যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ভায়াগ্রা আবিস্কার কাহিনী এবং গল্প। ৫ টি ভয়াবহ বিপদ The story of the discovery of the sexual stimulant tablet Viagra. 5 terrible dangers

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ভায়াগ্রা: অপব্যবহারের ঝুঁকি ও জীবনঘাতী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রেক্ষাপট: রাতের গোপনীয়তা

পাবনা জেলার কাশিনাথপুরে আমার এক বন্ধুর ফার্মেসি আছে। সন্ধ্যায় সেখানে আড্ডা দিচ্ছিলাম। খেয়াল করলাম, কিছু ক্রেতা— যাদের বয়স ৪০ পেরিয়েছে— তারা উদাস ভঙ্গিতে এসে কাউন্টারের সামনে দাঁড়ান। বন্ধুটিও নিরাসক্ত মুখে তাদের হাতে ছোট কাগজের প্যাকেট ধরিয়ে দেয়।

একদিন ৬৫ বছর বয়সী একজন চাচাকেও সেই প্যাকেট নিয়ে যেতে দেখে কৌতূহল হলো। জিজ্ঞেস করলাম, “এদের কাছে কী বেচিস?”

বন্ধু জানাল, “রাত জাগার ট্যাবলেট। ভায়াগ্রার বিকল্প, দামে কম।”

“চাচাও কি এই ট্যাবলেট নেন? ওনার হার্টে তো রিং পরানো,” আমি জিজ্ঞেস করলাম।

“হ্যাঁ, নেন। সেদিন চাচি এসেছিলেন। অনুরোধ করে বলে গেছেন, ‘বাবারে, তোর চাচার কাছে ঐ ঔষধ আর বেচিস না।’ শুধু চাচা নয়, অনেক কম বয়সীরাও এখন এই ধরনের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট গ্রহণ করে।”

একান্ত সময়ে স্ত্রীকে খুশি করতে যা করবেন। 

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট
যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবনের বিপদ

যৌন সমস্যায় ভোগা অনেকেই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে ফার্মেসিতে নিজের পছন্দমতো যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট কিনে সেবন করেন। এটি একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কিন্তু যারা এভাবে কিনছেন, তারা হয়তো জানেনই না প্রকৃত অর্থে তার সমস্যা কী এবং কোথায়।

বিশেষ করে কম বয়সীদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশন (Erectile Dysfunction – ED) দেখা দিলে এর কারণগুলো প্রথমে শনাক্ত করা জরুরি। স্বল্প সময়ের জন্য চিকিৎসক ওষুধ দিলেও, সঠিক লাইফস্টাইল এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।

ঔষধ ছাড়াই যেভাবে আজীবন সুস্থ ও সক্ষম থাকবেন, তা জানা এবং সঠিক জীবনধারা অনুসরণ করাই হলো দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চাবিকাঠি।

ঔষধ ছাড়াই যেভাবে আজীবন সুস্থ ও সক্ষম থাকবেন। 

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট
যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

ভায়াগ্রা আবিষ্কারের চমকপ্রদ ইতিহাস

আমরা যে ভায়াগ্রার বিকল্প হিসেবে এই ওষুধগুলো খাচ্ছি, সেই ‘ব্লু ম্যাজিক পিল’ আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে এক চমকপ্রদ কাহিনী।

১৯৮৯ সালে ফাইজার (Pfizer) ঔষধ কোম্পানি উচ্চ রক্তচাপের (হাই ব্লাড প্রেসার) চিকিৎসার জন্য বাজারে একটি নতুন ওষুধ আনার পরিকল্পনা করে। প্রকল্পের প্রধান করা হয় রসায়নবিদ ডেভিড ব্রাউন-কে।

যথারীতি ওষুধ তৈরি হলো এবং ব্রিটেনে ওয়েলস প্রদেশের কয়লা শ্রমিকদের ওপর শুরু হলো ‘ফেজ ০১’ ট্রায়াল। ১৯৯৩ সাল নাগাদ ফাইজারের কর্মকর্তারা বিরক্ত। মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করার পরও কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় ডেভিড ব্রাউনকে প্রায় বরখাস্ত করার উপক্রম হয়। কোম্পানি আর একটি পেনিও খরচ করতে রাজি ছিল না।

আধা-পাগল হয়ে ডেভিড শ্রমিকদের কাছে ছুটলেন। জিজ্ঞেস করলেন, “এই ওষুধ খেয়ে তোমরা কি আর কোনো প্রতিক্রিয়া পেয়েছ?”

এক শ্রমিক কৌতুকপূর্ণ হাসি নিয়ে বলল, “প্রতি রাতে আমার যৌনাঙ্গের উত্তেজনা বেড়ে যায়।” সাথে সাথেই সবাই একসাথে বলে উঠল, “আমারও!”

প্রচণ্ড উত্তেজনা নিয়ে ডেভিড ছুটলেন কোম্পানির কর্তা ব্যক্তিদের কাছে। তারপর ‘ফেজ ০২’ এবং ‘ফেজ ০৩’ সম্পন্ন করে, ১৯৯৮ সালে বাজারে এল সেই বহুল আলোচিত ভায়াগ্রা (Viagra)। বাকিটা ইতিহাস।

যা করলে স্ত্রী আপনার জন্য উতলা হয়ে থাকবে।

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের ৫টি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি

যে কোনো ওষুধ বাজারজাত করতে তিনটি ট্রায়াল এবং সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু ফার্মেসি থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই ধরনের ওষুধ সেবন করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই ধরনের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবনের ফলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে:

১. তীব্র মাথাব্যথা: এই ট্যাবলেটগুলো শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা হতে পারে।

২. কার্ডিয়াক ঝুঁকি: রক্তচাপ বেড়ে যায়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা (যেমন: রিং পরানো বা বাইপাস সার্জারি) আছে, তাদের রক্তপ্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক বা মৃত্যুও হতে পারে। সাধারণত এমন রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া হয় না।

৩. অস্থিরতা ও ঘাম: ঘাম হয়, বুক ধড়ফড় করে এবং অস্থিরতা দেখা দেয়।

৪. অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি: মাথা ঝিমঝিম করা বা মাথা ভার হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় সেবন করলে কিডনি, লিভার, হার্টসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

৫. বমি ভাব: বমি বমি ভাব, অস্থিরতা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

ইরেকটাইল ডিজফাংশন নিয়ে বিস্তারিত বলছেন ডাঃ এরিক বারগ। 

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট
যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

ভায়াগ্রা নিয়ে একটি আলোচিত ঘটনা (১৯৯৮)

১৯৯৮ সালে ভায়াগ্রা বাজারে আসার পর তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। নিউইয়র্কের ৬০ বছরের বেশি বয়সী এক ভদ্রলোক এক কৌটা ভায়াগ্রা কিনে প্রতি রাতে স্ত্রীর কাছে যেতেন। তার ৫০-এর কোঠায় থাকা স্ত্রী কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি অসহনীয় মনে করতে শুরু করেন।

এক রাতে স্বামী যথারীতি ভায়াগ্রা খেয়ে বিছানায় গেলে স্ত্রী তাকে প্রশ্রয় দেন। স্বামী মনে মনে খুশি হন এবং তার পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে ওঠে। ঠিক সে সময় আগে থেকেই বালিশের নিচে রাখা চাকু দিয়ে তিনি স্বামীর অঙ্গটি গোড়া থেকে কেটে ফেলেন।

মহিলা সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে বাসার ঠিকানা জানান এবং বলেন, কর্তিত অঙ্গটি তিনি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পাশাপাশি, তারা ঐ এলাকার সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়, যাতে অঙ্গটি চাকার নিচে পড়ে থেঁতলে না যায়। উদ্ধারকারী দল ফুটপাত থেকে অঙ্গটি উদ্ধার করে এবং ডাক্তাররা তা সফলভাবে জোড়া লাগাতে সক্ষম হন।

লোকটিকে জানানো হয়, তিনি বিপদ মুক্ত। তবে আগামী তিন বছর তিনি যৌন সঙ্গম করতে পারবেন না।

ব্লগ পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন। সেলিম হোসেন – তাং ১৮/০৬/২০২৫ ইং – ছবি গুলো পেক্সেলস থেকে নেয়া।

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *