বিয়ার গ্রিলস কিভাবে সেরা? সফলতা এবং ফোকাস – 1 success by Beer grills

বিয়ার গ্রিলস কিভাবে সেরা?
বিয়ার গ্রিলস 

এই গ্রহে সেরা সেলিব্রিটিদের একজন। সারা বিশ্বে তিনি ব্যাপক পরিচিত এবং জনপ্রিয়। মানুষটি প্রতিদিনই অসম্ভবকে সম্ভব করে চলেন। লম্বা-চওড়া শরীরের মানুষটি আপনার কাছে বিয়ার গ্রিলস  নামে পরিচিত। চিফ স্কাউট, অভিযাত্রী, লেখক, প্রেরণাদায়ক বক্তা, টেলিভিশন উপস্থাপক। এমন বিশেষ কয়েকটি গুণের অধিকারী হলেও তিনি ডিসকভারির জনপ্রিয় শো ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’র অসাধারণ উপস্থাপক ও সাহসী অভিযাত্রী হিসেবে বিশ্বখ্যাত। শুধু টিভির পর্দায় নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনও হার মানায় রোমাঞ্চকে।

বিয়ার গ্রিলস ১৯৭৪ সালের ৭ জুন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা স্যার মাইকেল গ্রিলস ছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিবিদ এবং মা লেডি গ্রিলস। ২০০১ সালে বিয়ার গ্রিলস এর বাবা প্রয়াত হন। অন্যদিকে বিয়ার গ্রিলসের বড় বোন লারা ফসেট একজন টেনিস কোচ। লারাই বিয়ার গ্রিলস বয়স যখন মাত্র এক সপ্তাহ তখন তার ‘বিয়ার’ নামটি দেন। ভদ্রলোক আয়ারল্যান্ডে বেড়ে ওঠেন চার বছর পর্যন্ত। এরপর তিনি তার পরিবারের সঙ্গে বেমব্রিজ অঞ্চলে চলে যান। তিনি ২০০০ সালে সারা গ্রিলসকে বিয়ে করেন। তাদের তিন পুত্রসন্তান- জেস, মার্মাডিউক এবং হাক্লবেরি।  

জীবনে প্রচুর ধনসম্পদ অর্জন করলেই কি আপনি সফল ? আল্লাহর রাসুল ( রঃ ) কি বলেন এই বিষয়ে। 

গ্রিলস

বিয়ার গ্রিলস পড়াশুনা এবং প্রশিক্ষণ    

ইটন হাউস, লুগ্রোভ স্কুল এবং ইটন কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ইটন কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি সেখানকার প্রথম পর্বতারোহণ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। স্কুলজীবন শেষ হওয়ার পর তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার উৎসাহ প্রকাশ করেন। সেই সময়ে তিনি সিকিম অঞ্চলে হিমালয়ে হাইকিং করেন। পরে অবশ্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ইউনাইটেড কিংডম স্পেশাল ফোর্স রিজার্ভে কাজ করেন।

স্পেশাল এয়ার সার্ভিসে তিনি ১৯৯৬ পর্যন্ত তিন বছর কাজ করেন। মানবসেবায় অবদান রাখার জন্য ২০০৪ সালে তাকে সম্মানসূচক পদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডারে পদোন্নতি দেয়া হয়। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন পরিবেশে বেঁচে থাকার কলাকৌশলগুলো রপ্ত করেন। ২০০৫ সালে ২৪,৫০০ ফুট উঁচুতে প্যারাসুটে উঠে ডিনার করার অবিশ্বাস্য রেকর্ডটাও বেয়ার করেছেন।

 

তার মতো স্কাই ডাইভার পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এছাড়া ২০০৯ সালে ৩৫ বছর বয়সে পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ চিফ স্কাউট হিসেবে স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনে নিযুক্ত হন। এই অদম্য পুরুষ ইংরেজি, স্প্যানিশ এবং ফরাসি ভাষা জানেন। অন্যদিকে কারাতে ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত। ধর্মে তিনি একজন খ্রিস্টান এবং ধর্মবিশ্বাসকে তার জীবনের ‘মেরুদণ্ড’ মনে করেন।

কেন ডিভোর্স বাড়ছে, কিসে ধ্বংস হয় দাম্পত্য জীবন। পরিত্রাণের  উপায় কি ? 

গ্রিলস

বিয়ার গ্রিলস যেভাবে সেরা 

কিভাবে সেরা? কিভাবে হয়ে উঠলেন আজকের বিয়ার গ্রিলস। সেই সফলতার গল্প শোনাব। এই সাহসী পুরুষ এবং আপনার সফলতা একসুত্রে গাঁথা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের কল্যানে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত, জনপ্রিয়। হতে পারবেন তার মত ? ভদ্রলোক কি সব খায় ! কি সব ভয়ানক জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। এসব কি সম্ভব ? 

আপনি আল্লাহতায়ালার ইউনিক সৃষ্টি, পৃথিবীতে আপনার মত কেউ নেই। আপনার একটা ইচ্ছা শক্তি আছে সেটা দিয়ে পুরন করতে পারবেন আপনার সপ্ন। প্রয়োজন শরীর কে সুস্থ রাখা, অদম্য ইচ্ছা শক্তি।  বিয়ারের বাবা চেয়েছিলেন ” তার ছেলে যেন হিমালয়ের চুড়ায় উঠে। কিন্তু তরুন বয়সে বিয়ার গ্রিলস একটা দুর্ঘটনার শিকার হন, তার পা ভেঙে যায়। 

সফলতা আসবেই, কোন পথে ? আমরা কি সেটা জানি ? 

গ্রিলস 

ডাক্তাররা বলেন, তিনি আর কখনো স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পারবেন না। তার খুব মন খারাপ হয়। বেশ কিছুদিন তিনি বিছানায় শুয়ে থাকেন। এরপর তার বাবা তাকে একদিন হিমালয়ের ছবি দেখান এবং বলেন, জীবনে একবার হলেও তুমি এই হিমালয়ের চুড়ায় উঠবে।

একেতো ভাঙা পা, বিছানায় শুয়ে আছেন, বিষণ্ণ হয়ে পরেন। এরপরই তিনি মনস্থির করেন, ” হিমালয়ের চুড়ায় উঠবেনই”। এক সপ্তাহের মধ্যে বিছানা ছেড়ে হাঁটতে শুরু করেন। এক মাসের মধ্যে দৌড়াতে শুরু করেন। এক বছরের মধ্যে হিমালয়ের চুড়ায় উঠেন। এরপর বাকিটা ইতিহাস। ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড এর মাধ্যমে এখন তিনি বিখ্যাত।

নিজের সেরাটা করুন 

আপনি ইউনিক, আপনার মত কেউ নেই এই দুনিয়াতে। অতএব যে কাজটা করে আনন্দ পান। সেটাই করুন, আরও ভালোভাবে করুন। কখনো খ্যাতি, যশ, বা অর্থ লাভের আশায় করবেন না। এসব পাওয়ার লোভ মনের শান্তি নষ্ট করে দেয়। ওগুলো আপনা আপনি চলে আসবে। এ কারনে মহান আল্লাহ বলেন ” যারা এ পৃথিবীতে উদ্ধত হতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। পক্ষান্তরে যারা লোক দেখাতে চায়, আল্লাহ তাদের সাথে তেমনি আচরন করেন।” সুরা কাসাস – আয়াত ৮৩  

গ্রিলস

পড়ুন – বিয়ার গ্রিলসের সঙ্গে শুটিংয়ে আহত দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার রজনীকান্ত। 

আমারা সফলতার পিছনে সর্বদা দৌড়াই। অথচ আমাদের প্রথম প্রয়োজন সুস্থতা। আমাদের জীবনের সেরা সম্পদ সাস্থ্য। সুস্থ থাকলে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো হবে সহজ এবং সেরা আনন্দের বিষয়। বয়স এখন ২৫/৩০/৫০ বা তারও বেশি, বিভিন্ন রকম অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত শরীর। ডাক্তার বলেছেন সারাজীবন ঔষধ খেতে হবে। শরীরের ওজন কমাতে হবে। এখন প্রয়োজন বিয়ারের মত ইচ্ছা অদম্য ইচ্ছা শক্তি। হেলদি লাইফ স্টাইল অনুসরন , সারা জীবন সুস্থ থাকতে, নিজ লক্ষ্যে পৌছাতে এটাই সেরা উপায়।  

গ্রিলস

ঔষধের প্রয়োজন হবে না। ইনশাআল্লাহ, মানব জীবনে সুস্থতাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। বড় সফলতা। বিয়ার গ্রিলস এবং আপনার সফলতা একসুত্রে গাঁথা, আশাকরি জানতে পেরেছেন। ছবি – সকালে দৌড়ানের পূর্বে আমার প্রস্তুতি।  

সেলিম হোসেন – ১৫/১২/২০২২ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *