হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত সহজ ৩ টি ন্যাচারাল উপায়ে Prevent heart attack in 3 simple, scientific and natural ways

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত
ওজন কমাতে Keto health oxide supplemen দারুন সহায়তা করে

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে

চারিদিকে হার্ট অ্যাটাক,স্ট্রোকের মহামারি। ফার্মেসি দোকানে ভিড়। বিক্রি বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক,স্ট্রোক জনিত ঔষধের। ২০ বছর বয়সী ছেলে হার্ট অ্যাটাক মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে ক্লাস সেভেনে পড়া মেয়ে। পাশের বাড়ি বা ফ্লাটের কাউকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন, পরিবারের কোন সদস্যের রিং পড়ানো আছে।

কিন্ত কেন এমন হচ্ছে ? কেন এই মহামারি ? বিজ্ঞান বলছে এর প্রধান কারন ইনফ্লামেশন। অর্থাৎ শরীরে প্রদাহ। আর এই প্রদাহের প্রধানতম কারন শরীরে হেভিমেটাল বা মার্কারি ঢুকে পড়া। এটা কিভাবে আমাদের শরীরে ঢুকছে ? জানতে হলে, আসুন একটি গবেষণা পেপার দেখি।

বাঁচতে হলে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষন গুলো জানতেই হবে 

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ গবেষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 

নাজমা শাহিন ম্যাডাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তার নেতৃত্বে গবেষণা টি শুরু হয় কয়েক বছর আগে। তারা বাজার থেকে ১৫২১ নমুনা নেন। সয়াবিন ও পাম তেলের। টিম নিরন্তর পরীক্ষা চালায়। গতবছর জার্নাল প্রকাশ করে।

সেখানে দেখা যায়, আমাদের সবরকম সয়াবিন ও পাম তেলে হেভিমেটাল আছে। শরীরে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০ গুন বেশি। ১ বা ২ গুন নয় ২০ গুন বেশি !! সমস্যা কি ? হেভিমেটাল আমাদের নার্ভাস সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিডনি উপর চাপ তৈরি করে। আর হৃদপিণ্ড বা মস্তিস্কের রক্ত প্রবাহের নালীকে ধ্বংস করে।

রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত মানে হৃদপিণ্ড ও মস্তিস্কে রক্ত প্রবাহে বাধা। অবশেষে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক। এটুকু পড়ে আপুরা ভাবছেন খাবার তেল আজই বদলে ফেলবেন। থামুন, হেভিমেটাল শরীরে ঢোকার আরও দুটো উপায় আছে। রঙ ফর্সাকারী ক্রিম এবং মেছতা দূরকারী ক্রিম। এই দুটো ক্রিমে ভালোমত হেভিমেটাল আছে।

কেন বিজ্ঞান সরিষার তেল খেতে বলে 

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ কেন জরুরী 

অনেকেই রাত জাগেন। কেউ কেউ ফ্যাশন করে, কেউবা অযথাই। বিশেষ করে হোস্টেল বা মেসের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এটা ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। রাত জাগেলেও শরীরে প্রচুর প্রদাহ তৈরি হয়।

১. উচ্চ রক্তচাপ – কয়েকটি গবেষণায় এসেছে টানা ৩-৪ দিন রাত জেগে থাকলে বা পরিমিত না ঘুমালে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ পতন হয়। অর্থাৎ সারকাডিয়ান রিদম বা জৈব ঠিকমত কাজ করে না। যার প্রভাবে উচ্চরক্তচাপ দেখা দিতে পারে। আর যদি তা নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
 
২. হার্টের নানা ক্ষতি – হার্টের সাথে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত না ঘুমালে ধীরে ধীরে হার্টের কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যেতে পারে। হাই প্রেসারের পাশাপাশি, অনিয়মিত হার্টবিট, হার্টরেট এমনকি হার্ট ফেইলিউর পর্যন্ত হতে পারে।
 
৩. ত্বকের সৌন্দর্য কমে যাওয়া – রাত জাগার সঙ্গে সরাসরি হরমোনের তারতম্য জড়িত। না ঘুমালে স্ট্রেস হরমন বৃদ্ধি পায় । যার কারণে ত্বকের কোলাজেন ভাঙতে শুরু করে। পর্যাপ্ত স্কিন কেয়ার সত্ত্বেও অল্প বয়সেই চেহারায় মলিনতা, ব্রণ, বয়সের ছাপ, বলিরেখা, চোখের নিচে কালি পরা এসব দেখা দিতে পারে। যা মোটেই সুখকর নয়। মেয়েদের কে এটা দারুনভাবে ব্যাথিত করে। 
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত
 
৪. ওজন বেড়ে যাওয়া – ২০১৪ সালের একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা না ঘুমালে ৩০% লোকের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। জেগে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধার পরিমাণ বেড়ে যায়। সেটা নিবারণ করতে গিয়ে ওজন বেড়ে যায়। শরীরে প্রদাহ হয় তাই কোলেস্টেরলও বেড়ে যায়। সার্বিক প্রভাব গিয়ে পরে হার্টের উপর। 
 
৫. সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যাওয়া – কিছু গবেষনায় দেখা গেছে, টানা কয়েক মাস রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যে কারনে ঠিক মতো কাজ করে উঠতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কম সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যায়। উপস্থিত বুদ্ধিও লোপ পেতে থাকে। 
 
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পায় – ২০১২ সালে আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানে ৩০ জন ব্যক্তির ওপর স্টাডি করে। ফলাফলে জানা যায়, রাত জাগার সাথে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও লোপ পাওয়ার হার সমানুপাতিক। আসলে সবকিছুতেই শৃঙ্খলার প্রয়োজন।
মানুষ নিশাচর প্রাণী নয়। সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত প্রতিটি সময়ের এক্টিভিটির মানুষের জীবনের ওপর প্রভাব রয়েছে। যারা ভোর পাঁচটায় ঘুমান স্বভাবতই সকালে সময়মতো উঠতে পারেন না, আর উঠলেও সারাদিনে মস্তিষ্ক বা শরীর তার ছন্দ হারায়। সারাদিনের কাজেও মানসিক বিষাদ ভর করে। 
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ সহজ ৩ টি উপায় 

অতএব, বাঁচতে হলে, সুস্থ থাকলে হলে সতর্ক হতে হবে। নিজে বাচুন, পরিবারকে বাঁচান। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে করুন ৩ টি কাজ।

১. রান্নায় সতর্কতা – সাস্থ্যকর খাবার খাবেন। পরিমিত পরিমান খাবেন। সয়াবিন, ক্যানোলা, সূর্যমুখী, পাম এজাতীয় তেলে রান্না খাবার খাবেন না। সরিষা, নারিকেল তেল, অলিভ ওয়েল রান্নায় ব্যবহার করুন।

২. শ্বাসের ব্যায়াম – নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করবেন। নিশ্বাসের ব্যায়াম করবেন। উইম হফ মেথড বা ডাঃ ওয়েলের ৪-৭-৮ মেথড দারুন উপকারি। ইউটিউবে সার্চ দিলেই পাবেন।

৩. ভালো ঘুম – রাত ১০ টায় ঘুমাতে যাবেন। ভোর সাড়ে ৪ টায় ঘুম থেকে উঠবেন। এতেকরে সারকাডিয়ান রিদম বা জৈব ঘড়ি দারুন কাজ করবে। 

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন। সেলিম হোসেন – তাং ০৭/১১/২০২৫ ইং – প্রতীকী ছবি গুলো পেক্সেলস থেকে নেয়া।

এক রেমিডিতেই হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ ডাঃ এরিক বারগ 

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ বিজ্ঞানসম্মত

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *