পুতিন এবং তার বউ লুডমিলা।
সাহসী, বেপরোয়া এবং ইস্পাত কঠিন হৃদয়ের মানুষ পুতিন। সাধারনভাবে মনেহয় তিনি একজন বেরসিক মানুষ, আসলে তারও কোমল হৃদয় আছে, তিনি প্রেমে পরেছিলেন।
তাঁর একজন বন্ধুর মাধ্যমে লুডমিলা স্কেরিবেনভার সাথে পরিচিত হন। লুডমিলা সরকারি এয়ার লাইনের একজন ফ্লাইট এ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং এক বন্ধুর সাথে তিন দিনের জন্য লেলিনগ্রাদে বেড়াতে এসেছিলেন।
লুডমিলার সাথে পরিচয় এবং প্রণয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন -“আমি তখন সেইন্ট পিটার্সবার্গে কেজিবির প্রধান শাখায় কাজ করছিলাম। আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে আরকাডে রাইকিন থিয়েটারে আমন্ত্রণ জানায়। সে আমাকে বলে সে আগেই টিকেট কিনে রেখেছে এবং আমাদের সাথে দুইজন তরুণীও থাকবে।”
পড়ুন – নিষেধাজ্ঞার শিকার পুতিনের দুই মেয়ে সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে।
“আমরা নাটক দেখতে গেলাম এবং সেই তরুণীরাও আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিল। পরের দিন আমরা আবার থিয়েটারে গেলাম এবং সেদিন আমি নিজেই টিকেট কিনেছিলাম। তৃতীয় দিনও সেই একই ঘটনা ঘটল। এরপর আমি দুই তরুণীর একজনের সাথে ডেট করা শুরু করলাম। আমি আমার ভবিষ্যৎ স্ত্রী লুডমিলার সাথে খুবই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়লাম।”
পুতিন এবং তার বউ লুডমিলা।
স্বামীর সাথে নিজের প্রেমের কথা স্মরণ করতে গিয়ে লুডমিলা বলেন “ভ্লাদিমিরের মধ্যে এমন কিছু একটা ছিল যা আমাকে আকর্ষণ করেছিল। তিন-চার মাসের মধ্যেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম এই লোকটিকে আমার প্রয়োজন।”
জানুন – অসাধারন এক প্রেসিডেন্ট এর গল্প।
লুডমিলা তিন-চার মাসের মধ্যে বুঝে গেলেও পরিচয়ের তিন বছরের মাথায় পুতিন লুডমিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
বলেন “আমি জানতাম যদি আমি আর দুই কি তিন বছরের মধ্যে বিয়ে না করি তাহলে হয়তো আর কোনওদিনই করা হবে না।
আমিব্যাচেলর জীবনে সত্যিই বেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম কিন্তু লুডমিলা আমার জীবনে আসার পর সেটা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল।” ১৯৮৩ সালের ২৮ জুলাই উভয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তারা দুজন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
২০১৩ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে তাঁদের ত্রিশ বছরের দাম্পত্যের ইতি ঘটে।