পালং শাক এর রুটি রেসিপি। পালং শাকের ১০ টি উপকারিতা। Spinach Bread Recipe 10 benefits of spinach.

পালং শাক এর রুটি রেসিপি

পালং শাক এর রুটি রেসিপি

ব্রেকফাস্ট, কি খাবেন? দারুন একটা খাবার আছে, পালং শাকের রুটি। খেতে দারুন সুস্বাদু। আমি ব্রেকফাস্ট বা ডিনারে মাঝে মাঝে খাই।
তবে খেতে চাইলে পালং শাক এর রুটি রেসিপি জানা প্রয়োজন।
ভিটামিন ‘এ ’ও ‘কে’-তে ভরপুর পালং শাক। পালং শাকে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘ই’, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। হেলথ এক্সপার্টরা বলেন, একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলো খুবই জরুরি।
পালং শাক এর রুটি রেসিপি
পালং শাক এর রুটি রেসিপি

পালং শাক এর রুটি রেসিপি, পালং শাকের উপকারিতা 

পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান, তাই শাকটি খাওয়ার মাধ্যমে আমরা সুস্থ থাকা সহ অনেক অসুখ-বিসুখের হাত থেকে রেহাই পেতে পারি। চলুন জেনে নিই পালং শাকের এমন ১০ টি উপকারিতার কথা। পালং শাক বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। তবে পালং শাক এর রুটি রেসিপি জেনে নিয়ে রুটি তৈরি করে খাবেন। খুবই মজা পাবেন।

১. রক্তের চাপ কমাতে 

পালং শাকে রয়েছে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম। এর ফলে নিয়মিত পালং শাক খেলে তা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

২. ওজন কমানোর জার্নিতে 

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দরকার কম ক্যালরি যুক্ত খাবার। এক্ষেত্রে পালং শাক এর রুটি রেসিপি টি দারুন উপায়। রুটি খাবেন, ওজন কমাবেন। কারণ  প্রতি ১০০গ্রাম পালং শাকে ক্যালোরি রয়েছে মাত্র ৭ কিলোক্যালরি যা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে অনেকেই ভুগছেন 

কোষ্ঠকাঠিন্য যাদের তারাই বোঝেন সমস্যাটি কত বিরক্তিকর। পেটে গ্যাস, পেট ফাঁপে আরও কত সমস্যা। অনেকে আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের ভয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে ভয় পান। যেহেতু পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নির্ভয়ে খেতে পারেন পালং শাকের রুটি।

ইদানিং কিছু মনে থাকেনা। সম্ভবত কারন এটাই। 

পালং শাক এর রুটি রেসিপি
পালং শাক এর রুটি রেসিপি

৪. চোখ অমুল্য সম্পদ, এটা রক্ষা করতে 

পালং শাকের পাতার রঙ সবুজ। এই সবুজ রঙের পাতায় থাকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল। যা আমাদের দৃষ্টি শক্তির সক্ষমতা ধরে রাখে।পালং শাকে আরও রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন। যা আমদের চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৫. যারা ত্বকের সাস্থ্য ভালো রাখতে চান 

পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, বলিরেখা পড়া ইত্যাদির দুর করতেও বেশ কার্যকর। এছাড়া এটা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করে এবং ত্বকের নরম ও স্থিতিস্থাপক অবস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৬. শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে 

আমাদের শরীরে অক্সিজেন উৎপাদন হতেই হবে। না হলে বাঁচব কি করে।  পালং শাকের উচ্চ মাত্রার আয়রন দেহে অক্সিজেন উৎপাদন করে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন সি ও ই কে তরান্বিত করে আমদের পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এতে আ্মাদের শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। এছাড়া এই সবজি আমাদের রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

পরকীয়ায় বিপর্যস্ত জীবন সংসার। কিন্ত কেন ? কিভাবে মিলবে মুক্তি। 

পালং শাক এর রুটি রেসিপি
পালং শাক এর রুটি রেসিপি

৭. শরীরে ইনফ্লামেশন অর্থাৎ প্রদাহ প্রতিরোধ করতে 

পালং শাকে রয়েছে নিওজেন্থিন নামক উপাদান যা প্রদাহ নিরাময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাদের জয়েন্টে ব্যাথার সমস্যা আছে তারা অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখলে উপকৃত হতে পারেন।

৮. হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে 

পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিনেজা, সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই জরুরী। তাই হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য সবজিটি আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিতভাবে রাখা দরকার।

৯. শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে 

এই সবজিতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ সহ  রোগ প্রতিরোধী রক্তের শ্বেত কণিকার সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। ফলে দেহ বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা পায়।

১০. ক্যান্সার ঠেকাতে 

পালং শাক এর রুটি রেসিপি কেন জানবেন, কারন এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড। একটি বা দুটি নয় দশটিরও বেশী ফ্ল্যাভোনয়েড। যা ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই পলিনিউট্রিয়েন্টস গুলো দেহের ফ্রি রেডিকেলকে নিউট্রালাইজ করে। ফলে দেহ থাকে ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারে।

যে উপায় গুলো অবলম্বন করলে বউ আপনার উপর দারুন খুশি থাকবে। 

পালং শাক এর রুটি রেসিপি
পালং শাক এর রুটি রেসিপি

পালং শাক এর রুটি রেসিপি এবং গল্প 

একলোক ডাক্তার দেখাতে গেলেন। ডাক্তার জানতে চাইলেন ‘ সমস্যা কি ?’
রোগী – ডাক্তার সাহেব, আমার খুব অসুখ। ঘুম হয়না, মাথা গরম হয়ে ওঠে। আমাকে ভালোভাবে দেখে ঔষধ দেন। আমি সুস্থ হতে চাই।
ডাক্তার রোগীর সাথে নানা কথা বললেন। নানান প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন সমস্যার আদ্যপান্ত। যন্ত্রপাতি লাগিয়ে পরীক্ষা করলেন। বললেন’ আপনার যা অবস্থা দেখলাম, তাতে ঔষধ দেয়ার সুযোগ নেই। আরও আগে আসেন নাই কেন ?
রোগী – কেন, আমার কি হয়েছে, ডাক্তার সাহেব ?
ডাক্তার – হবে আর কি। হেড অফিসে গোলমাল দেখা দিয়েছে। আপনার ব্রেইন ঠিকঠাক মত কাজ করছে না।
রোগী – আপনি কি মশকরা করছেন ! খুলে বলুন আমার কি হয়েছে।
ডাক্তার – ৩০ তারিখের মধ্যে আপনার মাথা পুরাই যাবে। অর্থাৎ আপনি ………
রোগী – অর্থাৎ আমি পাগল হয়ে যাব।
ডাক্তার – অবস্থা তো সেরকমই দেখছি।
পালং শাক এর রুটি রেসিপি
পালং শাক এর রুটি রেসিপি
রোগী বাড়ি ফিরে গিয়ে হইচই বাধিয়ে দেয়। বাড়ির লোকদের বলে এক উন্মাদ ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। পাড়ার লোকদের বলে, পাগল যদি ডাক্তারের চেয়ারে বসে তাহলে রোগীরা কোথায় যাবে ? সে বলে কিনা আমি ৩০ তারিখের মধ্যে পাগল হয়ে যাব। জীবনে কত ডাক্তার দেখলাম এমন মাথা খারাপ ডাক্তার দেখিনি।
২৮/২৯ তারিখে রোগী পাড়ার লোকদের জিজ্ঞাসা করে তোমরা কি আমার মধ্যে পাগলের লক্ষন দেখতে পাচ্ছ ?
৩০ তারিখ রাতে রোগী বিছানায় শুয়ে আছে, পাশে বউ ঘুমিয়ে। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২ টার ঘর পার হয়ে গেল। আমি পাগল হইনি, আমি পাগল হইনি, কানে এমন শব্দ শুনে বউয়ের ঘুম ভেঙে গেল। বউ তাকিয়ে দেখে তার স্বামী পরনের লুঙ্গি খুলে মাথায় নিয়ে নাচছে আর চিৎকার করে বলছে আমি পাগল হইনি, আমি পাগল হইনি।

পালং শাক এর রুটি রেসিপি এবং ডাক্তার 

ডাক্তার কে কেন বিরক্ত করবেন। সুস্থ থাকতে সাস্থ্যকর পালং শাকের রুটি খান। পালং শাক এর রুটি রেসিপি জেনে নিন।
উপকরন – পরিমান মত পালং শাক, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ কুচি, ধনিয়া পাতা ব্লিন্ডারে দিন। পরিমান মত পানি ঢেলে দিন। এবারে ব্লিন্ড করুন। একটি পাত্রে ঢালুন। ঘন কাদার মত হবে। লবন এবং কিছু চালের গুঁড়া মেশান।
তাওয়া গরম করুন। একেবারে অল্প পরিমানে সরিষার তেল দিন। এবারে মিশ্রণ তাওয়ায় ঢেলে অল্প তাপে ভালোমত ছেঁকে নিন। তৈরি হল পালং শাকের রুটি। পালং শাক এর রুটি রেসিপির মত সহজ আর কোন রেসিপি !
পালং শাক এর রুটি রেসিপি
সেলিম হোসেন – তাং – ২৯/১২/২০২৪ ইং – কিছু ছবি পেক্সেল থেকে নেয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *