শাহরুখ খানের ফিটনেস – মজার কাহিনী । ফিটনেস কেন দরকার ? জেনে নিন ফিটনেস ধরে রাখার ৯ টি উপায়। Know 9 ways to maintain fitness

ফিটনেস

শাহরুখ খান কে নিয়ে মজার কাহিনী 

শাহরুখ মেয়ের বয়সী নায়িকার সাথে পর্দায় দারুন রসায়ন তৈরি করছেন । মার পিটের দৃশ্যে অসাধারন। ক্রিকেট মাঠের গ্যালারিতে মেতে ওঠেন। আনন্দে হাততালি দেন। চিৎকার, চেচামেচি করেন। কিশোর তরুণদের মত। তার  ফিটনেসে বিমোহিত ভক্তরা।  

শারীরিক ফিটনেস কাকে বলে

ট্রেইনার একজন আপু
তার অনেক ফলোয়ার আছে। তিনি তার ফেসবুক আই ডি তে লিখেছেন। শাহরুখ খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি ফিটনেস ধরে রাখতে দিনে মাত্র একবার খান। যখন খান, তখন পেট ভরেই খান। সুস্থ ও ফিট থাকার উপায়। কলিকাতার আনন্দ বাজার লিখেছে 

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি খুব সাধারণ খাবার খাই। একাধিক বার নয়, দিনে দু’ বার খাই আমি। এই বিষয়ে আমি ভীষণ কড়া। শুধুমাত্র দুপুর আর রাতে খাওয়াদাওয়া করি আমি। আমার ডায়েট থাকে অঙ্কুরিত ছোলা, গ্রিলড চিকেন, ব্রকোলি, ডালের মতো খাবার।’’

পড়ুন নায়কের ফিটনেস নিয়ে আনন্দবাজারের রিপোর্ট। 

ফিটনেস

আমাদের দেশের পত্রিকা ” জাগো নিউজ “

শাহরুখকে নিয়ে কি লিখেছে ? মেটাবলিজম পাম্প করার জন্য সারাদিনে তার মোট ক্যালোরি অল্প অল্প করে খেয়ে পূরণ করেন। এজন্য দিনে বেশ কয়েকবার খান তিনি। এতে বেশি ক্ষুধাও লাগে না, আবার অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও কমে।

নিউজ হিসেবে শাহরুখ খান হট কেক। তাকে নিয়ে কোন পোস্ট বা নিউজ ছাপলে মানুষ পড়ে। মানুষের দুর্বলতাকে পুজি করে সবাই ব্যাবসা করে। 
আসলে ফিটনেস ধরে রাখতে তিনি কি করেন, সেটা শাহরুখ খান ই ভালো বলতে পারবেন। 

এসব নিউজ পড়ার মত সময় শাহরুখ খানের নেই। তিনি যদি এসব নিউজ দেখতেন । তাহলে কি হত ? প্রথমে তিন বার হো হো হাসতেন। এরপর অজ্ঞ্যান হয়ে পরে যেতেন।  

ফিটনেস

ফিটনেস কি 

সহজ কথায় শারীরিক ফিটনেস হচ্ছে খাওয়া, দাওয়া, কাজ কর্ম, হাঁটাচলা, খেলাধুলা, শারীরিক পরিশ্রম এসব কিছুতে ক্লান্তি বা অস্বস্তি বোধ না করা।ফিটনেস রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। বয়স বাড়লে যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, হাড়ক্ষয়, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে, এসব ঠেকাতে পারে ফিটনেস। আজীবন সচল ও কর্মক্ষম থাকার জন্যও ফিটনেস জরুরি।

আজীবন সুস্থ থাকতে হেলদি খাবার গুলো চিনে নিন। 

ফিটনেস

ফিটনেস ধরে রাখার কিছু কৌশল

১. বয়স যাই হোক সুস্থ ও শারীরিকভাবে ফিট থাকতে মানুষের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি গতিতে বা ৭৫ মিনিট জোর গতিতে অ্যারোবিক ব্যায়াম করা দরকার। পেশিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে হবে। অ্যারোবিক ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, স্কিপিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদি। পার্কে বা রাস্তায় যেতে না পারলে ট্রেডমিল বা ছাদে হাঁটুন। স্পট জগিং করুন, স্পট স্কিপিং করুন বা স্ট্যাটিক সাইকেল চালান।

২. জোরে হাঁটবেন, খেয়াল রাখবেন হৃদপিণ্ডের ওঠা নাম, যেন আপনার নিয়ন্ত্রনের বাইরে না যায়। টানা ২০-৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। টানা না পারলে সকালে ২০ মিনিট ও বিকেলে ২০ মিনিট হাঁটবেন। এমন গতিতে হাঁটতে হবে যেন শরীর ঘেমে যায়। 

৩. ব্যায়ামের পূর্বে স্ট্রেচিং করে নিবেন। এতেকরে হাঁটা বা দৌড়ানের পূর্বে হাত ,পা, কোমরের পেশী নমনীয় হবে। হৃদ্‌যন্ত্র-ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কম থাকলে অ্যারোবিক ব্যায়াম করুন। তবে হাঁটা বা জগিংয়ের আগে ভালো মানের হাঁটার জুতো পরে নেবেন। না হলে পায়ে ব্যথা হতে পারে। অ্যারোবিক হচ্ছে আপনার ১৮০ থেকে আপনার বয়স বিয়োগ করবেন। অর্থাৎ আপনার বয়স যদি ৫৫ হয় তাহলে আপনার অ্যারোবিক রেট হচ্ছে ১২৫। যখন দৌড়, জগিং বা ব্যায়াম করবেন তখন আপনার হার্ট রেট ১২৫ এর উপরে যাওয়া কাম্য নয়। 

বিনা ঔষধে আজীবন সুস্থ থাকার উপায়। 

ফিটনেস

৪. স্ট্রেচিং কীভাবে করতে হয়, তা কমবেশি সবাই জানেন। বিশেষ কিছু নয়, শরীরের প্রতিটি পেশিসন্ধিকে সচল রাখার জন্য এই ব্যায়াম খুবই উপকারী।

৫. পেশি বাড়াবেন দুই উপায়। ওজন নিয়ে ও শরীরের ওজন ব্যবহার করে। জিমে গেলে বিভিন্ন রকম ওজন নেয়ার উপকরন পাবেন। বিভিন্ন রকমের স্কোয়াটিং আছে, লেগ রাইজিং, প্ল্যাঙ্ক, পুশ-আপ ইত্যাদি উপায়ে এসব ব্যায়াম করা যায়। তবে বয়স্ক বা ক্রনিক অসুখ আছে বা ফিটনেস কম কিংবা হাঁটু-কোমরের ব্যথা আছে, এমন মানুষ অবশ্যই জিম ইন্সট্রাকটরের পরামর্শ নিতে হবে।

৬. ইদানীং কয়েকটি নতুন ধরনের ব্যায়ামের ধারা চালু হয়েছে। এসবে সুরের তালে তালে অ্যারোবিকের সঙ্গে স্ট্রেচিং, ব্যালেন্সিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিং—সব করা যায়।

৭. ইউটিউবে দেখেই জুম্বা করতে পারেন। তবে বয়স কম ও ফিটনেস বেশি থাকলে তবেই। ফিটনেস ভালো থাকলে বেশি বয়সেও এ ব্যায়াম করা যায়। এ ব্যায়ামে শরীর-মন দুটোই ভালো থাকে।

৮. যারা একটু অক্ষম তারা ইয়োগা করতে পারেন। যদিও এটা সব বয়সী মানুষই করতে পারেন।

৯. আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি, মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও খুব জরুরি। মেডিটেশনের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়। উইম হফ মেথডের শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম খুবই কার্যকরী। 

বেশির ভাগ সময় সচল থাকার চেষ্টা করুন। এক জায়গায় টানা বসে না থেকে কিছুক্ষণ পরপর উঠে দাঁড়ান, হাঁটাহাঁটি করুন। প্রয়োজনে হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফিটনেস ধরে রাখতে হেলদি খাবার এবং ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। 

জেনে নিন – সরিষার তেল হার্টের জন্য ভালো নাকি খারাপ। 

ফিটনেস

সেলিম হোসেন – তাং ০৯/০২/২০২৪ ইং – কিছু ছবি পেক্সেল থেকে নেয়া। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *