স্লিম থাকার উপায় কি ওজন কমানোর ৩০ টি সহজ কাজ। 30 easy things to do to lose weight

স্লিম থাকার উপায়

স্লিম থাকার উপায় কি 

সন্ধ্যার দিকে আড্ডা দিতে অফিসে আসে বেলাল আহমেদ। বেলাল সরকারি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। আগ্রহ ইতিহাস, দেশী বিদেশী আন্তর্জাতিক ঘটনাবলির উপর। অফিসে বন্ধুর অপেক্ষা করছিল জাহিদ ইসলাম। এখন আর অন্য বন্ধুদের সাথে খুব একটা দেখা সাক্ষ্যাত হয় না।

বেলালের বাসা টা অফিসের কাছাকাছি হওয়াতে প্রায় দিনই সন্ধ্যার পর চলে আসে। কথা হয়, গল্প হয়।  নিজেদের অতীত নিয়ে, দেশ নিয়ে, আন্তর্জাতিক, নানান বিষয় নিয়ে। বেশ ভালো লাগে। জীবনে বন্ধু থাকতে হয়। যাদের আন্তরিক বন্ধু নেই তাদের জীবন টা ফ্যাকাসে।

ফেসবুক এড রিচ কমিয়ে দিয়েছে। আজকে ৫০০ ডলারের এড চলেছে কিন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪০০ ডলারের প্রডাক্ট। দারুন টেনশন কাজ করছিল শহিদুলের মনে। টেনশন দূর করতে শহিদুল ডাঃ উইলসের 4-7-8 সেসনের ১০ মিনিটের নিঃশ্বাসের ব্যায়াম শুরু করল।

ব্যায়াম ৫ মিনিট করতেই বেলাল রুমে ঢুকে পরল। চেহারা কিছুটা বিষণ্ণ। বিরক্তির ছায়া ফুটে উঠেছে চোখে মুখে। ধপাস করে বসে পরল জাহিদের বিপরিত দিকের চেয়ারে। মুখোমুখি দুজন।

ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। বলল বেলাল।

কেন কি সমস্যা ?

জীবনে সফল হতে হলে সফল ব্যক্তিদের অভ্যাস গুলো জানতে হবে। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়

স্লিম মেয়ে আকাঙ্খিত স্লিম থাকার উপায় কি 

বউয়ের ওজন বেড়ে যাচ্ছে। বয়স তো মাত্র ৩৫। এখনি মুটিয়ে গেলে কেমন হবে ? আমাদের সামনে তো আরও সময় পরে আছে। ছেলে মেয়েদের কে বড় করতে হলে নিজেদের সুস্থ থাকতে হবে। আর সুস্থ থাকতে চর্বি ঝরিয়ে স্লিম থাকা জরুরী। কিভাবে ওজন কমানো যায়, স্লিম থাকা যায় সে জন্য। ডাক্তার কিছু ঔষধ আর সাপ্লিমেনট লিখে দিয়েছে। শর্করা মেপে খেতে বলেছে। খাবার কমাতে বলেছে। বলল বেলাল

এখন অনেক আধুনিক গবেষণা এসেছে। একদম প্রমাণিত ফলাফল। স্লিম থাকা কোন ব্যাপারই না। আমাকে তো দেখছিস। আমি কি দারুন ভাবে স্লিম আছি, ফিট আছি। ভাবীও ফিট থাকবে আরও সুন্দরী হবে। রাতের বেলায় তুই থাকবি দৌড়ের উপর। জাহিদ বলল

ফাজলামি করিস না। আমি বেশ চিন্তায় আছি।

ফাজলামি করছি না, বিষয় টা সহজ। শুধু লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে কোন ঔষধ সাপ্লিমেনট লাগবে না। বডি স্লিম হবে, ফিট থাকা যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই সুফল পেতে শুরু করবি। কি করতে হবে শোন।

সুখী হতে হলে সুখ কাকে বলে জানা দরকার। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়

বডি স্লিম করার উপায় 

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা চাই খুব দ্রুত ওজন কমে যাক। বডি স্লিম হয়ে উঠুক। বিষয় হল যা খুব ধীরে ধীরে শরীরে জমেছে তা দূর করতে তারাহুরা না করাই ভালো। যে কোন ভালো কাজের পিছনে সময় দিতে হয়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও একই কথা। কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে। আর কিভাবে কি করতে হবে বিস্তারিত বলছি।

১. শাকসবজি এবং ফলমূল 

স্লিম থাকার উপায় হিসেবে ভাত বা রুটির পরিবর্তে ব্রেকফাস্টে খেতে হবে সালাদ, শাক সবজি। এগুলো খাওয়া ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করতে পারে। ​​এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। শাকসবজিতে ক্যালোরি কম থাকে এবং এগুলি পেট ভরে , ক্ষুধা কমায়।

ডায়েটিশিয়ান পুষ্টিবিদ ইভা ডি অ্যাঞ্জেলিস বলেন, এতে খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। আপাতত টক জাতীয় ফল খাওয়া যেতে পারে। যখন চর্বি ঝরে গিয়ে স্লিম বডি হবে তখন সবরকম ফলমূল খাওয়া যেতে পারে পরিমানমত।

২. প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে 

প্রোটিন যুক্ত খাবার খেলে অল্প খাবেরেই পেট ভরা থাকবে দীর্ঘক্ষণ। যা বার বার খেতে মনকে তাড়িত করবে না। যেহেতু অতিরিক্ত শর্করা খাবার শরীরে ঢুকছে না, সেহেতু নতুন করে কোন চর্বি শরীরে জমবে না। আর প্রোটিন থেকেও যথেষ্ট পরিমান শক্তি শরীর পাবে।

প্রোটিনের উৎস – কুসুম সহ দেশি মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম, দেশি মুরগির মাংস, মাশরুম, নদীর মাছ, তোফু, মসুর ডাল,বাদাম, চিয়া বীজ।

ডিম নিয়ে অপপ্রচার। সাস্থ্য বিজ্ঞানের গবেষণা গুলো কি বলে। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়

পেট স্লিম করার উপায় 

৩. ফাস্টিং করতে হবে 

কোন কোন ক্ষেত্রে ওজন কমে কিন্ত পেট কমে না। এক্ষেত্রে ফাস্টিং করতে হবে। যেমন – সন্ধ্যা ৭ টায় রাতের খাবার শেষ করলি, পরদিন ব্রেকফাস্ট করলি দুপুর ১২ টায়। তাহলে ১৭ ঘণ্টার ফাস্টিং হয়ে গেল। ফাস্টিং করলে পেটের চর্বি দ্রুত কমবে। আমাদের জীবনে চাপ কমবেশি সবারই থাকে। ভাবী যেহেতু ব্যাংকার, তাকেও কিছু অফিসিয়াল চাপ সইতে হয়। চাপ সইতে ডাঃ উইলসের নিশ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে।

ফাস্টিং এর বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।

৪. চিনি ছাড়তে হবে 

দ্রুত ওজন কমাতে চিনি ছাড়তে হবে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যেমন কোক, ডায়েট কোক, কেক, পেস্ট্রি, কাপকেক, মিল্ক চকলেট, হোয়াইট চকলেট, ক্যান্ডি,প্যানকেক, পিনাট বাটার কাপ, বার্গার, পিজ্জা, শিঙারা, পুরি এজাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। এসব খাবারের লোভ এড়াতে ভিনেগার খুব ভালো কাজ দেয়। ছোট এক বোতল ভিনেগার হাতের কাছে রাখতে হবে।

চিনি কিভাবে বিপদে ফেলেছে আরব আমিরাত কে। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়
স্লিম ফিগার পাওয়ার উপায় 

৫. গ্রিন টি খেতে হবে 

গ্রিন টি ক্যাটেচিন (EGCG, EGC, এবং ECG) নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ক্যাটেচিন ক্ষতিকারক মুক্ত অক্সিজেন র‍্যাডিকেলগুলি পরিষ্কার করে। প্রদাহ কমিয়ে শরীরকে বিষমুক্ত করে।

গ্রিন টি ক্যাটেচিন হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও ভালো ফলাফল দেখিয়েছে। প্রতিদিন দুই কাপ গ্রিন টি পান করলে টক্সিন বের হয়ে যায়। এটা চিনি যুক্ত রঙ চা বা দুধ চা খাওয়া থেকে ভাবীকে বিরত রাখবে। ওজন কমানো দ্রুত হবে। সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

৬. প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে হবে 

প্রক্রিয়াজাত অর্থাৎ প্রসেসড ফুড। এই খাবার টা শরীরে চর্বি জমাতে খুব পারদর্শী। সবার জন্যই প্রক্রিয়াজাত খাবার অসাস্থ্যকর। যেমন – ফ্রোজেন পরোটা, চিকেন বল, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, টিনজাত খাবার,প্যাকেটজাত ফল ও সবজির রস, উচ্চ পরিমাণে লবণ, প্রিজারভেটিভ এবং কৃত্রিম রঙ দেয়া থাকে এমন খাবার।

আলুর চিপস, বার্গার, পিৎজা, ভাজা মুরগি এবং ফ্রাইয়ের মতো জাঙ্ক ফুড। এগুলিতে উচ্চ ক্যালোরি, চিনি, লবণ এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়ায়। সব ধরনের বিস্কুট, চানাচুর। এই খাবারগুলি বাদ দিলে দ্রুত চর্বি ঝরে যাবে এবং শরীর হবে হালকা পাতলা ফিট।

ধন সম্পদ বৃদ্ধি। আল্লাহর রাসুলের ( সঃ ) কথা গুলো জানলে সমস্যা থাকবে না। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়
মুখ স্লিম করার উপায়

৭. বিশুদ্ধ পানি পান 

উপরের নিয়ম গুলি মানলে মুখ স্লিম করতে আলাদা কিছু করার প্রয়োজন নেই। ওজন কমানোর জার্নিতে শরীর হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা পিপাসাকে ক্ষুধা মনে করি। বিশুদ্ধ পানি করতে হবে। সারাদিনে অন্তত একবার পানিতে অল্প পরিমান পিঙ্ক সল্ট মিশিয়ে খেতে হবে।

খাবারের ১০ মিনিট পূর্বে হাফ গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতে হবে। এতে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। খাবারে থাকা পুষ্টি গুলো শরীর শুষে নিতে পারবে।

৮. স্বাস্থ্যকর চর্বি খেতে হবে 

স্বাস্থ্যকর চর্বি হলো কোল্ড প্রেস কোকোনাট ওয়েল, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল, ঘি, বাটার, খাটি সরিষার তেল, ডিমের কুসুম, ইলিশ মাছ, তৈলাক্ত নদীর মাছ, সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, সূর্যমুখী বীজ।    এগুলো ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার।

ওমেগা-৩ শরীরে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ অনুপাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে প্রদাহ এবং ওজন বৃদ্ধি হ্রাস পায়। ওমেগা-৩ পেশী ক্ষয় এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিরোধেও সাহায্য করে

আজ থেকে নিয়মিত ঘি খাবেন। কেন খাবেন, জেনে নিন। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়
স্লিম অর্থ কি স্লিম থাকার উপায় 

৯. বাসায় তৈরি খাবার 

অনেকেই স্লিম অর্থ জানতে চান। আসলে মুল বিষয় টা হল সুস্থ থাকা। কোন সুস্থ শরীরে বাড়তি মেদ জমতে পারেনা। ওজন কমাতে বাইরের খাবার বাদ দেয়া উত্তম। যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলবেন।  বাড়িতে খাবার রান্না করলে আপনি অতিরিক্ত উপাদান যোগ করি না। কিন্ত রেস্তোরাঁর খাবারে প্রায়শই সস, ডিপ, সালাদ ড্রেসিং এবং স্বাদ বাড়াতে প্রক্রিয়াজাত চিনি দেয়া থাকে। প্রতিদিন এগুলো খেলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যাবে।

মেমোরিয়াল রিজিওনাল হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান জেসি ফেডার বলেন, “লাল চালের ভাতের তুলনায় সাদা ভাত কম পেট ভরাতে পারে এবং সাদা ভাত বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। পেটের মেদও বাড়তে পারে। তাই লাল চালের ভাত খাওয়া টা বেটার। এতে আঁশের পরিমান বেশি থাকে। অনেক ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। আর সাদা চালের ভাত খেলে প্রথমে একবাটি সালাদ খেতে হবে। এরপর বেশি পরিমানে শাকসবজি দিয়ে সাদাভাত খাওয়া যেতে পারে।

শাকসবজি কিভাবে খাবেন, জেনে নিন। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়
স্লিম বেল্ট 

১০. খাবারের প্লেট সাজানো 

নানান রকম স্লিম বেল্ট বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোন কাজে আসে না। অযথাই টাকা আর সময় নষ্ট হয়। তাই স্লিম বেল্ট নয়, খাবারের প্লেট সঠিক ভাবে সাজাতে হবে। ওজন কমানোর জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উপায়।

একটি প্লেটে অর্ধেক টা থাকবে সালাদ এবং শাক সবজি। এক বা দুই টুকরো মাছ অথবা মাংস। যে কোন একটা। কুসুম আস্ত রেখে ঘি দিয়ে দুটো ডিম পোঁচ। বাকিটা লাল চালের ভাত হলে উত্তম তা নাহলে সাদা চালের ভাত। এভাবে খেলে ওজন তো কমবেই, শরীর স্লিম হবে এবং সুস্থ থাকবে।

১১. খাবারের প্রতি মনোযোগ 

খাওয়ার সময় খাবারের দিকেই মনোযোগ রাখতে হবে। এতে আমাদের ব্রেইনে একটা সিগন্যাল যাবে। খাবার খাওয়ার সিগন্যাল। মনোযোগ দিয়ে খেলে, খাওয়া শেষে ব্রেইন আমাদের কে তৃপ্ত করে দেয়।  আমরা খাবার খেয়েছি শরীর কে সেটা জানিয়ে দেয়। তাই ক্ষুধা অনুভুত হয় না। খাওয়ার সময় টিভি, ল্যাপটপ এবং মোবাইল নিয়ে নাড়াচাড়া করলে ব্রেইন এলোমেলো সিগন্যাল দেয়। তাই খাবার সময় শুধুই খাওয়া অন্য কোন কাজ নয়।

১২. খাবার ধীরে ধীরে খেতে হবে 

খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করা চলবে না। ধীরে ধীরে খেতে হবে, চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। খাবার মুখের মধ্য পানি করে ফেলতে হবে। এতে দুটো কাজ হবে। এক – খাবার হজম হবে ভালোভাবে। দুই – কম খাবারেই পেট ভরে যাবে। এভাবে খেলে ডায়াবেটিস রোগীরাও দারুন উপকার পাবেন।

মাত্র ১৫ দিনেই ফর্সা ত্বক। আসল ঘটনা কি ? 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়
১৫ দিনে চিকন হওয়ার সহজ উপায় 

১৩. চিনি ছাড়া ব্লাক কফি 

১৫ দিনে চিকন হওয়ার নানান বিজ্ঞাপন দেখা যায়। কফি খেলেই চিকন হয়ে যাবেন, এমন কথা তারা বলে। এগুলো সবই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মানুষকে প্রলোভন দেয়া। আমরা কিছু আলোচনা করেছি, এখন বলি ব্লাক কফি কেন খেতে হবে। কালো কফিতে ক্যাফিন থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কালো কফিতে থাকা ক্যাফিন চর্বি ঝরাতে সহায়ত করে। একটি গবেষণা গবেষণায় দেখা গেছে যে ৪ মিলিগ্রাম/কেজি এবং ৮ মিলিগ্রাম/কেজি ক্যাফিন মোটা ব্যক্তিদের বিপাকীয় হার বৃদ্ধি করে।

ল্যাব প্রাণীদের উপর করা আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত হয়েছে। আর ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ার মানেই হল, ওজন আর না বাড়া। চর্বি ঝরাতে প্রতিদিন দুই কাপ কালো কফি খাওয়া যায়। তবে ঘুমের সমস্যা থাকলে বা হজমে সমস্যা করলে কফি খাওয়ার দরকার নেই।

পৃথিবীতে কবে কফি খাওয়া শুরু। মুসলিমদের কোন অবদান আছে ? 

স্লিম
স্লিম
স্লিম হওয়ার উপায়  

১৪. অ্যালকোহল কখনো নয় 

আমরা তো অ্যালকোহল পান করি না। এটা আমাদের জন্য হারাম। যারা করেন, লিভার সমস্যায় ভুগছেন, নানা রোগে ভুগছেন তাদের কে বলছি। ঘন ঘন এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন ওজন বৃদ্ধি করে। দ্রুত চর্বি ঝরাতে অ্যালকোহল সেবন অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে।

১৫. প্রোবায়োটিক খেতে হবে 

প্রোবায়োটিক আমাদের পাকস্থলির সাস্থ্য উন্নত করে। নতুন সব গবেষণা বলছে পাকস্থলি হচ্ছে দ্বিতীয় ব্রেইন। ওজন কমানোর জার্নিতে অবশ্যই প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন – টক দই,সাউরক্রাউট খান, কিমচি। প্রোবায়োটিক প্রতিদিন খাবারের সাথে খেতে হবে। এতে করে হজমও খুব ভালো হবে। ভাবীকে বলবি, ইউটিউবে এসব খাবার তৈরির অনেক রেসিপি পাওয়া যাবে। সেগুলো দেখে বাসায়ই তৈরি করা যাবে ভালো প্রোবায়োটিক।

১৬. স্বাস্থ্যকর খাবার খান

যেহেতু আমাদের বার বার খাবার অভ্যাস আছে, তাই আমাদের ক্ষুধা লাগতে পারে। তখন আমরা কি খাব ? আমরা অফিসে খেতে পারি গাজর ,শসা, হাল্কা ঘিয়ে ভাজা বাদাম। আবার কোন ফল খাওয়া যেতে পারে। হাল্কা শাঁস সহ ডাবের পানি এটাও ভালো হয়। হাত ব্যাগে ছোট বৈয়মে কিছু বাদাম রেখে দেয়া যেতে পারে।

সাউয়ার ক্রাউট কিভাবে তৈরি করবেন। শেখাচ্ছেন ডাঃ মুজিবুর রহমান। 

স্লিম
স্লিম
কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে স্লিম হওয়া যায়। 

১৭. রাতের খাবার কখন ? 

সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে রাতের খাবার সারতে পারলে খুবই ভালো। এক্ষেত্রে রাত ১০ টায় বিছানায় যাওয়া যাবে। শরীর খাবার হজম করার জন্য আপনার ২-৩ ঘন্টা সময় পাবে। দেরিতে খাওয়া এবং দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া ওজন বাড়ার অন্যতম কারন।

সম্ভবত এখানেই আমাদের একটা ভুল হচ্ছে। আমরা রাতের খাবার খাই ১০ টায়। ঘুমাতে যাই ১২ টায়।  বেলাল বলল

হ্যাঁ, এই ভুল থেকে আজই বেরিয়ে আসতে হবে। জাহিদ বলল

১৮. রাতের খাবারের পর 

রাতের খাবারের পর সোফা বসা বা বিছানায় শোয়া যাবে না। ঘরেই মিনিট পাঁচেক হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করবে এবং বেশি সময় হাঁটলে কিছু ক্যালোরি খরচ হবে।

১৯. রাতে বাড়তি খাবার 

কেউ কেউ রাতে মুভি দেখেন, ব্রাউজ করেন বা অন্য কোন কাজ। যখন তারা এগুলো করেন তখন মিষ্টি, কেক, চানাচুর, চিপস এজাতীয় খাবার খান। এটা শরীরে চর্বি জমাতে দারুন কাজ করে। স্লিম শরীর পেতে চাইলে এই বাজে অভ্যাস ছাড়তে হবে। সন্ধ্যা ৭ টার রাতের খাবার শেষ করে আর কিছু খাওয়া যাবে না।

যা খাওয়া যেতে পারে তা হল, গ্রিন টি, হলুদ চা, লাল চা অবশ্যই চিনি ছাড়া।

২০. দৌড়াতে হবে 

দৌড়ানো একটি দুর্দান্ত কার্ডিও ব্যায়াম। এটি শরীরের সব জায়গা থেকে চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। দৌড় স্ট্যামিনা এবং ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়। যে কেউ স্লিম হতে চাইলে তাকে অবশ্যই দৌড়াতে হবে। এক্ষেত্রে একজোড়া কেডস এবং আরামদায়ক ট্রাউজার প্রয়োজন হবে।

যদি ভাবী বাসায় দৌড়াতে চায় তাহলে একটি ট্রেডমিল কিনবি। অথবা জিমের মেয়েদের শাখায় ভর্তি করতে পারিস।  ইন্সট্রাক্টর দৌড়ানোর নিয়ম টা শিখিয়ে দিবে। আবার ইউটিউবে ভালো চ্যানেল থেকেও দৌড়ানো শেখা যেতে পারে। একমাস দৌড়ানোর পরেই দেখবি বউয়ের বয়স কমে গেছে।

মাদক প্রেমকে ধ্বংস করে। কেন মানুষ মাদক নেয় ? 

স্লিম
স্লিম
মেয়েদের ক্ষেত্রে স্লিম থাকার উপায় কি 

২১. অন্যান্য অ্যারোবিকস 

নিয়ম গুলো শুধু মেয়েদের জন্য নয়। নারী পুরুষ, ছোট বড় সবার জন্য। দৌড়ানোর পাশাপাশি, অন্যান্য অ্যারোবিক ব্যায়াম অনুশীলন করতে হবে। অ্যারোবিক ব্যায়ামগুলি জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ, গ্লাইকোজেন বা প্রোটিন ব্যবহার করে অক্সিজেন ব্যবহার করে। জুম্বা ফিটনেস ওয়ার্কআউট এবং স্টেপ অ্যারোবিকস করা যেতে পারে।

শেখা খুব সহজ ইউটিউবে সার্চ দিলেই ব্যায়াম গুলো চলে আসবে। স্লিম বডির জন্য সাঁতার, স্পিন ক্লাস বা কিকবক্সিং, হাঁটা, এমনকি যোগব্যায়ামের মতো অন্যান্য কার্ডিও ব্যায়াম অনেকেই করেন। পেটের চর্বি কমানোর জন্য অনেক ব্যায়াম রয়েছে যা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। সেগুলোও ইউটিউবে পাওয়া যাবে।

২২. HIIT করতে হবে 

হাই ইন্টারসিটি ইন্টারভেইল ট্রেনিং (HIIT) হল একটি অ্যানেরোবিক ব্যায়াম। এটা হতে পারে প্রাণপণে দৌড়ানো। আবার উইমহফ মেথডে নিশ্বাসের ব্যায়াম। অর্থাৎ এই ব্যায়ামে নিশ্বাস খুব দ্রুত উঠানামা করবে। ভাবী এটা বাসায়ই করতে পারবে।

২৩. ওজন নেয়া 

ওজন নেয়ার জন্য জিম একটি উপযুক্ত জায়গা। এখানে ভারী ওজন নিয়ে ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে শরীরের পেশী গুলো বাড়বে এবং শক্তিশালী হবে। রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড এবং TRX ব্যান্ড ব্যবহার করা যায়। জিমে একদিন পরপর সপ্তাহে তিন দিন যেতে পারলে স্লিম ফিট শরীর থাকবে আজীবন।

২৪. খেলাধুলা করা 

আমাদের এই ঢাকা শহরে বাইরে খেলাধুলা করার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আমরা বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা বাসায় খেলতে পারি। অল্প জায়গার মধ্যে যে খেলা গুলো সম্ভব। এতে বাচ্চারা মোবাইল থেকে দূরে থাকবে। বাচ্চাদের শরীরও সুস্থ থাকবে। আমরাও বাচ্চাদের পাওনা সময় দিতে পারব। বাবা মায়ের সান্নিধ্য বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে জরুরী।

কেন পরকীয়ায় আক্রান্ত হয় মানুষ ? মুনির খুকুর আলোচিত পরকীয়া। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়
সবসময় স্লিম থাকা সম্ভব ? 

২৫. চিট মিল 

অবশ্যই সবসময় স্লিম থাকা সম্ভব। মাঝে মধ্যে আমাদের আত্মীয়দের দাওয়াতে যেতে হয়। অথবা অফিসে কোন খাবারের আয়োজন থাকে। সে খাবার গুলো সাধারনত হয় আনহেলদি। স্লিম বডির জার্নিতে এই খাবার গুলোকে বলা হয় চিট মিল। আমারা ১৫ দিনে একটা চিট মিল নিতে পারি। এক্ষেত্রে স্লিম বডির জার্নিতে তেমন কোন সমস্য হবে না।

২৬. সিঁড়ি বেয়ে উঠুন

আমাদের বাসা যদি ছয় তলা পর্যন্ত, এক্ষেত্রে সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করাই উত্তম। চর্বি ঝরিয়ে স্লিম থাকার জন্য এটা একটা সুযোগ। এই সুযোগ সবসময় কাজে লাগাতে হবে। তোর বাসা যেহেতু চার তলায় এখন থেকে তোরা অবশ্যই সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করবি।

একটা বিষয়, যারা হাঁটুতে অস্ত্রপাচার করেছেন তাদের সমস্যা হতে পারে। অথবা যারা বৃদ্ধ, হার্টে রিং পড়ানো তারা লিফটে উঠানামা করবেন না।

২৭. রাতের ঘুম গুরুত্বপূর্ণ 

রাতে কতটা সময় ঘুমাতে হবে। কেন এত গুরুত্বপূর্ণ রাতের ঘুম। কারন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুম ভালো না হলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুম মনকে পুনরুজ্জীবিত করে। এই রিলাক্স সময়ে শরীরে ক্ষতিগ্রস্ত পেশী সারিয়ে তুলে। জিমে ওজন নিয়ে ক্লান্ত পেশীকে তরতাজা করতে ভালো ঘুম জরুরী।

রাতে ভালো ঘুম না হলে , মস্তিস্ক চাপে পরে। সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। যখন এমন টা হয় তখন বাজে খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। বাজে খাবার খাওয়া মানেই ওজন বেড়ে যাওয়া। যা স্লিম বডি তৈরিতে বাধা।

২৮. জীবনে চাপ থাকবেই 

সবার জীবনেই চাপ থাকে। একেক জনের একেক রকম চাপ। এটা ম্যানেজ করে জীবন এগিয়ে নিতে হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪৫ মিনিট নিজের জন্য রাখতে হবে। সেই সময়টা মানসিক চাপ কমাতে এবং শরীরকে শিথিল করতে প্রয়োজন। নিজের পছন্দের কাজগুলি যেমন – ছবি আঁকা, পড়া, লেখা, পডকাস্ট বা কোন মহান ব্যক্তির জীবনী পড়া বা আলোচনা দেখতে হবে।

অফিস,কাজ, স্কুল বা অন্য কিছু নিয়ে বিরক্ত না হয়ে ইতিবাচক থাকতে হবে। নিয়িমিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। পুরুষদের জামাতে নামাজ আদায় করতে হবে। খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে পাখিদের উড়ে যাওয়া দেখতে হবে। গ্রহ নক্ষত্র কিভাবে কাজ করে এগুলো নিয়ে ভাবলে স্রষ্টার শ্রেষ্ঠত্ব অনুভব করা যায়। মনের মাঝে এক অনাবিল শান্তি চলে আসে।

জীবনে সফল হতে যে বইটি কয়েকবার পড়বেন। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়
মোটা নাকি স্লিম কোন জীবন সঙ্গী ?

২৯. আলোচনা করা 

আমরা যে আলোচনা করলাম এটা অনুসরন করলে মানুষ স্লিম এবং সুস্থ থাকবে। আর সুস্থ জীবন সঙ্গী সবাই চায়। আমরা আমাদের সমস্যা নিয়ে বাসায় আলোচনা করি না। খোলামেলা কথা বলা এড়িয়ে চলি। নিজে নিজেই সব চাপ নিতে থাকি। শরীরে প্রচুর করটিসল হরমোন নিঃসৃত হয়। যা ওজন বাড়ার অন্যতম কারন। অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। আমাদের সমস্যা বাসায় আলোচনা করা দরকার।

আমাদের রাসুল ( সঃ ) বড় কোন সমস্যায় সাহাবাদের নিয়ে মিটিং করতেন। তারপর সিদ্ধান্ত নিতেন। এটা আমাদের জন্য শিক্ষা। যদি কোনও কিছু আমাকে খুব বেশি বিরক্ত করে এবং দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে। তাহলে এ বিষয়ে কাউন্সেলিং নেয়া যেতে পারে।

৩০. একটু খানি বিশ্রাম 

আমরা প্রতিদিন একই কাজ করি। একারনে একঘেয়েমি আসতে পারে।  একঘেয়েমি কাটাতে বেড়াতে যাওয়া বা নতুন কিছু শেখা ভালো ফল্প্রসু। স্থান পরিবর্তন এবং কার্যকলাপ “ভালো লাগা” হরমোন নিঃসরণ করবে। যা আমাদের তৃপ্তির অনুভূতিতে ভরিয়ে দেবে। মিষ্টি, কেক, বার্গার এধরনের খাবার খেলে শরীরে ভালোলাগা হরমোন নিঃসৃত হয়। বেড়াতে গেলেও ভালোলাগা হরমোন নিঃসৃত হয়। বেড়াতে যাওয়া এসব বাজে খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখার উপায়।

পর্ণগ্রাফি যৌন জীবন কে ধ্বংস করে দেয়। মুক্তি উপায় জেনে নিন। 

স্লিম থাকার উপায়
স্লিম থাকার উপায়

তোরা দুজন তো সপ্তাহে দুদিন করে ছুটি পাস। পুরো একটা দিন তোরা বেড়ানোর জন্য ব্যয় করতে পারিস। তোরাও ভালো থাকবি। বাচ্চারাও ভালো থাকবে। জাহিদ কথা শেষ করল।

সেলিম হোসেন – তাং ০৮/০৫/২০২৫ ইং – প্রতীকী কিছু ছবি পেক্সেল থেকে নেয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *