সুখী মানুষ এবং মরুভুমিতে সুখ
জীবনে সুখের পরিমান কত ? মরুভুমিতে সুখ কোথায়। কেন সুখের জন্য দিনরাত পাগলা দৌড়। দৌড়ে লাভ আছে ? আসুন জেনে নেই লাভ আছে কি নেই।
দিন যায় রাত আসে, , রাতের পর আবার দিন। এরই মাঝে আধুনিক এই জীবনে আসে প্রচুর স্ট্রেস। অফিসের ঝামেলা, কাজের ঝামেলা। সামাজিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা সব মিলিয়ে জীবন ছুটে চলে তার আসল গন্তব্যে। কিন্ত প্রতিনিয়ত আমাদের অবচেতন মন খুজে ফিরে সুখকে। যাকে সুখী মনেহয় তিনিও হাহাকার করছেন । এই বস্তু তার কাছেও অধরা। এরই মাঝে কেউ কেউ দুঃখ করে বলেন ” জীবন টা মরুভুমি হয়ে গেল। ”
জীবনে সফল হতে আব্রাহাম লিঙ্কনের যেই ঘটনা গুলো আপানাকে উদ্দীপ্ত করবে।
মরুভূমির বৈশিষ্ট্য কি
মরুভূমির দেশ কোনটি?
মরুভুমিতে সুখ এবং সুখী হওয়ার ১২ টি উপায়
১. সুখী মানুষ নিজেকে ভালোবাসে
নিজেকে ভালো না বেসে সুখী হওয়ার চেষ্টা নদীতে হাল ছাড়া নৌকা চালানোর মত। সবচেয়ে সুখী মানুষের জীবনের প্রতি রয়েছে অনেক ভালবাসা। তারা তাদের জীবনের মুল্যকে বোঝে তাই তারা কখনো মাদক গ্রহন করে না। এবং এজন্য মনে মনে গর্ব অনুভব করে।
তারা বোঝেন কোনটা আনন্দ আর কোনটা বাড়াবাড়ি। তারা আনন্দ করেন বাড়াবাড়ি করেন না। তাই জীবন তাদের শান্ত থাকে। এলোমেলো হয়ে যায়। যেমন সুখী মানুষেরা ক্রিকেট, ফুটবল বা এ জাতীয় খেলায় অংশ নেন আনন্দ পেতে। রাতভর মদ আর উদ্দাম নাচানাচির পার্টিতে যান না। জীবনে যত সমস্যাই থাকুক সুখ আপনার কাছে আসবেই। যেমন মরুভুমিতে সুখ প্রতিদিন আসে।
মরুভুমিতে সুখ খুজতে যুবক। জ্ঞ্যানী ব্যক্তি শেখালেন সুখ কি ?
সুখী মানুষের ভালো বন্ধু থাকে। সুখী হতে আপনারও থাকতে হবে। কতজন ভালো বন্ধু প্রয়োজন ? বিষয় নির্দিষ্ট নয়। ১,২ বা ততধিক থাকতে পারে। যার সাথের বন্ধুত্ব হোক তার উদার থাকবেন। তাকে স্নেহ করবেন। ভুলেও একবন্ধুর বদনাম অন্য বন্ধুর কাছে করবেন না।
একজন ভালো বন্ধু আপনাকে আনন্দে রাখবে। তার কাছ থেকে মানসিক সাহায্য পাবেন। ভালো বন্ধু জীবন যখন মরুভুমি হয় সেই মরুভুমিতে সুখ আনতে পারে। সুখী মানুষেরা কখনো ভালো বন্ধুদের ত্যাগ করে না।
৩. সুখী মানুষ প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করে
জীবনে পূর্ণ ভাবে বাঁচতে উৎসাহ প্রয়োজন। সুখী হতে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করুন। যখন আপনি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগে দক্ষ হবেন তখন জীবনের দুঃখ চলে যাবে। উৎসাহে ভরপুর থাকবে জীবন। আমরা সুখী হতে বড় একটি উপলক্ষের জন্য অপেক্ষা করি। যেমন একটি আইফোন কেনার জন্য আপনি অনেক ধরে অপেক্ষা করছেন। ভাবছেন, যেদিন আপনি আইফোন হাতে পাবেন সেদিন আপনি সুখী হয়ে উঠবেন।
আসলে প্রতিদিন আপনার কাছে সুখের ঘটনা চলে আসে। সুখী মানুষেরা এই ছোট ঘটনাকে উপভোগ করেন। তারা বড় একটি আনন্দের জন্য বসে থাকেন না। এতে করে তাদের মন থাকে সতেজ। আর সতেজ মন মানেই তো আনন্দ।
আপনার চারপাশে অনেক সৌন্দর্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সে গুলো খেয়াল করুন। মনযোগ দিন সেখানে। দেখবেন এই সৌন্দর্য এবং ছোট ছোট ঘটনা গুলো দিন শেষে আপানাকে সুখী করে তুলছে। ঘুমানোর আগে প্রফুল্ল অনুভব করছেন।
পাওলো কোয়েল হো’র লেখা এই বিখ্যাত বই কেন মোটিভেশনাল স্পিকাররা সাজেসট করেন ?
৪. অন্য প্রতি সদয় হোন
দরজা খুলে বাসা থেকে বের হচ্ছেন। একটি বিড়াল কাতর চোখে আপনার দিকে তাকাল। ফেলে দেওয়া মাছের কাঁটা গুলো তাকে খেতে দিন। অফিসে যাচ্ছেন, বাসের ভিতর মানুষের ভীরে দাড়িয়ে আছেন। নিজে সরে গিয়ে অন্যের জন্যেও একটু জায়গা করে দিন। অফিসে ঢুকেই পিয়ন কে মুচকি হাসি দিয়ে বলুন, ভালো আছিস তো ?
এই যে সামান্য দয়া টুকু আপনি দেখালেন। এতে আপনারই লাভ। দয়া হল বিরক্তি, তিক্ততা এবং অহেতুক আবেগের সর্বোত্তম প্রতিষেধক। এটি এমন কিছু যা মানুষ প্রতিদান দিতে ভালোবাসে। যা আপনার প্রতিটি কথোপকথনে ইতিবাচকতার একটি বৃত্ত তৈরি করে যার অংশ।
সুখী মানুষেরা এভাবেই নিজেদের পরিচালিত করে সফল হয়ে উঠেন।
দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পর্ণগ্রাফি থেকে দূরে থাকার উপায় জেনে নিন।
৫. সুখী মানুষ ভালো ঘুমায়
সুখী মানুষেরা রাতে তারাতারি বিছানায় চলে যান। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পরেন। আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে কিভাবে তারা দ্রুত বিছানায় যায়। আমি তো রাত ২ টার আগে বিছানায় যেতে পারি না ! হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। আপনি যা করেন তারা তা করে না।
তারা রাত ৯ টার মধ্যেই সবধরনের এ্যপ, সোশ্যাল মিডিয়া, ডিভাইস নিজেকে সরিয়ে নেন। কোথাও কোন পোস্টে কমেন্ট করেন না, শেয়ার দেন না। এ কারনে তাদের মস্তিস্কে কোন বাজে উত্তেজনা আসে না। তাই চোখ জুরে ঘুম নেমে আসে।
পৃথিবীতে যত সুখী মানুষ আছে তারা সবাই ভালো ঘুমায়। রাতের বেলায় অতিরিক্ত চিন্তা করে তারা তাদের শক্তি নষ্ট করে না। রাত টা তাদের জন্য বিশ্রাম। আর বিশ্রামের অর্থই হল নিজেকে রিচার্জ করা। পর দিন কাজের জন্য নিজেকে উদ্দিপ্ত করে তোলা। সুখী হতে আপনাকে ভালো ঘুমাতেই হবে। বিকল্প নেই।
কেউ যখন আমাকে বলে যে তারা দ্রুত ঘুমায়, তখন আমার খুব ভালো লাগে।
একটি বদ অভ্যাস রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে।
যার মনোভাব ইতিবাচক, তিনি আশাবাদী। আশাবাদ হলো সেই নদী যা একজন ব্যক্তিকে সরাসরি সুখের দেশে সংযুক্ত করে। যদি আপনার মন নেতিবাচক হয়ে পরে তাহলে সুখী হওয়া আপনার জন্য শুধু কঠিন নয়, অসম্ভব হয়ে পরবে।
সুখী মানুষদের কাজ করার ক্ষমতা দারুন। এখানে ইতিবাচক মনোভাব তাদের কে দারুন ভাবে সহায়তা করে। তাই জীবনের এই যাত্রায় ইতিবাচক থাকুন, জীবনে ভালো ভালো ঘটনা ঘটে চলেছে। আর আপনি সুখ অনুভব করছেন।
৭. নিজের সঙ্গ উপভোগ করুন
এটা আবার কেমন ? নিজেই নিজের সঙ্গ উপভোগ করা যায় ? হ্যাঁ যায়। ধরুন ২ দিন অবসর পেয়েছেন। ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন কাছাকাছি কোথাও। যেখানে নদী আছে, পাখির ডাক শোনা যায়। সেটা হতে পারে আপনার কোন আত্মীয়ের বাড়ি। অথবা উঠতে পারেন কোন হোটেলে। দুদিন পর দেখবেন নিজেকে অনেকটা সুখী সুখী মনে হচ্ছে।
আবার একটা ভালো বই নিতে পারেন। যা দুই দিনে পরে শেষ করতে পারবেন। বই শেষ করা হলে আপনার জ্ঞ্যান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে। তখন মনের মাঝে সুখ অনুভব করবেন।
শিখতে পারেন নতুন কিছু অবসরে। নতুন কিছু শেখার মাঝে আনন্দ আছে। সুখী মানুষেরা এভাবেই তাদের জীবনকে আনন্দময় করে তোলেন।
৮. সুখী মানুষের কাছে বর্তমানই প্রধান
যারা ক্রমাগত তাদের অতীত নিয়ে চিন্তা করে অথবা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকে তাদের পক্ষে সুখী হওয়া কঠিন। আজকের দিনটাকে না ভেবে অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে পরে থাকা রীতিমত সময়ের অপচয়।
আমরা অতীত বদলাতে পারব না। আর ভবিষ্যৎ সবসময়ই অজানা। একমাত্র বাস্তব বিষয় হল বর্তমান।
একটু শান্ত হয়ে বসুন, এই মুহূর্তে যা আছে তা উপভোগ করুন। আজকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো নিয়ে ভাবুন। একটার পর একটা কাজ শেষ করুন। দেখবেন দিনশেষে মনের মাঝে অনেক আনন্দ অনুভব করছেন। আগামী কর্ম দিবস টাও ঝামেলা মুক্ত। সুখী মানুষেরা বর্তমান কে এভাবেই মুল্য দেন।
একজন ইউটিবারের বছরে আয় ১১ কোটি টাকা। ছেড়ে দিলেন চাকরি।
৯. সুখী মানুষেরও চিন্তা আছে
চিন্তামুক্ত থাকা আর সতর্ক থাকা এক জিনিস নয়। ধরুন বাসা থেকে সবাই বেড়াতে যাবেন। বের হওয়ার সময় প্রতিটি রুমের বাতিগুলো ঠিকমত নিভিয়ে দিলেন। ফ্যান এসি অফ করে দিলেন। দরজা বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দিলেন। তারপর প্রতিবেশী, কেয়ারটেকার বলে বেরিয়ে পরলেন। এটা সতর্কতা।
এই সতর্কতা আপনাকে চিন্তামুক্ত করে দিবে। আপনি দায়িত্ব পালন করলেন, পাশাপাশি চিন্তামুক্ত হলেন। এভাবে কাজ করার প্রবণতা আপনাকে উদ্বেগ ছাড়াই জীবনযাপন এবং সুখী হতে সাহায্য করবে।
১০. সঠিক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ
বডি ল্যাঙ্গুয়েজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সুখী মানুষের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থাকে ইতিবাচক। তারা মনমরা অবস্থায় বিষণ্ণ বদনে থাকেন না। তাদের কে দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন এক উচ্ছলতা প্রকাশ পাচ্ছে তার শরীরে।
তারা ভ্রু কুঁচকে তাকান না। সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন। কথা বলার সময় অযথাই হাত পা ছুঁড়েন না। ডানে বাঁয়ে হেলে পরেন না। চেয়ারে সোজা হয়ে বসেন। দাঁড়িয়ে থাকলেও সোজা হয়ে থাকেন। তবে এমন টা করতে হলে আপনার প্রয়োজন একটি সুস্থ শরীর।
কত সম্পদ আমাদের প্রয়োজন ? আল্লাহর রাসুল (সঃ) কি বলেন।
১১. সুখী মানুষ সাস্থ্যের খেয়াল রাখে
সুখী হতে চান না, এমন মানুষ একজনও খুজে পাবেন না। যিনি মদপান করেন তিনি সুখী হতে চান। মাদকাসক্ত সুখ অনুভব করতেই মাদক নেন। প্যাকেটের গায়ে লেখা ধূমপান মৃত্যুর কারন। তারপরেও হাতের আঙুলের ফাঁকে সিগারেট নিয়ে ধূমপায়ী সুখের ভাব দেখান।
আসলে সুস্থ না থাকলে আপনি সুখী হতে পারবেন না। আর প্রায় সব মানুষই এই সত্যটা জানেন। তা স্বত্বেও একটি অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা অলসতা এবং অসুস্থতার দিকে আপনাকে নিয়ে যায়। আপনি হয়ে পরেন অসুখী।
ভালো খাবার খাওয়া, ত্বকের যত্ন নেওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং রাতে ভালো ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের সাস্থ্যের যত্ন নেয়া হল নিজেকে ভালোবাসা, সম্মান দেয়া। আপনার শরীরকে পবিত্র সত্তার মতো মনে করুন। আল্লাহর দেয়া এই নেয়ামতকে সুস্থ রাখুন। সুখী হতে এটা খুব জরুরী।
ঔষধ ছাড়াই যেভাবে আজীবন সুস্থ থাকবেন।
১২. সুখী মানুষেরা বাস্তববাদী
বাসায় একটা নতুন খাত কেনা দরকার। আর তাতে নরম তুলতুলে গদি বসালে অনেক আরামদায়ক হবে। রাতের ঘুমটা ভালো হবে। বাসায় কেউ এলে বাহবা দিবে। এমন টা ভাবছেন। কিন্ত আপনার কাছে হাতিলের পছন্দের খাটটি কেনার মত টাকা নেই। আপনি ঋণ করে খাটটি কিনে ফেললেন। আপনার সুখের জায়গায় বিপদের শুরু হল।
সুখী মানুষরা এমন টা করেন না। তারা বিলাস দ্রব্য কেনার আগে ৫ বার ভাবেন। জিনিস টা কি আমার প্রয়োজন ? এখনি কি কিনতে হবে ? এখন না কিনলে তো ক্ষতি নেই। বছর শেষে যখন হাতে টাকা আসবে তখন কেনা যাবে। আপাতত পুরাতন খাটটাতেই ঘুমাই।
তারা ঋণ করেন না। ঋণ পরিশোধের চাপে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত হয় না। তারা সুখে থাকেন। ঋণ থেকে দূরে থাকা সুখী হওয়ার প্রধানতম উপায়।
অতিথিকে বাড়ির সুন্দরী বউ বা মেয়ের সাথে শুতে দেয়া হয় আফ্রিকাতে !!
মরুভুমিতে সুখ গ্রীষ্মকাল
ভাবতে পারেন, গ্রীষ্মকালে মরুভুমিতে সুখ আছে !! পাঞ্জাবের পাকিস্তান অংশের মরুভুমি এলাকায় লবন খনি ‘খেওরা’। এর কাছে মরুভুমির বুকে বড় একটি গ্রাম নাম হাদালি। গ্রীষ্মকালে যেখানে লু হাওয়া বয়।
মাঝে মধ্যে ধুলি ঝড় হয়। ধুলি ওড়া এবং ধুলি ঝড়ের সঙ্গে পরিচিত গ্রামবাসী। তাদের কে বেশি বিপদে ফেলে ঝক্কর নামের ধুলিঝর। যখন এটা শুরু হয় তখন গ্রামবাসী নিজেদের চোখ, নাক, কান বাচাতে দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে মাটি আঁকড়ে পরে থাকে।
ঝড় বেশি হলে রেললাইন বালিতে ডুবে যায়। বালি সরিয়ে রেল চলার ব্যাবস্থা করতে হয়।
গ্রীষ্মের সবচাইতে সুন্দর সময় প্রথম সকাল। মরুভুমির উপর দিয়ে তখন বয়ে যায় শীতল বাতাস। সেই বাতাসে ভেসে বেড়ায় বাগানের গোলাপ ও বেলিফুলের সুবাস। আহ মরুভুমিতে সুখ।
তখন অনেকেরই সময় কাটে আধো ঘুমে, আলসেমিতে বিছানায়। শিশুরা দৌড়ায়, খেলাধুলা করে। অতি সংক্ষিপ্ত ক্ষন। উত্তপ্ত সূর্য উপরে উঠতে থাকে। মাছির আগমন এবং কাকের বেসুরো কা কা ডাক শুরু হয়।
স্বর্গীয় এই অল্প সময়কে উর্দু কবিরা বর্ণনা করেছেন ” বাদ-ই-নাসিম” বলে। প্রত্যুষের মৃদুমন্দ বাতাস যার সমাপ্তি ঘটে সহসা। গ্রীষ্মকালে মরুভুমিতে সুখ যদি আসে তাহলে আপনার জীবনেও ব্যাপক সুখের আগমন ঘটতে পারে।
সেলিম হোসেন – তাং – ০৯/০২/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী।