মলদোভা নামকরণ সম্পর্কে জানি –
মলদোভা নামটি মলদোভা নদীর নাম থেকে এসেছে। ১৩৫৯ সালে মলদাভিয়া রাজ্যের প্রতিষ্ঠার সময় নদীটির উপত্যকা রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল। কিন্ত নদীর নাম কিভাবে এল জানা যায় নি। মলদাভিয়ান ইতিহাসবিদ দিমিত্রিয়া কান্তেমির এবং গ্রিগোরে উরেকের বর্ণনা অনুযায়ী, রাজকুমার ড্রাগোস নদীটির নামকরণ করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে শিকারে বের হন রাজকুমার। সাথে ছিল শিকারি কুকুর, নাম মলদা (সেভা)। অরোক্স নামক একটি ষাঁড় কে ধাওয়া করে শিকারের জন্য কুকুর টি। ষাঁড়টি শিকার করতে সক্ষম হন রাজকুমার, কিন্ত কুকুর টি ক্লান্ত হয়ে পরে। ডুবে যায় নদিতে। অতঃপর, কুকুরটির নাম অনুসারে নদী থেকে শুরু করে রাজ্যের পর্যন্ত নামকরণ করা হয়।
১৯৯০ এর দশকে কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস প্রতিষ্ঠার সময় মলদোভার নামকে স্বল্প সময়ের জন্য মলদাভিয়া নামে বানান করা হত। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গনের পর দেশটি রোমানিয়ান নাম মলদোভা ব্যবহার করতে শুরু করে। বর্তমানে মলদোভা প্রজাতন্ত্র নামটি জাতিসংঘ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহৃত হয়। আজ এই দেশের একজন অসাধারন প্রেসিডেন্টের গল্প আমরা জানব।
ভুটানিজ মেয়েদের যে বিষয় টি আপনাকে অবাক করে দিবে।


বিপদে মলদোভা
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রেসিডেন্ট মায়া সানদু কয়েকবার অভিযোগ করেছেন রাশিয়া তার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে তার দেশের প্রবেশের আকাঙ্ক্ষা নস্যাৎ করে দিচ্ছে।
সানদু বলেন, কেউ কেউ চাইছে জিসিনাওতে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। যারা চাকরের মতো ক্রেমলিনের স্বার্থ রক্ষা করবে।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এবং বিফ স্টেক এর অবাক করা গল্প।
রাশিয়া অবশ্য চক্রান্ত করার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কথা– মলদোভার সরকার তাদের নিজেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে মনগড়া এসব গল্প সাজাচ্ছে।
দেশটি ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য নয়, কিন্তু গত বছর জুন মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একই দিনে ইউক্রেনের সঙ্গে এই ছোট দেশটিরও সদস্য পদের আবেদনপত্রও গ্রহণ করে। তার অর্থ— ইউরোপীয় এই জোটে ঢোকার পথ অনেকটাই খুলে গেছে দেশটির জন্য।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মায়া সানদু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন। ওই সময় বাইডেন মলদোভার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাহায্যের অঙ্গীকার করেন। ( ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ )
এখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় সবটাই আসত রাশিয়া থেকে। কিন্তু ইউক্রেনকে সমর্থনের জন্য শাস্তি দিতে গ্যাসের সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে মস্কো।শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডের ওপর রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার প্রভাব পড়ছে মলদোভার ওপরও।
নিজেকে ফিট মনে করেন ? জেনে নিন ফিট হওয়ার ৫ টি শর্ত।
মলদোভা তে কাজের বেতন
মলদোভা একটি উন্নয়নের দিকে উদীয়মান একটি দেশ। তবে দেশটি ইউরোপের একটি দেশ। এখানে মাসিক বেতন খুব বেশি না। আপনি ৩৫০০০ – ৪৫০০০ টাকা পেতে পারেন। দেশটিতে মূলত কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনি যদি এই দেশটিতে শ্রমিক হিসেবে যেতে চান তাহলে আপনি এরূপ বেতন পেতে পারেন। আর টেকনিক্যাল কর্মীরা বেশি বেতন পাবেন।
মলদোভা কাজের জন্য কেমন দেশ
আপনি যদি মলদোভাতে যেতে চান, বেতন কত হবে সেটা আগেই জানিয়েছি। একটা ইউরোপিয়ান দেশ হিসেবে বেতন বেশ কম। তবে এখানকার মানুষদের আচার আচরন খুব ভালো। যদি কাজকর্ম ভালোভাবে করেন তাহলে ভালো বেতনও তারা প্রদান করে। দেশে হতাশ অবস্থায় আছেন। একটি ভালো জীবনযাপন চান, তাহলে পছন্দের তালিকায় রাখতেন পারেন দেশটি।
সেলিম হোসেন – ২৮/০৫/২০২২ ইং – ছবি গুলো পেক্সেলস থেকে নেয়া।