ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি
ঋতু বদলের সর্দি বেশী ভোগায় মানুষ কে। আধুনিক জীবন স্ট্রেস পূর্ণ। জীবনের চাপ আর উদ্বিগ্ন থাকার কারনেও ঘন ঘন সর্দি লাগতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা বছরে ৭/৮ বার সর্দিতে আক্রান্ত হয়। অন্যদের ক্ষেত্রে সমস্যা টা কম।
একমাসের মধ্যে দ্রুত ওজন কমিয়ে নিজেকে ফিট করে তুলুন ন্যাচারালি।

কি কি লক্ষন দেখা দেয় ঠান্ডা লাগালে
ঠান্ডা-সর্দির বেশ কিছু লক্ষণ থাকে, যেগুলো শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের একই রকম হয়ে থাকে। সেগুলো হলো নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি থাকা, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, কাশি, হাঁচি, জ্বর, কানে ও মুখে চাপ অনুভব করা, স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে আসা।
কেন ঠান্ডা লাগা বা সর্দি হয়
ঠাণ্ডা সর্দি রোগ টাই বিশ্বে সবচেয়ে দেখা যায়। এ রোগের কারণ হলো ভাইরাসের সংক্রমণ। একসময় ধারণা করা হতো, সর্দি হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল একটি বিশেষ গোত্রের ভাইরাস। পরে আশির দশকে সে ধারণা বদলে যায়। তখন বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন, সাতটি গোত্রের ভাইরাসের কারণে সর্দি হয়ে থাকে। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ এই ভাইরাস গুলো।
এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে শীতকাল উপযুক্ত সময়। তাই এ সময়টাতে মানুষ বেশী আক্রান্ত হয়। সর্দি থাকা অবস্থায় সংক্রমণকারী জীবাণু নাসারন্ধ্রের ভেতরে মিউকাস লাইনিং অতিক্রমের মাধ্যমে প্রবেশ করে। এতে নাসারন্ধ্রের ভেতর অতিরিক্ত সর্দি জমা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘রাইনোরেয়া’ বলা হয়।
ব্রিটেনে একটি কথা প্রচলিত আছে – আপনার যদি সর্দি লাগে আর ডাক্তারের কাছে যান তাহলে আপনার সর্দি ৭ দিন পরে সারবে। আর যদি ডাক্তারের কাছে না যান, তাহলে এক সপ্তাহ পরে সারবে।
ব্রিটেনে যাই হোক, ঠাণ্ডা লাগলে আমারা কিছু চেষ্টা ঘরোয়া ভাবে করতে পারি এতে উপকার পাওয়া যায়।
অপহরনের ঘটনায় বিস্মিত পুলিশ অবাক বাবা মা।

ভাপ নিতে পারেন গরম পানির
সর্দির সমস্যায় ভুগলে প্রথমেই গরম পানির ভাপ বা স্টিম ইনহেল করা প্রয়োজন। যদি সমস্যা বেশি হয় তাহলে দিনে ২-৩ বার এ গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। যাদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে, তাদের পোস্ট নেজাল ড্রিপিং হয় এবং সেই পানি গলায় প্রবেশ করে কাশির সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে স্টিম ইনহেলেশন ভালো কাজ করে।
মশলায় তৈরি পানীয়
আদা, কাঁচা হলুদ, গোলমরিচ, তেজপাতা, লবঙ্গ আর মেথি একটি পাত্রে একসঙ্গে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। তীব্র গরম ভাব কেটে গেলে অর্ধেক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। এতে খুশখুশে কাশি থাকলে তো কমবেই, সেই সঙ্গে ইনফ্লামেশনও চলে যাবে। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ থেকে মুক্ত হতে পারবেন আশা করা যায়।
জীবনে সফল হতে আব্রাহাম লিঙ্কনের জীবনের এই ঘটনা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে।

উষ্ণ তরল খাবার
ঠান্ডা লাগা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সব সময় উষ্ণ গরম পানি পান করুন। সেই সঙ্গে স্যুপ, আদা ও মধু দেওয়া চা খেতে পারেন। তবে শরীরে আর্দ্রতার যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
অল্প গরম লবন পানির গার্গল
লবন মেশানো উষ্ণ গরম পানি গার্গল করলে সর্দি অনেকটা কমে যায়। এ জন্য লবণ দেওয়া গরম পানি দিয়ে সকালে ও রাতে গার্গল করুন। এতে সর্দি কমার পাশাপাশি গলার খুশখুশে ভাব কেটে যাবে।
লেবু বা আমলকী খাবেন
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। তাই আমলকী বা লেবুর মতো ফল প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে সর্দি থেকে মুক্তি মিলতে পারে। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ থেকে বাঁচা যেতে পারে।
হু হু করে বাড়ছে কিডনি রোগী। আজীবন কিডনি সুস্থ রাখবেন যেভাবে।

ঠান্ডা লাগা বা সর্দিতে পেঁয়াজ
সর্দির সমস্যা দূর করার জন্য পেঁয়াজ হতে পারে একটি কার্যকর উপাদান। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে দেয়। একটি পাত্রে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ কেটে তাতে মধু মেশান। এরপর সারারাত পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সকালে খালি পেটে এর থেকে বেরিয়ে আসা সামান্য তরলটুকু পান করলেই উপকার মিলবে।
তুলসী পাতার কথা কে না জানে
আদিকাল থেকে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ব্যবহার করে আসছেন তুলসি পাতা। বিশেষ করে ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশিতে তুলসী পাতা বেশ উপকারী একটি উপাদান। প্রথমে তুলসী পাতা ও আদা একসঙ্গে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে মিশ্রণটি দিনে দুবার পান করুন তাহলে দ্রুত সুস্থ হবেন ইনশাআল্লাহ।
ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খাবেন না
যে কোনো ঠান্ডাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। যেমন : দই, শরবত ও আইসক্রিম—এসব খাবার খেলে সর্দি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঔষধ ছাড়াই মাত্র একমাসে দূর করুন ফ্যাটি লিভার।

১. হলুদের সিরাপ
হলুদে আছে কারকুমিন। হলুদে থাকা এই উপাদান ঠান্ডা লাগা বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ও বুকের খুসখুসে অস্বস্থি, জ্বালা, ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ জলেতে এক চিমটে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন গারগেল বা কুলকুচি করুন। এ ছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। সম্ভব হলে এর সঙ্গে দু’ চা চামচ মধু এবং এক চিমটে গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। ইনশাআল্লাহ সুস্থ হবেন।
৩. পেঁয়াজের টনিক
একই পরিমাণের পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং জল একসঙ্গে মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এই ভাবে সামান্য উষ্ণ এই জল দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার পান করুন। উপকার পাবেন।
৫. আপেল সিডার ভিনেগার সিরাপ
ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ যাই হোক, ঠাণ্ডা লাগলে এক কাপ সামান্য উষ্ণ জলে দুই চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে এই পানীয়টি দিনে অন্তত দু’ তিনবার পান করুন। মোটামুটি ৮-১০ দিন পান করুন। ঠান্ডা লাগা দূর হবে। দ্রুত শ্লেষ্মার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ঠাণ্ডা লাগা নিয়ে ডাঃ এরিক বারগের ভিডিও দেখুন।

সেলিম হোসেন – তাং ৩০/০১/২০২৫ ইং – প্রতীকী ছবি গুলো পেক্সেল থেকে নেয়া।
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.