হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে
চারিদিকে হার্ট অ্যাটাক,স্ট্রোকের মহামারি। ফার্মেসি দোকানে ভিড়। বিক্রি বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক,স্ট্রোক জনিত ঔষধের। ২০ বছর বয়সী ছেলে হার্ট অ্যাটাক মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে ক্লাস সেভেনে পড়া মেয়ে। পাশের বাড়ি বা ফ্লাটের কাউকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন, পরিবারের কোন সদস্যের রিং পড়ানো আছে।
কিন্ত কেন এমন হচ্ছে ? কেন এই মহামারি ? বিজ্ঞান বলছে এর প্রধান কারন ইনফ্লামেশন। অর্থাৎ শরীরে প্রদাহ। আর এই প্রদাহের প্রধানতম কারন শরীরে হেভিমেটাল বা মার্কারি ঢুকে পড়া। এটা কিভাবে আমাদের শরীরে ঢুকছে ? জানতে হলে, আসুন একটি গবেষণা পেপার দেখি।
বাঁচতে হলে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষন গুলো জানতেই হবে

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ গবেষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
নাজমা শাহিন ম্যাডাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তার নেতৃত্বে গবেষণা টি শুরু হয় কয়েক বছর আগে। তারা বাজার থেকে ১৫২১ নমুনা নেন। সয়াবিন ও পাম তেলের। টিম নিরন্তর পরীক্ষা চালায়। গতবছর জার্নাল প্রকাশ করে।
সেখানে দেখা যায়, আমাদের সবরকম সয়াবিন ও পাম তেলে হেভিমেটাল আছে। শরীরে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০ গুন বেশি। ১ বা ২ গুন নয় ২০ গুন বেশি !! সমস্যা কি ? হেভিমেটাল আমাদের নার্ভাস সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিডনি উপর চাপ তৈরি করে। আর হৃদপিণ্ড বা মস্তিস্কের রক্ত প্রবাহের নালীকে ধ্বংস করে।
রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত মানে হৃদপিণ্ড ও মস্তিস্কে রক্ত প্রবাহে বাধা। অবশেষে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক। এটুকু পড়ে আপুরা ভাবছেন খাবার তেল আজই বদলে ফেলবেন। থামুন, হেভিমেটাল শরীরে ঢোকার আরও দুটো উপায় আছে। রঙ ফর্সাকারী ক্রিম এবং মেছতা দূরকারী ক্রিম। এই দুটো ক্রিমে ভালোমত হেভিমেটাল আছে।
কেন বিজ্ঞান সরিষার তেল খেতে বলে

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ কেন জরুরী
অনেকেই রাত জাগেন। কেউ কেউ ফ্যাশন করে, কেউবা অযথাই। বিশেষ করে হোস্টেল বা মেসের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এটা ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। রাত জাগেলেও শরীরে প্রচুর প্রদাহ তৈরি হয়।


হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ সহজ ৩ টি উপায়
অতএব, বাঁচতে হলে, সুস্থ থাকলে হলে সতর্ক হতে হবে। নিজে বাচুন, পরিবারকে বাঁচান। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে করুন ৩ টি কাজ।
১. রান্নায় সতর্কতা – সাস্থ্যকর খাবার খাবেন। পরিমিত পরিমান খাবেন। সয়াবিন, ক্যানোলা, সূর্যমুখী, পাম এজাতীয় তেলে রান্না খাবার খাবেন না। সরিষা, নারিকেল তেল, অলিভ ওয়েল রান্নায় ব্যবহার করুন।
২. শ্বাসের ব্যায়াম – নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করবেন। নিশ্বাসের ব্যায়াম করবেন। উইম হফ মেথড বা ডাঃ ওয়েলের ৪-৭-৮ মেথড দারুন উপকারি। ইউটিউবে সার্চ দিলেই পাবেন।
৩. ভালো ঘুম – রাত ১০ টায় ঘুমাতে যাবেন। ভোর সাড়ে ৪ টায় ঘুম থেকে উঠবেন। এতেকরে সারকাডিয়ান রিদম বা জৈব ঘড়ি দারুন কাজ করবে।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন। সেলিম হোসেন – তাং ০৭/১১/২০২৫ ইং – প্রতীকী ছবি গুলো পেক্সেলস থেকে নেয়া।
এক রেমিডিতেই হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ ডাঃ এরিক বারগ

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.









