ওয়েট লস ডায়েট চার্ট আছে
সে অনুযায়ী চলছেন। সব কিছু জানেন। কিন্ত ওয়েট লস হচ্ছে না। দিনে দিনে ওজন বাড়ছে। আরও বেশি করে বাজে খাবার ঢুকছে ডিনারে, লাঞ্চে, ব্রেক ফাস্টে। মনে হচ্ছে পানি খেলেও ওজন বেড়ে যাচ্ছে। কিন্ত কেন ? আমরা আজ উত্তর খুজব।
এ বছর বৃষ্টিটা বেশ লম্বা সময় ধরে চলছে। সেই সাথে ভ্যাপসা গরম। যখন গরম পরে তখন বাইরে বের হলেই যন্ত্রণা। ঘামে শার্ট গেঞ্জি ভিজে যায়। বাইরে থেকে অফিসে ঢুকেই এসি টা ছেড়ে দিল জাহিদ ইসলাম। একটু পরেই বন্ধু বেলাল আহমেদ আসবে। অফিস বয় রাজু কে দুইগ্লাস পানীয় তৈরি করতে বলল জাহিদ।
বেলালের পলো শার্ট ভিজে গেছে। একটা গ্লাস বেলালের এগিয়ে দিল জাহিদ। এটা খেয়ে নে ভালো লাগবে। গ্লাসে চুমুক দিয়ে এতে কি আছে – বলল বেলাল।
হজম শক্তি বাড়াতে ত্বক ফর্সা করতে বিটরুট জুস

এতে আছে মধু, ভিনেগার, লেবুর রস আর পানি। এই গরমে একদম ন্যাচারাল পানীয়। তৃষ্ণা মিটবে, পাকস্থলী পাবে মেডিসিনাল উপাদান। খেতেও দারুন স্বাদ !
হুম, সঠিক বলেছিস। ভালো লাগছে খেতে। আমার এক কলিগ। নাম ফারজানা। তাকে দেখলাম অনলাইনে অর্ডার করে জুস কিনেছে ওজন কমানোর জন্য। আর একটা ওয়েট লস ডায়েট চার্ট আছে। বেচারা বেশ মোটা। উচ্চ রক্তচাপ আছে, কোমরে ব্যাথা। আরও নানান অসুখ। এদের ওজন বাড়ে কেন – বেলাল বলল।
অনেক গুলো কারন আছে। কিন্ত প্রধান কারন হল, খাবারের প্রতি আসক্তি ! ওজন কমানোর কিছু বৈজ্ঞানিক উপায় আছে। যা সহজ, সাস্থ্যকর এবং কার্যকর। মানুষ অযথাই নানান ডায়েট, ওজন কমানোর কফি, কোমরের বেল্ট কত কিছুর পিছনে দৌড়ায়। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে পরে। আমি ৭ টা উপায় বলে দিচ্ছি। যা অনুসরন করলে খুব সহজেই ওজন কমবে।
ঠিক আছে বল। আমি তোকে আসক্তি নিয়ে একটি গল্প শোনাব। বেলাল বলল।
দ্রুত ওজন কমাতে যে সাপ্লিমেন্ট টি ডায়েটে রাখবেন

ওয়েট লস ডায়েট চার্ট ৭ টি পয়েন্ট
১. বেশি খাওয়া – এমন যদি হয়, ওয়েট লস ডায়েট চার্টে ৬ বার খেতে বলেছে। তাহলে শরীরে অনেক ক্যালরি ঢুকে পরবে। পুরো ক্যালরি তো খরচ হবে না। তাহলে ওজন কমবে না। ওজন কমানোর জন্য খাবারের মেনুতে পরিবর্তন আনতে হবে। দিনে খাবারের সংখ্যা ৬ বার থেকে কমপক্ষে ৩ বারে নামিয়ে আনতে হবে । ওজন কমাতে শরীরে জমে থাকা চর্বি ভাঙার সুযোগ করে দিতে হবে।
২. হিসাব না রাখা – ওজন কমাতে অবশ্যই খাবারের হিসাব রাখতে হবে। আমি কোন ধরনের খাবার খাচ্ছি তা গুরুত্বপূর্ণ। খাবার থাকবে ন্যাচারাল উপাদানে পূর্ণ। প্রসেসড ফুড খাওয়া যাবে না। যেমন – বার্গার, পিতজা, কেক, মিষ্টি, বিস্কুট, সফট ড্রিংক, দোকানের জুস, দুধ চা, সাদা ভাত, চিনি যুক্ত খাবার। এগুলো ওজন কমানোর পথে বাধা।
পেটের অতিরিক্ত মেদ কে বিদায় জানান

খেতে হবে তাজা খাবার, যেমন সালাদ, সটে সবজি ( ইউটিউবে রেসিপি আছে ), মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, কুমড়ো বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, চিয়াসিড, কিনোয়া, লাল চালের ভাত একবেলা, এজাতীয় খাবার। ওজন কমে কাঙ্খিত পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে না।
৩. হরমোন সমস্যা – থাইরয়েড বা পিসিওএসের মতো সমস্যা ওজন কমতে বাধা দেয়। এ ক্ষেত্রে হেলদি লাইফ স্টাইল অনুসরন করতে হবে। ফ্যাট এডাপটেশন করে ওজন কমানোর জার্নি শুরু করলে সুফল পাওয়া যাবে। হেলদি ফ্যাট দারুন কাজ দিবে। যেমন – নারিকেল তেল, ঘি, বাটার, অলিভ ওয়েল নিয়মিত খেতে হবে।
৪. মাংসপেশি বাড়ছে – ব্যায়াম করলে বা জিমে গেল মাংস পেশী বাড়ে। ওজন একই থাকলেও চেহারায় পরিবর্তন আসবে। বডির শেপ সুন্দর হবে। এক্ষেত্রে হয় কি, চর্বি কমে কিন্ত পেশী বাড়ে। তখন ওজন কমছে না মনে হলেও আদতে শরীরের গঠন ভালো হচ্ছে।
এ অবস্থায় ওজন মাপার দরকার নেই। কোমরের মাপ ও শরীরের চর্বির পরিমাণ মাপলে মুল বিষয় জানা যাবে। তাই ওজন কমছে না দেখে হতাশ হওয়ার কারন নেই। হয়তো চর্বি কমছে কিন্তু পেশি বাড়ায় সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
কম বয়সীদের হার্ট কেন অসুস্থ হচ্ছে

৭. প্রোবায়োটিক – বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই জেনেছেন ব্রেইন আমাদের কে নিয়ন্ত্রন করে। চমকপ্রদ বিষয় হল আমাদের গাঁট বা অন্ত্র। এটা নিয়ে বিজ্ঞানিদের অনেক গবেষণা পত্র বেরিয়েছে। এখন আমরা জানতে পারছি অন্ত্র ব্রেইন কে নিয়ন্ত্রন করে। অন্ত্র যদি সুস্থ থাকে তো ব্রেইন সুস্থ। আমাদের অন্ত্রে দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া বাস করে। ভালো এবং খারাপ।
প্রোবায়োটিক হচ্ছে অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া। ওজন কমাতে চাইলে অন্ত্র বা পাকস্থলীতে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমান বাড়াতে হবে। এতে করে আরেক কাজ হবে, প্রসেস ফুড বা বাজে খাবারের লোভ কমে যাবে। ওজন কমাতে বাজে খাবার থেকে দূরে থাকা খুব জরুরী। খাবারের আসক্তি কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার ভালো কাজে দেয়।
আশাকরি যা যা বললাম, এটা এগুলো ঠিকমত অনুসরন করলে তোর কলিগের আর কোন ডায়েট লাগবে না। তো সিরিয়াস কথা বলে সময় শেষ হয়ে গেল। উঠতে হবে, গল্প টা শোনা !
প্রাকৃতিক মেডিসিন মরিঙ্গা, ক্যাপসুল ফরম্যাটে খেতে চাইলে ক্লিক করুন

আসক্ত মানুষের গল্প
হ্যাঁ নেশায় আসক্ত একজন মানুষের গল্প বলছি। বেলাল বলল। যে লোক মদ খেয়ে নিজেকে অসুস্থ করে ফেলেছে।
মদাসক্ত হুমায়ুন অসুস্থ, বিছানায়। ডাক্তার মদ খেতে নিষেধ করলেন। হুমায়ুন ডাক্তার কে অনুনয় করলেন। বললেন ” আমার চল্লিশ বছরের অভ্যেস। সেই কলেজ লাইফ থেকে। যদি না খাই, অস্থির হয়ে যাব। পেট ফুলে মারা যাব। প্লিজ, নিষেধ করবেন না।” ডাক্তার হুমায়ুনের বউয়ের জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে দিকে তাকালেন। বললেন ” সন্ধ্যার পর একপেগ খেতে দিবেন। এর বেশি নয়।”
হুমায়ুন আহাজারি করে উঠলেন ” একপেগ নয়, বাড়িয়ে দিন ডাক্তার সাহেব।” ডাক্তার বললেন ” দুই পেগ দিবেন।” হুমায়ুন আবারও বললেন ” আর একটু বাড়িয়ে দিন।” ডাক্তার বললেন ” তিন পেগ খাবেন। এর বেশি কোন অবস্থাতেই নয়।”
ডাক্তার চলে গেলে হুমায়ুন পরিচিত অন্য ডাক্তার কে ফোন করলেন। তিনিও মদ খেতে নিষেধ করলেন। হুমায়ুন এ ডাক্তার কেও অনুরোধ করলেন। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার তাকে তিন পেগ পর্যন্ত খেতে অনুমতি দিলেন।
ওজন কেন কমে না তা নিয়ে বলছেন ডাঃ স্টেন একবারগ

এবারে মহল্লার এক এম বি বি এস কে ফোন করলেন। মদ পানে ডাক্তার নিষেধাজ্ঞা দিলেন। বরাবরের মত এ ডাক্তারের কাছ থেকেও তিন পেগ পর্যন্ত অনুমতি নিলেন।
সন্ধ্যার পর হুমায়ুন বালিশে হেলান দিয়ে বিছানায় বসলেন। বউ ফ্রিজ থেকে বোতল এনে দিল। গ্লাসে ঢেলে পান শুরু করলেন। এক পেগ, দুই পেগ করতে করতে পুরো বোতল শেষ করে ফেললেন।
যারা খাবারে আসক্ত। ওজন কমাতে নানা ওয়েট লস ডায়েট চার্ট অনুসরন করছেন তাদের কে পোস্ট টি শেয়ার করে দিন। সেলিম হোসেন – তাং – ২৭/০৯/২০২৫ ইং – প্রতীকী ছবি গুলো পেক্সেলস থেকে নেয়া।
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.