ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম, কয়দিন ভালো থাকে
ফ্রিজে রান্না করা খাবার ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে রেখে ৩/৪ দিন খাওয়া যেতে পারে।
যা করতে হবে।
খাবার রান্না করার পর এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে খাবার ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখতে হবে।
খাবার রাখার পাত্রের মুখটি ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে।
নরমাল চেম্বারে কাচা মাছ মাংস রাখা যাবে না।
এরপর যখনই খাবার জন্য খাবারটি বের করবেন, তখন খাবারটি ভালোভাবে গরম করে নিবেন।
চুলায় গরম করবেন, ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অর্থাৎ গরম করার সময় তরকারিতে যখন বলক আসবে ( বুদবুদ উঠবে ), তখন তিন থেকে চার মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবেন।
খাবার কখনো ওভেনে গরম করবেন না, ওভেনে গরম করলে খাবারের স্বাভাবিক গঠন ভেঙে যায়, পুষ্টি নষ্ট হয়, অস্বাস্থ্যকর হয়।
কিডনি রোগী বাড়ছে হু হু করে, বাঁচার উপায় কি ?
ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম, সংরক্ষণের টিপস
একগাদা খাবার আমরা ফ্রিজে রাখি। একসঙ্গে রাখি। এটা সুবিধাজনক নয়। সাস্থ্যকরও নয়। খুব বেশি খাবার একসঙ্গে না রেখে দরকার অনুযায়ী ছোট ছোট ভাগ করে রাখতে হবে। একসঙ্গে অনেক খাবার রাখলে বের করতে কষ্ট হয়।
আবার ডীপে রাখা খাবার সবটাই ভেজাতে হয়। রান্নার টুকু রেখে বাকিটুকু আবার ডীপে রাখি। এতে করে ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। কাঁচা মাছ মাংস ছোট ভাগে ভাগ করে বক্সে রাখতে হবে।
ফ্রিজে খাবার বক্স ভর্তি করে রাখার সময় বক্সগুলোর মধ্যে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। তাহলে ভেতরে বাতাস চলাচল করতে পারবে। ফ্রিজের তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা কমিয়ে-বাড়িয়ে দিতে হবে।

ফ্রিজের খাবার গন্ধ
ফ্রিজ খাবার কে দীর্ঘদিন সতেজ রাখে। কিন্ত একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ বা নষ্ট খাবার গুলোর পচনের ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়। খেয়াল না রাখলে, ফ্রিজের ভেতরের পরিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে।
ফ্রিজ ডিফ্রস্ট বা বরফ গলে পানি হয়। এই পানি জমা হয় ডিপ প্যানে। সময়মত এই পানি না ফেললে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। একসময় সেখানে দূষিত পদার্থ জমে বাজে গন্ধ সৃষ্টি করে।
ফ্রিজ ভালো রাখার উপায় ১০ টি উপায়
১. প্রয়োজন ছাড়া দরজা খোলা
ফ্রিজের দরজা কম খুলবেন। ফ্রিজের ভেতরকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো থাকবে। কিছু রাখার জন্য বার বার ফ্রিজ না খুলে একসাথে গুছিয়ে সব একসাথে রাখুন বা বের করুন।
২. ফ্রিজের পিছনে কোন কিছু চাপাচাপি করে রাখবেন না
রেফ্রিজেরেটরের পেছনের দেয়ালে কোন কিছু ঠেসে রাখা থেকে বিরত থাকুন। এটি ফ্রিজের শীতল চক্রের ক্ষতি করে। ফলে ফ্রিজকে বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। ফ্রিজে রাখা মাছ মাংসের জন্যও এটি ভালো নয়।
৩. গরম খাবার রাখবেন না
কখনো সরাসরি গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন না। কারণ, সে খাবার ঠান্ডা করতে ফ্রিজকে খুব বেশি শক্তি অপচয় হয়। তাছাড়া হতে পারে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন।
৪. খাবার হতে সময় লাগে
কোন কোন সময় মাছ মাংস দ্রুত ঠাণ্ডা করার জন্য আমরা পাওয়ার বাড়িয়ে দেই। এটা ফ্রিজের জন্য ভালো নয়। এতে ফ্রিজের খুব বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। যা থেকে ফ্রিজ নষ্টও হয়ে যেতে পারে। দ্রব্য ঠাণ্ডা করতে ফ্রিজকে প্রয়োজনীয় সময় দিন।
৫. পরিস্কার কুলিং কয়েল
ফ্রিজের পেছন দিকে কুলিং কয়েল আছে। সেখান থেকেই ফ্রিজে শক্তি পৌঁছায়। সেই কুলিং কয়েলে প্রচুর ধুলো জমলে শক্তির প্রবাহ কমে যায়। আর তখন ফ্রিজের শক্তি বেশি ব্যয় হয়। তাই এই কুলিং কয়েল পরিষ্কার রাখুন। তবে একটু সাবধানে করবেন, যেন কুলিং কয়েলের বক্ররেখাগুলোর কোন ক্ষতি না হয়। তাহলে সেগুলো কর্মদক্ষতা কমে যাবে।

৬. জমে থাকা বরফ অপসারন
অনেকে ভাবেন, ফ্রিজে যত বরফ থাকবে ততই ভালো। এই ধারণা কিন্তু একদম ভুল। অতিরিক্ত বরফ জমা হলে রেফ্রিজেরেটরের ঠান্ডা করার কর্মদক্ষতা কমে যায়। তাই ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমা হলে, যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো অপসারণ করুন।
৭. এনার্জি বাল্ব কাজ দেয়
ফ্রিজে একটি এনার্জি বাল্ব সংযুক্ত করুন। এটি ফ্রিজে থাকা বাল্ব থেকে বেশি তাপ উৎপন্ন করবে। যার ফলে আপনার রেফ্রিজেরেটরের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে লেড লাইট বেশ ভালো কাজ করে
৮. দেয়ালের সাথে ফ্রিজ ঠেসে দেয়া
দেয়ালের কাছ থেকে কিছুটা ফাঁক রেখে ফ্রিজ রাখুন। অন্তত কিছুটা দূরে। এতে ফ্রিজ কম শক্তিতে বেশি ঠান্ডা করতে পারে।
৯. চুলা বা হিটার থেকে দূরে রাখুন
ফ্রিজকে অবশ্যই এমন কিছু থেকে দূরে রাখুন যা তাপ উৎপন্ন করে। বিশেষ করে চুলা, স্টোভ, ওয়াটার হিটার এসব থেকে দূরে রাখুন।
১০. বাতাস চলাচল করতে দিন
বন্ধ ঘরে ফ্রিজ রাখা কাজের নয়। সেখানে রাখুন, যেখানে বাতাসের ঠিকমত প্রবাহ হয়। ফ্রিজের পেছন দিক দিয়ে যে গরম বাতাস বের হয়, তা সাধারণ বাতাসের সাথে মিশে বাতাস অদল বদল করে। ফ্রিজের পিছনে বাতাসের চলাচল নিশ্চিত করুন। যদিএমন জায়গায় ফ্রিজ রাখেন যেখানে ফ্রিজের আশেপাশে ঠিকমত বাতাস পৌঁছায় না, তবে ফ্রিজকে খুব বেশি শক্তি অপচয় করতে হবে। আর ফ্রিজ দ্রুত আয়ু হারাতে পারে।

ফ্রিজ নিয়ে খুসবন্ত সিং এর একটি গল্প
দোজখে রেস্ট টাইম চলছিল।
দুজন দোজখি গল্প করছিলেন।
১ম জন ঃ তুই কিভাবে মারা গেলি।
২য় জন ঃ আমি আমার বউকে সন্দেহ করতাম। একদিন অসময়ে বাসায় এলাম, বউ দরজা খুলে দিল। বাসায় ঢুকে মনে হল কেউ একজন আছেন।
বাসায় খোঁজা শুরু করলাম। খাটের নিচ, ওয়্যার ড্রোব, আলমারির পিছনে, কিচেনে সব জায়গায়। অনেক সময় কেটে গেল। বউ চুপচাপ।
কিন্তু কোথাও কাউকে দেখলাম না।
বারান্দায় চলে এলাম, এখানেও নেই।
জেনে নিন – সুস্থ থাকতে ফাস্টিং কেন করবেন ?
নিজের বোকামিতে অবাক হয়ে গেলাম, নিজের কাছে নিজেই প্রচণ্ড লজ্জিত হলাম।
এই মুখ কিভাবে বউকে দেখাব !! তিন তলার বারান্দা থেকে নিচে লাফ দিলাম, মরে গেলাম।
তুই কিভাবে মরলি?
১ম জন ঃ ভাইরে যদি ফ্রিজের ডালাটা খুলতি, তাহলে আজ দুজনেই বেঁচে থাকতাম।
ফ্রিজে খাবার কয়দিন ভালো থাকে। গল্পটা আপনার জন্য, লেখাটি কেমন লাগল কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
সেলিম হোসেন – ১৩/০১/২০২৪ ইং
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.