ভারতে নিখোঁজ এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধার
১২ মে দুপুর ২টা ৪০ ২০২৪ সাল এম পি আনোয়ারুল আজিম ( ঝিনাইদহ – ৪ ) ভারতে যান।
দরশনা গেদে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেন তিনি। উঠেন ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার বরাহনগর থানার ১৭/৩ মন্ডলপাড়া। বাসা টি তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যাবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের।
পরদিন দুপুর ১টা ৪০ নাগাদ ওই বাড়ি থেকে বের হন। কিছুটা পথ হেঁটে বিধানপার্ক কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে যান। একটি ভাড়া গাড়িতে উঠেন। ওই সময় তিনি হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন। সেই দৃশ্য দেখেছেন গোপাল বিশ্বাসের পরিচিত শুভজিৎ মান্না।
পড়ুন – ভাইরাল নিউজ মাতৃত্বের বিজয় ইরানে
এমপি নিখোঁজ – বন্ধু স্বর্ণ ব্যাবসায়ী গোপাল
তিনি গোপাল কে বলেছিলেন যে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাবেন। কোন ডাক্তার ভালো হবে? সেটাও জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম সল্ট লেকের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন। বলেন গোপাল বিশ্বাস।
সন্ধ্যায় গোপাল বিশ্বাসের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ম্যাসেজ আসে। তিনি (এমপি আনার) রাতে ফিরছেন না। দিল্লি যাচ্ছেন। এ সময় যাতে তাকে আর ফোন না করা হয়। তিনি দিল্লি পৌঁছে নিজেই ফোন করবেন। ম্যাসেজে লেখা ছিল।
এরপর আনারকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। তিন দিন পর ১৫ মে সকাল সোয়া ১১টায় তিনি শেষ ম্যাসেজে জানান, দিল্লি পৌঁছে গেছেন। তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন।
পড়ুন – ভাইরাল নিউজ বেইলি রোডে আগুন
আনার নিখোঁজ হওয়ায় সন্দেহ হয় বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের।
তিনি কলকাতার বরাহনগর থানায় যান। ১৮ মে লিখিত মিসিং ডায়েরি করেন থানায়।
ভারতে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আনারের। ১৭ই মে গোপাল বিশ্বাসকে মি. আজিমের মেয়ে ফোন করেন। বলেন তার বাবার সঙ্গে কিছুতেই তারা যোগাযোগ করতে পারছেন না।
নিখোঁজ আনারের মেয়ে মিজ ডরিন জানান।
আমরা তো ভারতে মাঝে মাঝেই যাই। পার্লামেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দু-তিন দিনের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন বাবা। এরকম রেগুলারই তিনি যান। ওনার কানে একটা সমস্যা আছে। একটা কান পুরোই বন্ধ হয়ে গেছে। সেটি চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন।
আনার ৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর
আনোয়ারুল আজিম আনারের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে। উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এদিন রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
ভারতের পুলিশ জানিয়েছে, এমপির সম্পূর্ণ লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দেহের মূল অংশ ট্রলিতে ভরে পাচার করা হয়েছে। বাকী দেহাবশেষ উদ্ধার করা গেছে।
পড়ুন – ভাইরাল নিউজ প্রবাসীর করুন কাহিনী
নিখোঁজ আনারের হত্যা কাণ্ড ঘটিয়েছেন যারা।
সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। বলছে কলকাতা পুলিশ। এমপিকে হত্যার পর পাঁচজন দেশে ফিরে আসে । একজন এখনো ভারতেই অবস্থান করছে। তবে বাংলাদেশে ফিরে আসা পাঁচজনের মধ্যে একজন অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
কলকাতা বিধাননগর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা বলেছেন, ক্যাব চালক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ১৩ মে যে ব্যক্তিকে সে গাড়িতে তুলেছিল তাকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে লাশ ছড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, যে ফ্ল্যাটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে; সেটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সেখানে কাউকে এখনো ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
পুলিশের সূত্র বলেছে, ওই ফ্ল্যাটে তিনজনকে ঢুকতে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে একজন নারী। তবে ওই তিনজনকে সেখান থেকে বের হতে আর দেখা যায়নি।
আসামী ধরা পড়েছে
নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারাই জানান লাশ আছে সঞ্জিভা গার্ডেনে। সে খবর দেয়া হয় কলকাতা পুলিশকে। পরে বুধবার (২২ মে) এই লাশ উদ্ধার করে ভারতের পুলিশ।
পড়ুন – ভাইরাল নিউজ সাগরিকা পারুলের মদের
অবশেষে নিখোঁজ অবস্থার সুরাহা হয়। আগামীতে আরও তদন্ত হবে। আরও অনেক সংবাদ সামনে আসবে। নিউজ টি ভাইরাল হয়ে যায়।
সেলিম হোসেন – তাং – ২৩/০৫/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী।