ছাগল কেনার গল্প
ছাগল নয় অন্য গল্প ১. প্রথমে আমরা পুরান ঢাকায় চলে যাই। তখন ঢাকায় বেশি রিক্সা চলত। এত প্রাইভেট গাড়ী ছিল না, সেই চল্লিশ দশকের কথা। এক ভদ্রলোক পোশাক পরিচ্ছদে বেশ পরিপাটি হয়ে রিক্সায় যাচ্ছিলেন। বেশ ফুরফুরে মেজাজে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলেন। হঠাৎ পিছনের এক রিক্সায় তার চোখ আটকে যায়। রিক্সার হুড তোলা, বসে আছেন এক মহাসুন্দরি যুবতী মেয়ে। ভদ্রলোক চোখের ফেরাতে পারছেন না। বুকের ভেতরের হু হু শব্দ কানে শুনতে পাচ্ছেন।
এবার সামনে তাকালেন, আবার পিছনে তাকালেন কিন্ত হুড তোলা থাকায় ঠিকমত দেখতে পাচ্ছেন না। মেয়েটির রিকশাওয়ালাও বয়সেও প্রবীণ। বাতাসের চাপে জোড়ে চালাতে পারছেন না। এদিকে লোকাটার রিক্সা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরী মেয়েটি আরও পিছনে পরে যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে না।
আমেরিকা রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতদের দৌড় প্রতিযোগিতা। মজার কাহিনী।
ভদ্রলোক রিকশাওয়ালা কে থামতে বললেন। বললেন, অনেক বাতাস, সিগারেট ধরাতে হবে। রিক্সা থেমে গেল, তিনি লাফ দিয়ে রিক্সা থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়ালেন। যাতে করে মেয়েটিকে প্রান ভরে দেখে যায়। সুন্দরীর রিক্সা এগিয়ে আসে। রুপের ঝলকে সোনালি বিকেল উজ্জ্বল হয়ে উঠে। মন্ত্রমুগ্ধের মত মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকেন লোকটি। লাস্যময়ীর রিক্সা পার হয়ে যায়। হাতের জলন্ত সিগারেট পুড়তে থাকে, সিগারেটে টান দেয়ার কথা ভুলে যান।
রিক্সাওয়ালা মুখ ঘুড়িয়ে মিটি মিটি হাসছেন। স্বগত স্বরে বলেন ” মোর জ্বালা, এই দেহি হালায় মজনুরে লইয়া পরছি। একটু গলা খাঁকারি দিয়ে বলে ” ছাব বাতাস চইলা গেছে গা, এহন চালাই।” হুঁশ ফিরে থতমত খেয়ে বলেন ” ও হ্যাঁ, চালাও চালাও। ”
ইঁদুর মদ খেলে কি করে ? গবেষণায় উঠে এল মজার ফলাফল।
ছাগল নয় ঢাকাইয়া গল্প ২.
সেকালে পুরনো ঢাকায় গান বাজনা থিয়েটারের চল ছিল। এই মহল্লায় ঐ মহল্লায় বেশ সারা পরে যেত এইসব নাচ গান দেখার জন্য। অনেক সময় সিনেমা হল ভাড়া নিয়ে আয়োজন করা হত। ঢাকার নবাবেরাও কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। আহসান মঞ্জিলের মালিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ যারা প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমোদ প্রমোদ কৃষি কুটির শিল্প প্রদর্শনী হতো রেসকোর্স ময়দান বা শাহবাগে।
একবার হল কি ! একটি জমজমাট নাচের আসর বসেছে। নাচ শুরু হলে দেখা গেল যে নাচছে সে মেয়ে নয়। তখন সাধারনত পতিতা পল্লী থেকে পতিতা ভাড়া করে আনা হত নাচ এবং অভিনয়ের জন্য। হয়ত কোন কারনে তাদের কাউকে পাওয়া যায় নি। এক ছেলেকে মেয়ে সাজিয়ে আসরে নামানো হয়েছে।
সে প্রানপন নেচে চলেছে, যাতে করে কেউ বুঝতে না পারে, যে সে একজন পুরুষ। প্রচণ্ড গতিতে কোমর দোলাচ্ছে। নাচের মুদ্রা এবং শৈলী এলোমেলো হয়ে উম্মত্ততার পর্যায়ে পৌঁছেছে।নাচ দেখে এক পুরান ঢাকাইয়া মন্তব্য করে ” ঐ হালায় দুই আণ্ডা ওয়ালা বাইজি, কোমর কম হিলা, মাথা ঘুরায় !”
বউকে গল্প বলে রুটি বেলা বেলুনের পিটুনি খেল অমিত।
ছাগলের গল্প ৩
ছাগলের দল তাড়িয়ে নিতে কয়েক জন সহযোগী ছিলেন তার সাথে। মেঠো রাস্তায় তাদের পথচলায় ধুলো উড়ছিল। ঢাকার পুরনো দিনের কথা। তখন ঢাকা শহরে এত গাড়ি, রাস্তা ঘাট ছিল না। এগুলো কেনা বেচার বড় বাজার ছিল নবাবপুরে। একজন ব্যাপারী এক পাল ছাগল আর পাঁঠা নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। নবাব পুর থেকে গেণ্ডারিয়ার দিকে।
রাস্তার পাশের চা দোকানের বেঞ্চে বসে ছিলেন একজন লোক। তিনি উঠে দাঁড়ালেন। পাঁঠা কেনার জন্য ডাক দিলেন।
পড়ুন – বায়ু ত্যাগ বা পাদা পাদি নিয়ে দারুন সব রম্য ঘটনা।
বেপারী ” পাঁঠা ” ডাক শুনে বিরক্ত হলেন।
ভদ্রলোক আবারও হাঁক দিলেন ঐ পাঁঠা, ঐ পাঁঠা
বেপারী থামছেন না, মনে মনে খুব রাগান্বিত।
ভদ্রলোক এবার আরও জোরে ডাক দিলেন ঐ পাঁঠা, ঐ পাঁঠা ” এত ডাকি শুনতে পাওনা, ঠসা নাকি ? ”
বেপারীর আর সহ্য হলনা। তিনি পাঁঠার পাল সহ থামলেন। একটি পাঁঠার গলার দড়ি ধরে টানতে টানতে লোকটার কাছে এলেন।
আপনার প্রিয় কিভাবে আবিস্কার হয়েছিল জানেন ?
ছাগলের ছবি
পাঁঠার কান ধরে দুই কানে জোরে থাপ্পর দিয়ে বললেন ” হালার পো হালা কানে হুন না, বয়রা অইছ । তোর বাপে ” ঐ পাঁঠা, ঐ পাঁঠা ” ডাকতে ডাকতে পেরেছেন অইয়া গেল ‘।
গরুর লাহান চিল্লাইতেছে, আর তুমি পাঁঠা বিটলামি কর।
ভদ্রলোক একেবারে চুপ হয়ে গেলেন।
পড়ুন – ছাগল কেনার রম্য স্মৃতি নিয়ে অভিনেতা আবুল হায়াতের গল্প।
সেলিম হোসেন – তাং – ০৩/০২/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী