ঘুমের ন্যাচারাল ঔষধ আম !! ন্যাচারাল আরও ৩ টি ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে জেনে নিন। ন্যাচারাল আম চেনার উপায়। Mango natural medicine for sleep!! Know 3 Natural Sleep Remedies

ন্যাচারাল ঔষধ

১. আম ঘুমের ন্যাচারাল ঔষধ  

ঘুমের ন্যাচারাল ঔষধ। ঘুমের ঔষধ খাবেন নাকি সুমিষ্ট সুস্বাদু ফলটি খাবেন ? বাজারে কেনার সময় একটু খেয়াল করবেন। তাহলে ভালো ন্যাচারালি পাকা গুলো কিনতে পারবেন।    

১. কেমিক্যালি পাকা আমের গায়ে সবুজ ছোপ থাকে। এই প্যাচগুলো হলুদ থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা করা যায়।

অন্যদিকে ন্যাচারালি পাকা গুলোর গায়ে হলুদ ও সবুজ রঙের সমান মিশেল থাকে। ন্যাচারালি পাকা গুলোর চেয়ে  কৃত্রিমভাবে পাকানো গুলো বেশি উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয়।  

২. কেমিক্যালি পাকা এই সুমিষ্ট ফল খাওয়ার সময় মুখে হালকা জ্বালা অনুভব হয়। খাওয়ার পরে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এমনকি গলায় জ্বালাপোড়ার মতো গুরুতর প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ন্যাচারাল ঔষধ

জেনে নিন – আজ থেকেই ঔষধ ছাড়াই রাতে ঘুম আসবে। 

৩. যখন ন্যাচারালি পাকা এই মনলোভা ফল যখন কাটবেন তখন দেখবেন পাল্পের রং উজ্জ্বল লাল-হলুদ। তবে কেমিক্যালি পাকানো পাল্প হালকা ও গাঢ় হলুদ। এমন রং বলে দেয় যে সেটি পুরোপুরিভাবে পাকেনি। বাইরে থেকে পুরোপুরি পাকা মনে হবে কিন্তু ভেতরে কাঁচাভাব থাকে। 

৪. ন্যাচারালি পাকা গুলো অনেক রসালো ও মিষ্টি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে কেমিক্যালি পাকা গুলোর ক্ষেত্রে রস ও মিষ্টিভাব দুটোই কম থাকে।

৫.  বিশেষজ্ঞদের মতে,  মৌসুমে যখন প্রচুর পরিমাণে পাকা, সুমিষ্ট, সুস্বাদু এই ফল পাওয়া যায়। তাই কেনার সময় খেয়াল করুন।   

আমাদের অনেকের কাছেই এটি সেরা ফল, আমার নিজেরও খুব প্রিয়।  

পুষ্টিকর এই ফলে আছে ভিটামিন এ, সি, বি বা পাইরোডক্সিন। পাইরোডক্সিন সেরোটোনিন সিনথেসিসে সাহায্য করে। সেরোটোনিন আমাদের দেহে মেলাটোনিন উৎপাদন করে একারনে ঘুম ঘুম ভাব হয়।  

ভিডিও দেখুন – হেলদি লাইফ স্টাইলে মিষ্টি ফল কিভাবে খাবেন। ডাঃ জাহাঙ্গির কবির।  

ন্যাচারাল ঔষধ 

আরও আছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম একারনে আম খেলে পেশী রিলাক্স হয়, দুশ্চিন্তা লাঘব হয়। আছে ট্রিপ্টোফ্যান নামক এমাইনো এসিড। ট্রিপ্টোফ্যানও সেরোটোনিন সিনথেসিস করে একারনে ঘুম ভাব হয়।

যদি সাস্থ্যগত সমস্যা বা ওজন কমানোর ইস্যু না থাকে , তাহলে রাতে ডিনার হিসেবে শুধুমাত্র কয়েকটি পাকা ফল খেতে পারেন একসাথে। অন্য কোন খাবার খাবেন না।  

আশাকরি ভালো ঘুম হবে। সকাল বেলায় ব্যায়াম করবেন। 

মোবাইল ছাড়া ১৩৪ দিন কিভাবে কাটলো ‘ইয়াং হাওয়ের’।  

ন্যাচারাল ঔষধ

২. ঘুমের ‘ন্যাচারাল ঔষধ’ হিসেবে কাজ করে এসব খাবার 

ঘুমের ওষুধের প্রতি নির্ভরশীলতা আমাদের শরীরের জন্য ডেকে আনে মারাত্মক ক্ষতি। ঘুমের ঔষধ ত্যাগ করুন না হলে ঘুম আপনাকে ছেড়ে যাবে। তাই এসব ক্ষতিকর ড্রাগের বিকল্প হিসেবে বেছে নিন ন্যাচারাল ঔষধ।   

 
পাকা কলা: এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদান  মাংসপেশিকে শিথিল রাখতে বেশ কার্যকরী। কলা খাওয়ার পর শরীরে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন হরমোন নির্গত হতে শুরু করে। যা ঘুমের দেশে আপনাকে খুব দ্রুত নিয়ে যেতে পারে।
 
 
ন্যাচারাল ঔষধ
 
মধু: মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের নিউরোট্রান্সমিটারের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের শত্রু এই উপাদানটিকে দূর করতে হলে রাতে এক চা চামচ মধু খেতে পারেন। মধু খাওয়ার পর মস্তিষ্কে গ্লুকোজ প্রবেশ করে এবং ওরেক্সিন উৎপাদন বন্ধ করে দিতে শুরু করে। তাই মধু খাওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে আপনার ঘুম চলে আসতে শুরু করবে। 
 
বাদাম: রাতে ঘুমের সমস্যা থাকলে খাবারের পর এক মুঠ বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে রাতের ঘুম অনেকটাই গভীর হবে আপনার। তবে যদি পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকে, তবে রাতের পরিবর্তে বিকেলে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।  
 
ওটমিল: ঘুমের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ওটমিলকেও কাজে লাগাতে পারেন। ওটমিলে রয়েছে ঘুমের সহায়ক উপাদান মেলাটোনিন। নিয়মিত ওটমিল খাওয়ার অভ্যাসে একদিকে যেমন ঘুমের সমস্যা দূর হবে। অন্যদিকে ওজন কমাতেও সহায়তা করবে। 
 
সিদ্ধ আলু: নিয়মিত ডায়েটে সিদ্ধ আলু রাখলে ট্রাইপটোফানের সাহায্যে হাই তোলায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এর ফলে খুব দ্রুতই আপনার মস্তিষ্ক ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগ পায়।
 
 
ন্যাচারাল ঔষধ
৩. ঘুমের ন্যাচারাল ঔষধ রোদ এবং নিশ্বাসের ব্যায়াম
টেনশন মুক্ত থাকবেন। বলতে পারেন, টেনশন তো চলে আসে কি করব ? হ্যা, টেনশন সবারই হয়। এটাকে ম্যানেজ করতে হয়। টেনশন মুক্ত থাকতে নিশ্বাসের ব্যায়াম খুবই কার্যকরী। 4 -7- 8 breathing session লিখে ইউটিউবে সার্চ দিন পেয়ে যাবেন নিশ্বাসের ব্যায়াম। রাতে ঘুমানোর পূর্বে ব্যায়াম টি করুন। 
প্রতিদিন সকাল ৯- বিকাল ৩ টার মধ্যে ৩০ মিনিট সময় রোদে থাকবেন। এতে শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদন বাড়বে। মেলাটোনিন ঘুমের ন্যাচারাল ঔষধ। 

সেলিম হোসেন – ২৯/০১/২০২২ ইং 

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals. 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *