dr Jahangir Kabir
লেখাটি কেমন লেগেছে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *