মন্দিরে চুরি পশ্চিম বাংলায়
এমন ঘটনা মাঝে মধ্যে ঘটে। কারন চোরে শোনেনা ধর্মের কাহিনী। তার দরকার অর্থ। এই চুরির ঘটনা মাঝে মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এমনি একটি চুরি কাণ্ড চীনে ঘটেছে। মজার ঘটনা। আজকে আমরা মন্দিরে চুরির দুটো এবং একটি মজার গল্প শুনব। চীনা চুরি কাণ্ড তো থাকছেই।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিউড়ি ১ ব্লকের নগরী গ্রামের ঘটনা। লোকজন জানান ওই গ্রামের সর্বজনীন রক্ষাকালী মন্দির এবং কালীমন্দিরের ঠিক পাশে শিব মন্দির। শুক্রবার সকালে গ্রামের লোকজন লক্ষ্য করেন শিব মন্দিরের তালা ভাঙা। তালা কেন ভাঙা ? তাদের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশে খবর দেন। সন্দেহ সত্যে পরিনত হয়। দরজার তালা ভেঙে কালী ও শিব মন্দির থেকে চুরি গেল প্রণামী বাক্স, গহনা ও বাসনপত্র। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু কেন মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। ঘটনা ২৩ অগস্ট ২০১৫
জেনে নিন – টাকা কিভাবে আসে, কিছু চমৎকার কথা।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চুরি
আমাদের ঢাকাতেও এমন ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে চুরি হয় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে। খোয়া যায় প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ, নগদ চার লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং পাঁচ-ছয় ভরি রূপা। ঘটনার পরদিনই রাজধানীর চকবাজার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা হয়। মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির তৎকালীন সভাপতি বীরেশ চন্দ্র সাহা মামলাটি করেন।
মামলার তদন্ত হয়। ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আশরাফ হোসেন। পরের বছর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
বিচারে রায় ঘোষণা হয়। তিন আসামীর ৮ বছর কারাদণ্ড হয়। দণ্ডের পাশাপাশি তাদের চার হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও চার মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের চার বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আধুনিক হচ্ছে বিশ্ব। চারদিকে প্রযুক্তির জয়জয়কার। এসব প্রযুক্তি যেমন ভালো কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তেমন অপরাধের হাতিয়ার বানাচ্ছেন অনেকে। যেমন বলা চলে চীনের এক চোরের কথাই। বৌদ্ধমন্দিরে দানের উদ্দেশে রাখা কিউআর কোড বদলে দিয়ে নিজের কিউআর কোড বসিয়েছেন তিনি। আর এভাবেই পকেটে ভরেছেন লাখ লাখ টাকা।
ওই চোর রীতিমতো শিক্ষিত। চীনের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর করেছেন। সম্প্রতি চুরির বিষয়টি সামনে আসার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে স্বীকার করেছেন তিনি। চলতি বছরে চীনের শানসি, সিচুয়ান ও চংকিং প্রদেশের বিভিন্ন মন্দির থেকে ৪ হাজার ২০০ ডলারের (প্রায় ৫ লাখ টাকা) বেশি হাতিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি সামনে আসে চলতি মাসে শানসি প্রদেশের পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের পর। তাতে দেখা যায়, প্রদেশের বাওজি শহরের ফামেন মন্দিরে গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর পাশেই দানবাক্স। সেখানে আরও অনেকেই ছিলেন। তবে সবার অগোচরে দানবাক্সে থাকা মন্দিরের কিউআর কোডের ওপর নিজের কিউআর কোড বসিয়ে দেন তিনি।
পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি বলেছেন, বিভিন্ন প্রদেশে একই কৌশলে মন্দিরের টাকা চুরি করেছেন তিনি। কিউআর কোড বদলে দিয়েছেন। মন্দিরে চুরি তার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে। ফলে যখন কেউ মুঠোফোনের মাধ্যমে কোড স্ক্যান করে দান করেন তখন তা চোরের ব্যাঙ্ক হিসাবে জমা হয়। পুলিশ বলছে, চুরির সব অর্থ ফেরত দিয়েছেন গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি।
দাম্পত্য জীবন কেন ধ্বংস হয়, কিভাবে টিকিয়ে রাখবেন সংসার। জেনে নিন উপায়।
এদিকে মন্দিরে এই চুরির ঘটনা ভাইরাল নিউজ হয়েছে। চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোয় ব্যাপক খোশগল্প চলছে। যেমন একজন মজা করে বলেছেন, ‘চীনে একটা প্রবাদ আছে যে সৃষ্টিকর্তা ওপর থেকে সবকিছু দেখছেন। তাই আমাদের খারাপ কাজ করা উচিত নয়। ওই প্রবাদ বদলে দিয়ে এখন বলা উচিত, সিসিটিভি ক্যামেরা ওপর থেকে সবকিছু দেখছে।’ আরেকজন বলেছেন, ‘আইনের ছাত্র হয়েও আইন ভাঙলেন তিনি। খবর টি প্রকাশিত হয় ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০: ০৪ চায়না নিউজ মাধ্যম গুলোয়।
একমাসে ১০ কেজি ওজন কমান ন্যাচারাল উপায়ে।
মন্দিরে চুরি নয় অন্য গল্প
মন্দিরের বাইরে এক ভিক্ষুক বসে ভিক্ষা করছিল। পূজারীরা মন্দিরে ঢুকছেন বের হচ্ছেন। তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছেন ভিক্ষুক। বলছেন ” আমি ক্ষুধার্ত ভগমানের নামে আমাকে ভিক্ষা দিন । আমি খাবার কিনে খাব। ভগবান আপনাকে আশীর্বাদ দিবেন।”
কিন্ত পূজারীরা খুচরো টাকা পয়সা দিচ্ছিল ভিক্ষুক কে। যা দিয়ে তার যথেষ্ট খাবার কেনা হচ্ছিল না। হতাশ হয়ে ভিক্ষুক মন্দিরের সামনে থেকে উঠে গেল। অন্য একটি জায়গা খুজে নিয়ে বসে পড়ল। জায়গাটা একটি দেশী মদের দোকানের সামনে। সন্ধ্যায় লোকজন ঢুকছে, আকণ্ঠ গিলছে। এরপর মাতাল হয়ে বের হচ্ছে।
ভিক্ষুক কাতর কণ্ঠে বলতে লাগল। আমাকে কিছু দান করুন। আমি খাবারের অভাবে কষ্ট পাচ্ছি। ভগবান আপনাদের আশীর্বাদ দিবেন।
মাতালেরা তাকে বড় বড় নোট ভিক্ষা দিল। অনেক গুলো নোট পেয়ে ভিক্ষুক মহাখুশি। ভগবান কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলল ” ভগবান তোমার লীলা বোঝা দায়। তুমি এক জায়গার ঠিকানা দাও, কিন্ত বাস কর অন্য জায়গায়।”
সেলিম হোসেন – তাং ২৮/০৮/২০২৪ ইং – ছবি গুলো পেক্সেল থেকে নেয়া।