ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি। কালো চালের ১০ টি উপকারিতা ? 10 benefits of black rice.

ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি

ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি 

আমরা শিখে নিব। কারন ব্লাক রাইস এখন আমাদের কাছে খুব পরিচিত নাম। এর উপকারিতা কি ? এতে কি কি আছে ? এ চালের দাম, এই চাল কোথায় পাওয়া যায় ? আসুন সব কিছু জেনে নিই।   

কালো চালে কি কি আছে 

প্রতি ১০০ গ্রাম চালের ভাতে আছে। এনার্জি ৩৫৬ ক্যালরি, প্রোটিন ৮.৮৯ গ্রাম, হেলদি ফ্যাট ৩.৩৩ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট কম বেশি ৭৫.৫৬ গ্রাম। উচ্চ মানের ফাইবার উপাদান রয়েছে ২.২ গ্রাম। আয়রন রয়েছে ২.৪ গ্রাম। এতে কোন ক্ষতিকর কোলেসট্রল নেই। গ্লুটেন মুক্ত। 

আরও আছে ভিটামিন বি – রিবোফ্লাভিন, নাইয়াসিন, ভিটামিন ই , বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, আয়রন এবং কপারের মতো খনিজ পদার্থ। আছে ৯ প্রকারের এমাইনো এসিড।  

ছেলে অপহরন, বাবা অবাক। নিউজ ভাইরাল, কারন কি ? 

ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি
ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি 

ব্লাক রাইসের উপকারিতা 

১. পুস্তিগুনে ভরপুর একটি সুপার ফুড। হজমে সাহায্য করে।  

২. ভিটামিন ই যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এমন একটি পদার্থ, যার কাজ হলো দেহের সুস্থ কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে বাচাঁনো।

৩. এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন মুটিয়ে যাওয়া, ক্যান্সারের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রেহাই দিতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে, অ্যান্থোসায়ানিন ছাড়াও, কালো চালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সহ 23টিরও বেশি উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে।

৪. গবেষণায় দেখা গেছে যে কালো চালে লুটেইন এবং জেক্সানথিন বেশি থাকে। এই দুই ধরনের ক্যারোটিনয়েড যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।  

৫. এই চাল ন্যাচারালি গ্লুটেন মুক্ত। অতএব রগি এবং সুস্থ মানুষ সবাই খেতে পারবেন।  

৬. ওজন কমানোর জার্নিতে এই চালের ভাত খেতে পারেন। এর উচ্চ মানের ফাইবার ওজন নিয়ন্ত্রন করে।

৭. ডায়াবেটিস রোগীরা খেলে রক্তে শর্করার পরিমান কম থাকবে। 

৮. ইঁদুরের উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে । উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারে কালো চাল যোগ করলে লিভারে চর্বি জমে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। 

৯.  এতে থাকা খনিজ পদার্থ হাড়কে সুগঠিত করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে। 

১০. এতে বিদ্যমান অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ খাবার হৃদ রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।  

ভিডিও দেখুন – কালো চালের ভাত কিভাবে রান্না করবেন।  

ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি
ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি

ব্লাক রাইস কাদের খাওয়া উচিত নয় 

সবাই খেতে পারবেন। সব কিছুই পরিমানমত খেতে হয়। যারা বয়স্ক তারা পেট ভরে খাবেন না। 

ব্লাক রাইসের দাম কত ? Black rice price in Bangladesh 

যদি সুপার স্টোর থেকে কিনেন। তাহলে ২০০ টাকা+  দাম পড়তে পারে। কোন কোন অনলাইন সপেও এমন দামে পাবেন। দেখে শুনে কিনবেন তাহলে ঠকার সম্ভাবনা থাকবে না। 

কালো ভাত খেলে কি ডায়াবেটিস হয়
ডায়াবেটিস আছে ? নির্ভয়ে খেতে পারেন কালো ভাত। এতে আছে উচ্চ ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম। এ  কারনে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রেখে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বরং কমাতে পারে । এই কারণগুলি ছাড়াও, কালো ভাতের আরও বিভিন্ন দিক এবং গুণাবলী রয়েছে যা এটিকে প্রাক-ডায়াবেটিক বা ডায়াবেটিক হিসাবে আপনার খাদ্যতালিকায় একটি আদর্শ সংযোজন করে তোলে। 
ইউরিক এসিডে কি কালো ভাত খেতে পারবেন  
কালো ভাতে আছে অ্যান্থোসায়ানিন। আরও আছে জ্যান্থাইন অক্সিডেস। উভয় অ্যান্থোসায়ানিনই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে এবং ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদনের পথে মূল এনজাইমগুলিকে বাধা দেয়। সেইসাথে কিডনির ক্ষতি এবং অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে দারুন শক্তিশালী।  

জেনে নিন – কাস্যুনাট সালাদের রেসিপি। 

ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি
ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি
ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি 

এই চালের রান্না অন্য চালের মত নয়। দুই ভাবে রান্না করতে পারেন। 

১. রাতে এক কাপ চাল ভিজিয়ে রাখুন। ভালোভাবে ধুয়ে পানি ফেলে দিন। এরপর এতে দুই কাপ পানি দিন। খানিক টা পিং সল্ট মিশিয়ে দিন। মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন। ভাতের মাড় ফেলবেন না। ভাত ঘন বেগুনি রঙে পরিণত হবে। আঠালো ভাত হবে। 

২. এক কাপ চাল নিন। ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এতে তিন কাপ পানি মেশান। এরপর চুলায় তুলে দিন। খানিক টা পিং সল্ট মিশিয়ে দিন। স্লো মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন। পানি একদম শুকিয়ে যাওয়ার আগে দেখুন ভাত ঠিকমত হয়েছে কি না। ভাত হয়ে গেলে ঠিক আছে। না হলে প্রয়োজনমত গরম পানি যোগ করুন। পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিন। 

খাবার সময় উভয় ক্ষেত্রেই ঘি অথবা নারিকেল তেল সহযোগে খান। 

ভিডিও দেখুন – ব্লাক রাইস চাষ হচ্ছে খুলানায়।  

ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি
ব্লাক রাইস রান্নার রেসিপি

 আরও যেভাবে খেতে পারেন। এই চালে পায়েস তৈরি করতে পারেন। কেক, রুটি, নুডলস তৈরি করতে পারেন। এটি একটি কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। আমরা যারা সুস্থ আছি তারা সপ্তাহে অন্তত তিন দিনে তিন বার কালো চালের ভাত খাব। 

Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals. 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *