সিঙ্গারা কিভাবে এল বাংলায়
আগেকার দিনে গ্রাম গঞ্জে সিঙ্গারা পাওয়া যেত না। এগুলো সাধারনত শহরে হাল্কা নাস্তা হিসেবে দোকানে বিক্রি হত। আর জজ কোর্টের পাশে সিঙ্গারার দোকান ছিল অবধারিত। দূর দুরান্ত থেকে মামলা লড়তে আসতেন বাদি বিবাদি। তারা ক্ষুধা পেলে দল বেধে সিঙ্গারা খেতেন।
এক মুরুব্বি এসেছেন ছেলে পেলেদের সাথে মামলায় হাজিরা দিতে। সবাই একসাথে বসলেন দোকানে। সবার সাথে সিঙ্গারা খেলেন। স্বাদে মুগ্ধ হলেন। ছেলেকে বললেন, তমেজ, জিনিস টা তো খুব স্বাদ, কিন্ত এর ভিতরে আলু ঢুকল কিভাবে ?
শিঙারা একটি মুখরোচক খাবার – কিভাবে এল বাংলায়। ভারত বাংলাদেশে স্ন্যাক্স হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।রাস্তার পাশে ছোট ছোট দোকান, হোটেল বা বেকারি দোকানেও বিক্রি হয়। মোটা মানিব্যাগের মালিকেরা ফাস্ট ফুডের দিকেই ঝোঁকেন। যারা একটু খরচ কমাতে চান তারা এই মুচমুচে মুখরোচক খাবারটি খান।
সিঙ্গারা কিভাবে এল বাংলায় ইতিহাস
ধারনা করা হয় ৫/৬ শত বছর পূর্বে ইরান থেকে ভারত উপমহাদেশে শিঙাড়ার প্রচলন ঘটে।
ইরানের ব্যাবসায়িরা এই উপমহাদেশে আসতেন, সরাই খানায় উঠতেন ( তখনকার দিনের আবাসিক হোটেল )। রাতে সরাইখানায় বিশ্রাম নিতেন, দিনের বেলায় যখন কাজের উদ্দেশ্যে বের হতেন, তখন সাথে নিতেন এই হাল্কা খাবার টি।
সারাদিন এটি ভালো থাকত, যে কোন সময় স্ন্যাক্স হিসেবে খেয়ে নিতেন। নিজেরাই তৈরি করতেন । আটার আবরনে তৈরি পিরামিড আকৃতির শিঙাড়ার ভেতরে থাকত মাংস, পেস্তা, আখরোট বাদামের এর মিশ্রণে তৈরি পুর।
পড়ুন – আগেকার দিনে বিয়ের পাত্রের যোগ্যতা মাপা হত কিভাবে।
রাজ দরবারেও পরিবেশিত হত। সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক এর দরবারে ইবনে বতুতা শিঙারা খেয়েছিলেন। তখন শুধু মাংস, আটা, বাদাম ছিল এটা তৈরির মুল উপাদান।
শিঙারা খেলে কি হয়
আলু যোগ হয় আরও অনেক পরে। আমরা সাধারনত আলু দিয়ে তৈরি টা খাই। ডুবো তেলে ভাজা হয়। একই তেল বারবার ব্যাবহার করা। একারনে তেলে টক্সিন তৈরি হয়। ডুবো তেলে ভাজাতে পুষ্টিগুণ থাকে না। শিঙারা বা ফাস্ট ফুড যেটাই হোক, দুটোই অস্বাস্থ্যকর খাবার।
আমাদের হাতের কাছে অনেক সাস্থ্যকর খাবার আছে, আমরা সে গুলো খাব। সুস্থ থাকতে হেলদি লাইফ স্টাইল অনুসরন করব।
জেনে নিন – ওজন কমানো সহজ – সুস্থ থাকা আরও সহজ।