সিল বিহীন ড্রামের গল্প। ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির। কি গল্প আছে সেখানে !! The story of the unsealed drum.

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির
সিল বিহীন ড্রামের গল্প। ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির ধরা খেয়েছেন। এমন হেড লাইন করেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। আসুন আমরা বিষয় টা কল্পনায় ডুব দেই।
ড্রামে থাকত ঘি, ক্রেতাদের মাঝে ঘি টা দারুন সুনাম কুড়িয়েছিল, তার খাটি মান আর স্বাদ দিয়ে।
হঠাৎ বিপত্তি ড্রামের বাড়িতে হাজির হন কর্তা বাবু, ড্রাম কে ঝাঁঝালো সব প্রশ্ন করতে থাকেন। ঘিয়ের মান, স্বাদ, মেয়াদকাল সব প্রশ্নে দারুনভাবে উত্তর দেয় ড্রাম টি। কর্তা বাবুর কপালে ঘাম, কর্তা বাবু নতুন প্রশ্ন করেন।
কর্তা বাবু ঃ তোমার গায়ে সিল কোথায় ?
ড্রাম ঃ আমি তো ধারণকৃত পাত্র, সিল আছে কৌটার গায়ে।
কর্তা বাবু ঃ তোমার গায়ে সিল থাকতে হবে।
তখন বাড়িওয়ালা সব কাগজ পত্র দেখালেন।
কর্তা বাবু ঃ এসব কাগজে হবে না। ড্রামের গায়ে সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
ড্রাম ঃ কর্তা বাবু
শুনুন একটা ঘটনার কথা বলি। ৯০ সালের দিকে পত্রিকায় পড়েছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা এক ছেলে যাবে আমেরিকায়। ছেলেটি তার প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিল আমেরিকান দুতাবাসে। রাষ্ট্রদূত তাকে বললেন, তুমি অমুক বিষয়ে তথ্য নিয়ে দুই মাস পরে দেখা কর। তারিখ অনুযায়ী ছেলেটি কাগজ সহ দেখা করল। এবারে বলা হল আরেক বিষয়ে তথ্য নিয়ে তিন মাস পরে দেখা কর।
এভাবে ছেলেটি বিভিন্ন কাগজ সহ কয়েকবার দেখা করল। শেষ বার ছেলেটির কাছে যখন আরও একটি তথ্য চাওয়া হল। তখন ছেলেটি খুব বিরক্ত হল। তবে এবারও ছেলেটি দেখা করল, রাষ্ট্রদূতের সামনে কাগজ টি মেলে ধরল। রাষ্ট্রদূত অবাক হয়ে ডানে বাঁয়ে চোখ ঘুড়িয়ে এরপর ছেলেটির মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বললেন , তোমার ডেথ সার্টিফিকেট তুমি কিভাবে যোগার করলে, এটা কিভাবে সম্ভব !?

সিল বিহীন ড্রামের গল্প।

কর্তা বাবু আপনি দেখেছেন তো, করোনাকালে আমাদের এক ডাক্তার আপু কিভাবে করোনার সার্টিফিকেট দিয়েছেন আমাদের কে।
কর্তা বাবু ঃ ওসব বুঝিনা, তোমার গায়ে সিল নাই, অতএব জরিমানা গুন।
ড্রাম ঃ কর্তা বাবু এই ছবি গুলো দেখুন, এই প্রতিটি খাবারেরই সার্টিফিকেট আছে, রাস্তার ধারেই ছোট বড় অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন, অনলাইনেও অর্ডার করতে পারবেন। অথচ খাবারগুলো সাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
কর্তা বাবু ঃ তুমি বেশি কথা বল, যেহেতু তোমার গায়ে সিল নাই, এর মানে হল তোমার বাবা মা নাই, অর্থাৎ সঠিক জন্ম পরিচয় নাই । তোমাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হল।
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির এবং ঘি 
ড্রাম ঃ কর্তা বাবু আমাদের ঘি আপনি এক কৌটা বাসায় নিতে পারেন, আপানার বাচ্চাদের জন্য খুবই সাস্থ্যকর হবে। প্যাক করে দিব ?
কর্তা বাবু ঃ তুমি আসলেই বেশি কথা বল।  রাবিস
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির এর সিল বিহীন ড্রামের গল্প। গল্প শেষ হল জরিমানা দিলেন মানুষের কল্যানে নিয়োজিত Dr Jahangir Kabir
লেখাটি কেমন লেগেছে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *