মদের অর্ডারের চাপে বন্ধ কোম্পানির ওয়েবসাইট! Closed website under the pressure of alcohol orders! A story of 1 drunkard

মদের অর্ডারের চাপে

বিতর্কিত ‘ওসামা’ মদের অর্ডারের চাপে ওয়েবসাইট বন্ধ!

নামের চমক এবং বিতর্কের শক্তি যে একটি সাধারণ পণ্যকে রাতারাতি বৈশ্বিক সাফল্যে পৌঁছে দিতে পারে, তার এক আশ্চর্য উদাহরণ তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের একটি ছোট ব্রিউয়িং কোম্পানি। কিন্তু এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে এক ভয়াবহ ইতিহাস।

১. টুইন টাওয়ার হামলা: যে প্রেক্ষাপটে নামের জন্ম

তেইশ বছর আগে, ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর, আমেরিকায় এক ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। নিউইয়র্কের দুটি সুউচ্চ বাণিজ্যিক ভবন—যা টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত ছিল—সহ আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চারটি ছিনতাই হওয়া যাত্রীবাহী জেট বিমান আঘাত হানে।

হামলার সংক্ষিপ্ত সময়রেখা (আমেরিকান পূর্বাঞ্চলীয় সময়):

  • সকাল ৮:৪৬ মিনিট: প্রথম বিমানটি আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে।
  • সকাল ৯:০৩ মিনিট: দ্বিতীয় বিমানটি সাউথ টাওয়ারে বিধ্বস্ত হয়। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে দুটি ভবনই বিশাল ধুলার ঝড় তুলে ভেঙে মাটিতে গুঁড়িয়ে পড়ে।
  • সকাল ৯:৩৭ মিনিট: তৃতীয় বিমানটি আঘাত হানে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উপকণ্ঠে অবস্থিত আমেরিকান প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগনে।
  • সকাল ১০:০৩ মিনিট: চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভেনিয়ার এক মাঠে আছড়ে পড়ে। যাত্রীরা রুখে দাঁড়ানোয় ছিনতাইকারীরা বিমানটি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়।

এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ওসামা বিন লাদেন, যিনি আফগানিস্তানে অবস্থানরত সৌদি বংশোদ্ভূত এবং আল কায়েদা নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। এই ঘটনার ভয়াবহতা গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল।

পড়ুন – এক ব্রিলিয়ান্ট চোরের বিস্ময়কর গল্প। 

মদের অর্ডারের চাপে
মদের অর্ডারের চাপে

২. মদের অর্ডারের চাপে ওয়েবসাইট বন্ধ

৯/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড ওসামা বিন লাদেনের নামে সম্প্রতি বাজারে আনা একটি বিয়ার (মদ) তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

মিশেল ব্রিউয়িং কোম্পানির বিতর্কিত নামকরণ

ইংল্যান্ডের মিশেল ব্রিউয়িং কোম্পানি (Michelle Brewing Company) এই নতুন মদ বাজারে এনেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে “ওসামা”। এই বিতর্কিত নাম বাজারে আসার পরই সৃষ্টি হয় তুমুল সাড়া।

কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার লুক মিশেল এবং তার স্ত্রী ক্যাথেরিন মিশেল দম্পতি জানান, তারা শুধু লাদেনের নামেই নয়, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামেও মদ (বিয়ার) বানিয়েছেন। লুক মিশেল বলেন, “স্বৈরাচারদের নামানুসারে এভাবে চটকদার করে বিয়ারের নামকরণ করা হয়েছে।”

অর্ডার সামলাতে হিমশিম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়টি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এর ফলে মদের অর্ডারের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে শুরু করেন কোম্পানির কর্মীরা। ক্যাথেরিন মিশেল জানান, অর্ডারের চাপে গত ৪৮ ঘণ্টায় ফোনটি বিশ্রামের সুযোগ পায়নি। ক্রমাগত চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত কোম্পানির ল্যান্ডফোন সংযোগও খুলে ফেলতে হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, মদের অর্ডারের চাপ সামলাতে তাদের ওয়েবসাইট টাই বন্ধ রাখতে হচ্ছে

এই ঘটনা প্রমাণ করে, বিতর্কমূলক বা ইউনিক নাম, যদিও তা নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, তবুও ব্যবসায়িকভাবে দ্রুত মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে এবং রাতারাতি বিক্রি বাড়িয়ে দিতে পারে।

পড়ুন – জামাই কেন রেগে আগুন শাশুড়ির উপর। 

মদের অর্ডারের চাপে
মদের অর্ডারের চাপে

৩. মদের আড্ডার গল্প: চিতাবাঘকে আদর!

অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে মানুষের বিচারবুদ্ধি লোপ পাওয়ার একটি হাস্যকর পরিণতি নিয়ে নিচে একটি আড্ডার গল্প তুলে ধরা হলো।

জুলাই মাসের এক গরম সন্ধ্যা। নিতিস নিয়মিতভাবে তার পান-সাথীদের সঙ্গে মদের আড্ডায় বসেছেন। পান পর্ব চলতে থাকে, আর নিতিস আকণ্ঠ পান করেন। কখন রাত গভীর হয়েছে, বুঝতে পারেননি। বাইরে বেরোতেই হিমেল হাওয়ায় তার নেশা আরও চরে যায়।

বাড়ির পথে হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটি হোটেলে গিয়ে তিনি চিকেন তন্দুরি চান। না পেয়ে কাঁচা চিকেন নিয়ে বাড়ির পথ ধরেন।

গলির মুখে এক মোটাসোটা কুকুরকে (আসলে চিতাবাঘ) ধেয়ে আসতে দেখেন। আশ্চর্যের বিষয়, কুকুরটা মোটেও ঘেউ ঘেউ করছে না।

নিতিস অত্যন্ত খুশি হয়ে সেটির গায়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে দেন—”তুই ভীষণ ভালো কুকুর, ভাই। অন্য কুকুর আমাকে দেখে ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে, অথচ তুই ভীষণ শান্তশিষ্ট।”

নিতিস খুশি হয়ে কুকুরের সামনে চিকেনের প্যাকেট রেখে দেন—”নে ভাই, খেয়ে নে, আমার লালা ভোলা আদরের কুকুর।”

কুকুরটি আপন মনে চিকেন খেতে শুরু করে। নিতিস কুকুরের পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করে বাড়ি ফেরার পথ ধরেন।

বাড়ি ফিরতেই স্ত্রী ডিনার এগিয়ে দেন। খাবার খেতে খেতে স্ত্রী বলেন, “ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। সন্ধ্যা থেকে রাস্তায় একটা চিতাবাঘ ঘুরছে।”

ঠিক সেই সময় তাদের ছেলে রাকেশ মায়ের মোবাইলে একটা ভাইরাল ভিডিও পাঠায়, ক্যাপশনে লেখা—”আমাদের পাড়ার রিয়াল হিরো।”

ভিডিওতে দেখা যায়, নিতিস এক চিতাবাঘের পিঠে হাত বুলিয়ে সাদরে মুরগির মাংস খাওয়াচ্ছেন! দৃশ্য দেখে নিতিসের স্ত্রীর চোখ প্রথমে বড় হয়, এরপর তিনি চেয়ার থেকে ঢলে নিচে পড়ে যান।

 

মদের অর্ডারের চাপে
মদের অর্ডারের চাপে

উপসংহার

এই ঘটনা প্রমাণ করে, ব্যবসায় সফল হতে পণ্যের নাম একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। একটি ইউনিক নাম বিক্রি বাড়াতে পারে ব্যাপকভাবে, যা আপনাকে ব্যবসায় এনে দিতে পারে অঢেল টাকা।

ব্যবসায় ব্যর্থ বন্ধুকে পোস্টটি শেয়ার করে দিন।

লেখক: সেলিম হোসেন তারিখ: ০৩/০৯/২০২৪ ইং

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *