সেরা ১০ গোয়েন্দা সংস্থা । সিক্রেট এজেন্টদের জগৎ, ভয়ংকর মিশন। Know about top 10 intelligence agencies in the world

গোয়েন্দা সংস্থা

বিশ্বের সেরা ১০ গোয়েন্দা সংস্থা: জাতীয় নিরাপত্তা এবং গোপন মিশন

জাতীয় নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বজায় রাখার জন্য প্রতিটি দেশ গোপন গোয়েন্দা সংস্থা গঠন করে। এই সংস্থাগুলো গোপন কার্যক্রমের মাধ্যমে কৌশলগত তথ্য সংগ্রহ করে, যা রাষ্ট্রকে শত্রুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং সামরিক ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। আজ আমরা বিশ্বের সেই বিখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্পর্কে জানব, যারা তাদের কাজের দক্ষতা, শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং ভয়ংকর মিশনের জন্য সুপরিচিত।

দাম্পত্য জীবন কেন অসহ্য, জেনে নিন কারন গুলো 

গোয়েন্দা সংস্থা

১. সিআইএ (CIA)

  • দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
  • পূর্ণ নাম: Central Intelligence Agency
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭
  • ভূমিকা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত সিআইএ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, গোপন মিশন পরিচালনা এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় সিআইএ অন্যতম শক্তিশালী সংস্থা।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: স্নায়ুযুদ্ধের সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরবর্তীকালে আল-কায়েদা ও আইএসের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে একাধিক গোপন অভিযান পরিচালনা করেছে।

গোয়েন্দা সংস্থা

২. এমআই৬ (MI6)

  • দেশ: যুক্তরাজ্য
  • পূর্ণ নাম: Secret Intelligence Service (SIS)
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯০৯
  • ভূমিকা: এমআই৬ হলো যুক্তরাজ্যের প্রধান আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা। এটি ব্রিটিশ সরকারের জন্য বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে এবং বহিঃশত্রুর হুমকি থেকে ব্রিটেনকে নিরাপদ রাখে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকেই এটি কার্যকর রয়েছে।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে গোপন তৎপরতা, এবং ইরাক যুদ্ধসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক কূটনৈতিক ও সন্ত্রাসবিরোধী মিশনে এমআই৬-এর ভূমিকা ছিল সুদূরপ্রসারী।

আমাদের গ্রামে অনেক গল্প ছড়িয়ে আছে। 

গোয়েন্দা সংস্থা

৩. মোসাদ (Mossad)

  • দেশ: ইসরায়েল
  • পূর্ণ নাম: The Institute for Intelligence and Special Operations
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৯
  • ভূমিকা: মোসাদ তার সাহসী এবং দ্রুত কার্যকর অভিযানের জন্য বিশ্বজুড়ে আলোচিত। এটি ইসরায়েলের মূল গোয়েন্দা সংস্থা, যা প্রধানত সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য পরিচালিত ‘অপারেশন র‍্যাথ অফ গড’ মোসাদের সবচেয়ে বিখ্যাত মিশনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক দেশগুলোতে এর কৌশলগত নজরদারি রয়েছে।

ঔষধ ছাড়াই হাইফো থাইরয়েড থেকে চির মুক্তি জেনে উপায়। 

গোয়েন্দা সংস্থা

৪. র (RAW)

  • দেশ: ভারত
  • পূর্ণ নাম: Research and Analysis Wing
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৬৮
  • ভূমিকা: ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ভারতের নিরাপত্তা জোরদার এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর উপর নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘র’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ভারতীয় স্বার্থ রক্ষায় এবং বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে কাজ করে।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: কাশ্মীর ইস্যু, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সংস্থাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

পুরান ঢাকার মানুষেরা খুবই রঙ্গ প্রিয়। 

গোয়েন্দা সংস্থা

৫. আইএসআই (ISI)

  • দেশ: পাকিস্তান
  • পূর্ণ নাম: Inter-Services Intelligence
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৮
  • ভূমিকা: আইএসআই পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। এটি দেশের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আফগান যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় এটি সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদিনদের সহায়তা করেছিল।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: কাশ্মীর ইস্যু, আফগানিস্তানের রাজনীতি এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে আইএসআই-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ন্যাচারাল উপায়ে একমাসে ১০ কেজি ওজন কমাতে চান, জেনে নিন উপায় 

গোয়েন্দা সংস্থা

৬. এফএসবি (FSB)

  • দেশ: রাশিয়া (সাবেক কেজিবি)
  • পূর্ণ নাম: Federal Security Service (FSB)
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৫ (কেজিবি থেকে উদ্ভূত)
  • ভূমিকা: সোভিয়েত ইউনিয়নের বিখ্যাত কেজিবি (KGB) থেকে উদ্ভূত এফএসবি হলো রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা। এটি রাশিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, গুপ্তচরবৃত্তি দমন এবং রাজনৈতিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষায় এফএসবি কাজ করে।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: চেচনিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ দমন এবং বিদেশী হুমকি মোকাবিলায় এটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

জীবনে কত টাকার প্রয়োজন ? জেনে নিন ইসলাম কি বলে ? 

গোয়েন্দা সংস্থা

৭. এমএসএস (MSS)

  • দেশ: চীন
  • পূর্ণ নাম: Ministry of State Security
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৩
  • ভূমিকা: MSS হলো চীনের প্রধান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী গোয়েন্দা বিভাগ। এটি বিশেষভাবে বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং চীনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: চীনের অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি, কৌশলগত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চীনা স্বার্থ রক্ষায় এটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

সুখ কি ? প্রতিদিনই আপনার জন্য সুখী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। 

গোয়েন্দা সংস্থা

৮. ডিজিএসই (DGSE)

  • দেশ: ফ্রান্স
  • পূর্ণ নাম: General Directorate for External Security
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৮২
  • ভূমিকা: ফ্রান্সের এই প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা মূলত বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে কাজ করে। ইউরোপের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী সংস্থা হিসেবে ডিজিএসই বিশ্বব্যাপী ফ্রান্সের স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয়।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: ইউরোপীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং ফ্রান্সের বৈশ্বিক সামরিক কৌশল বাস্তবায়নে এ সংস্থার বড় ভূমিকা রয়েছে।

অপহরণের এমন কাহিনী আপনি আগে শোনেন নি। 

গোয়েন্দা সংস্থা

৯. বিএনডি (BND)

  • দেশ: জার্মানি
  • পূর্ণ নাম: Bundesnachrichtendienst
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৫৬
  • ভূমিকা: বিএনডি হলো জার্মানির বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা। এটি ইউরোপে অন্যতম প্রভাবশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক হিসেবে পরিচিত এবং জার্মানির নিরাপত্তা, সামরিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ইউরোপে সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন এবং জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতিতে সহযোগিতা।

পৃথিবীর সেরা ভয়ঙ্কর সাপ গুলো কি চিনতেন ? 

গোয়েন্দা সংস্থা

১০. এনআইডি (NID)

  • দেশ: উত্তর কোরিয়া
  • পূর্ণ নাম: National Intelligence Service
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৫১
  • ভূমিকা: উত্তর কোরিয়ার এই গোপনীয় সংস্থা দেশটির স্বৈরশাসকের সুরক্ষার জন্য কাজ করে। এটি বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং অভ্যন্তরীণ স্বার্থ রক্ষার জন্য নিবেদিত।
  • গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম: দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং কৌশলগত তথ্য সংগ্রহের কাজে এটি বিশেষভাবে জড়িত।

গোয়েন্দা গল্প আপনার কোন উপকারে লাগতে পারে। 

গোয়েন্দা সংস্থা

বন্ধুদের মাঝে যে বন্ধু গোয়েন্দাগিরি করে তাকে পোস্টটি শেয়ার করে দিন। সেলিম হোসেন – ০৮/১০/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *