দাবদাহ – পুড়ে যাচ্ছে চারিদিক !! Dabdah – burning all around!!

দাবদাহ
দাবদাহ 

পুড়ে যাচ্ছে চারিদিক !! কি হচ্ছে ? গরমে চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, মুখের ত্বক পুড়ে যাচ্ছে, জ্বালাপোড়া করছে, ঠোঁট ফেটে যাচ্ছে। অসময়ে বিক্রি বেড়েছে ভ্যাসলিন জাতীয় পন্যের। এরই মধ্যে গতকাল তাপমাত্রার রেকর্ড ছুঁয়েছে ঢাকা।

শুক্রবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬০ সালের পরে ঢাকায় এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। ১৯৬০ সালের এপ্রিলে ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেটা রেকর্ড শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।

দাবদাহ

এই গ্রহে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম তাপমাত্রা রেকর্ড করা শুরু হয় ১৮৫০ সালে। সেই শুরুর সময় থেকে নিকট অতীত ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২৩ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের উষ্ণতম বছর। এমনটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (এনওএএ)। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাসহ পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সংস্থা।গবেষকেরা বলছেন, তাপমাত্রায় ২০২৩–কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ২০২৪ সালে। এ ধারণা যে অমূলক নয়, তা বছরের প্রথম দিকে অর্থাৎ জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেই খানিকটা আঁচ পাওয়া গেছে। 
কিন্তু হঠাৎ পৃথিবীর উত্তাপ কেন ঊর্ধ্বমুখী হলো? দাবদাহ কেন বিপর্যস্ত করছে জনপদ। বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?

গাছ আমাদের কোন কাজে লাগে। 

দাবদাহ

এল নিনো এমন একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। যা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পানির উপরিভাগকে উষ্ণ করে তোলে। এর ফলে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শুরু হয় দাবদাহ। সাম্প্রতিক সময়ে এল নিনোর প্রভাব কিছুটা কমেছে। পৃথিবী আবহাওয়া এখন এল নিনো ও লা নিনার মাঝামাঝি অবস্থায় আছে। এ বছরের শেষ দিকে লা নিনা শুরু হতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ। আর এটি হয় জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে। সারা বিশ্ব সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় রাখতে। কিন্ত এখন পর্যন্ত সফলতা মেলেনি। বরং আবহাওয়া আরও গরম হয়ে উঠছে।

গত জুন পর্যন্ত ১২ মাসে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ছিল আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, তার তুলনায় এই তাপমাত্রা ১ দশমিক ৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

কিভাবে দ্রুত চর্বি ঝরিয়ে, ওজন কমাবেন। 

 
দাবদাহ

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতেই ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। দেশে এ যাবৎকালের রেকর্ড।এরই মাঝে গ্রাম এলাকায় থাকে না বিদ্যুৎ। এ অবস্থা যদি আর কয়েকদিন চলতে থাকে তাহলে পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসবে। মহান আল্লাহর কাছে আমাদের একান্ত নিবেদন, আপনি আপনার রহমতের বৃষ্টি দিয়ে আমাদের কে রেহাই দিন। 

 

সেলিম হোসেন – ১৫/০৪/২০২৩ – ছবি গুলো প্রতীকী।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *