ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে, সুস্থও থাকবেন। 1. Diabetes will be cured. 2. Stay healthy.

ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস এর লক্ষন

ডায়াবেটিস এক আতঙ্কের নাম। ভয়ানক রোগ। সারাজীবন ঔষধ খেতে হয়। এমন ধারনা আমাদের। এই রোগ হলে কি হয় ? অন্য বড় বড় রোগ গুলো বোনাস হিসেবে আসে। তবে একটু সচেতন হলেই মুক্তি মিলবে। তার আগে আসুন লক্ষন গুলো জেনে নিই।

বার বার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া। অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া। ওজন হ্রাস পাওয়া। শরীরে কোনো ঘা শুকাতে দেরী হওয়া। অধিকতর তৃষ্ণা পাওয়া। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে। হাত পা অসার অসার হয়ে আসে। ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক সংক্রমণ হয়।

পড়ুন – শরীরের অতিরিক্ত ওজন কিভাবে কমাবেন, সবচেয়ে সাস্থ্যকর উপায়ে। 

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে

এটি মুলত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। যখন আমরা শর্করা জাতীয় খাবার খাই শরীরে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়।ইনসুলিন শর্করাকে কোষে নিয়ে যায়। কোষ শর্করা ব্যাবহার করে শক্তি উৎপন্ন করে। ফলে রক্ত শর্করা মুক্ত থাকে। ইনসুলিন নিঃসৃত না হলে শর্করা রক্তে থেকে যায়। রক্তে থেকে যাওয়া এই অতিরিক্ত শর্করা হল, সহজ  ভাষায় ডায়াবেটিস টাইপ ২। প্রায় সব রোগীই এই টাইপের।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থাকলে কি করতে হবে। প্রথমত ঘুমের ধরন টা ঠিক করতে হবে।ডেইলি ঘুমাতে যাবেন রাত ১০ টার মধ্যে। তাহলে রাত ২ পর্যন্ত সপ্ন বিহীন ঘুম হবে, যে চিকিৎসকের ভাষায় ডেল্টা স্লিপ নামে অভিহিত। ঘুম থেকে উঠবেন ভোর ৫ টায়। আমাদের শরীরের হরমোনের একটি ছন্দ আছে। একে বলা হয় সারকাডিয়ান রিদম। এই রিদম আমাদের ঘুম এবং ডেইলি এক্টিভিটির সাথে পরিবর্তন হয়।

যখনই আমাদের ঘুমের ধরন ওলট পালট হয়ে যায় তখন এই রিদমও উলটা পালটা হয়ে যায়। যার ফলে তৈরি হয়  হরমোনাল ইমব্যালেন্স। তাই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ঠিক করার প্রথম এবং প্রধান শর্ত ঘুম। আপনি ঘুমের ধরন ঠিক না করে যতই চেষ্টা করি না কেন, সফল হব না। সকল ধরনের হরমোনাল ইমব্যালেন্স বার বার শরীরে ফেরত আসবে।

ডায়াবেটিস

কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না

ঐ খাবার টাই খাবেন যে খাবারে ইনসুলিন কম নিঃসৃত হয়। যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যে খাবারে প্রচুর আঁশ আছে।

যেমন ধরুন ডিম ঘি দিয়ে পোঁচ করলেন। কুসুম নরম রেখে। এক্ষেত্রে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একেবারেই কম থাকবে। অর্থাৎ ইনসুলিন নিঃসৃত কম হবে। ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার গুলো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যেমন – ইলিশ মাছ, পাঙ্গাস মাছ, সামুদ্রিক মাছ অর্থাৎ তৈলাক্ত সব মাছ। আরও আছে বাদাম, ফ্লাক্স সিড, পামকিন সিড, চিয়া সিড ইত্যাদি।

কমপ্লেক্স শর্করা জাতীয় খাবার খাবেন। এ জাতীয় খাবারে প্রচুর আঁশ আছে। অর্থাৎ যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যেমন – লাল চালের ভাত, যবের ছাতু, কালো চালের ভাত, কিনোয়া, বাকউইড। গ্রিন আপেল, পীচ, কলা, ডুমুর, বেরি, কিউই। ব্রকলি, গাজর, পালং শাক, মটরশুঁটি ছোলা।                        কমপ্লেক্স শর্করা ব্রেক ডাউন হয়ে শরীরে শোষিত হতে সময় বেশি নেয়। ফলে ইনসুলিন ধীরে ধীরে নিঃসৃত হয়। আমরা জানি আঁশযুক্ত হজম হতে বেশি সময় নেয়। একারনে ক্ষুধাও কম লাগে।

ভিডিও দেখুন – ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির বলছেন ” ডায়াবেটিস দূর করা অতি সহজ।” 

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক এখন ব্যাপক ভাবে দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারন ডায়াবেটিস। এই জটিলতায় নষ্ট হতে পারে কিডনি। মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়। কারও কারও পায়ের আঙুল বা পা কেটে ফেলতে হয়। আরও নানাবিধ সমস্যা তৈরি হতে পারে।

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

সব ধরনের সবজি খেতে পারেন। কোন অসুবিধা নেই। কিছু সবজি পরিমানমত খাবেন। যেমন – গাজর, মুলা, শালগম। পাকা কলা খেতে পারেন। মাঝারি সাইজের এবং কলা খুব বেশি যেন পেকে না যায়।

পড়ুন – আজীবন কিভাবে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্ত থাকবেন, ঔষধ ছাড়াই। 

বিজ্ঞান জীবন যাত্রাকে আরও সুস্থ এবং সুন্দর করতে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছে। নতুন সব গবেষণা বলছে এই দুরারোগ্য ব্যাধি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমারা ইদানিং আরও জানতে আমাদের ব্রেইন শুধু মাথায় নয় পেটেও আছে। এটা হচ্ছে আমাদের গাঁট।                                                          গাঁট কে সুস্থ রাখতে প্রবায়োটিক যুক্ত খাবার খাবেন। যেমন – কিমচি, সাওয়ার ক্রাউট, টক দই, ডার্ক চকলেট। গাঁটের ভালো ব্যাকটেরিয়া হেলদি খাবার খেতে চাহিদা তৈরি করে। খারাপ ব্যাকটেরিয়া জাঙ্ক ফুড , আন হেলদি খাবার খেতে প্ররোচনা দেয়।

ডায়াবেটিস

সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। সবার জন্য শুভ কামনা।                                                                                              সেলিম হোসেন – ৩০/০৭/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী

Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *