হাইফো থাইরয়েড থেকে ন্যাচারালি মুক্তি
সমস্যা টা এত ব্যাপক আকার ধারন করেছে যে, খুজতে হবে কোন ফ্যামিলিতে সমস্যা টি নেই। চলছে ঔষধ, চলছে ডাক্তার টাকা ফুরাচ্ছে অকাতরে। কিন্ত মুক্তি মিলছে না। মুক্তি মিলবে একটু সচেতনতায়। তার আগে জেনে নিই সমস্যা টা কি হয়। কেন হয় ?
হাইপারথাইরয়েডিজম এর লক্ষণ। যেমন বেশী ঘাম হওয়া, অ্যারিথমিয়া (অনিয়মিত হৃদস্পন্দন), প্রসারিত চোখ এবং নার্ভাসনেস। হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণগুলির মধ্যে ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, বিষণ্ণতা, অস্বাভাবিক হাড়ের বিকাশ থাকতে পারে।
হাইপো থাইরয়েডিজম কেন হয়
আপু তুমি নিয়ে নাও, আপু তুমি নিয়ে নাও। আজকের কমবো পাচ্ছ অর্ধেক দামে। আর মাত্র কয়েক টি কম্বো আছে। মাত্র পাঁচ জন অর্ডার করতে পারবে। মাত্র তিন দিনে ধবধবে ফর্সা ত্বক। আমাদের এটম হোয়াইট ক্রিম। থাইল্যান্ড থেকে এসেছে। আমাদের মেসেজ বক্সে অর্ডার করে দাও।
পড়ুন – ভাইরাল হওয়ার নেশায় কি সর্বনাশ।
বিভিন্ন আপুরা নানান রকম আকর্ষণীয় কথাবার্তা বলেন । তাদের ফেসবুক পেজে লাইভ করেন। দৃশ্যমান ত্বকের সব অংশে মেকআপের প্রলেপ মেখে এসে । তাদের নিজস্ব নিয়োগকৃত আপুরা কমেন্ট, শেয়ার, অর্ডার করতে থাকেন। এইসব ফেইক শেয়ার, কমেন্ট, অর্ডার দেখে আমাদের বোনেরা প্রলুদ্ধ হন। তারা জানেন না এসব নিয়োগ প্রাপ্তরা নির্দিষ্ট সংখ্যক কমেন্ট, শেয়ারের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ পান।
এরপর শপিং মল, সুপার সপ, মার্কেটে বিভিন্ন দোকান। সেখানে সুন্দর ডেকোরেশনে সাজানো গোছানো বিদেশি সব কসমেটিক্স । আমাদের বোনেদের তিনটা সর্বনাশ হয় ভ্যানিটি ব্যাগের, ত্বকের এবং সাস্থ্যের। যেই বিদেশি কসমেটিক্স গুলো আমাদের বোনেদের প্রলুদ্ধ করে এগুলোর আমদানি ব্যয় অত্যন্ত কম। ধরুন কেনা দাম ৪০০ টাকা হলে বিক্রি দাম ১৬০০ টাকা।
জরিপ বলছে আতংকের কথা। প্রতি তিনজনে একজন মেয়ে থাইরয়েডে সমস্যায় আক্রান্ত। কেমিক্যালি কসমেটিক্স থাইরয়েড সমস্যার প্রধান কারন। যেমনঃ সিরাম, ক্রিম, লোশন ইত্যাদি। কোন ডাক্তার কখনো এই সব কেমিক্যালি কসমেটিক্স ব্যাবহার করার কথা বলেন না। সাস্থ্য বিজ্ঞান কখনো এই কসমেটিক সমর্থন করে না।
থাইরয়েড নয় কসমেটিক নয়
আমাদের দেশে কিছু মেয়ে আছেন, যাদের ত্বকে মেছতা নেই, ব্রন নেই, তাদের থাইরয়েডও নেই। ত্বকের গ্লামার অন্য সব মেয়েদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি সুন্দর। চিনতে পারছেন এই মেয়ে গুলোকে ? পারেন নাই। এই মেয়ে গুলো দেখবেন সারাদিন রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে। এদের কাছে বার্গার, কেক, কোক কেনার পয়সা নেই। কসমেটিক কেনার সক্ষমতা তো নেইই।
অথচ এরাই সুস্থ, এরাই ৫০ বছর বয়সেও গ্লামারাস। তারা কি করেন। সারাদিন হাঁটাহাঁটি করেন। এতে তাদের শারীরিক ব্যায়াম টা হয়ে যায়। দিনের বেলায় হাঁটাহাঁটির সুবাদে শরীরে প্রচুর রোদ লাগে। ভিটামিন ডি তৈরি হয়, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যেহেতু কসমেটিক কেনার পয়সা নেই, তাই শরীরে ঢুকেনা ক্ষতিকর কোন রাসায়নিক। তাই থাইরয়েড তাদের কাছে অচেনা।
এরা কারা ? এরা আমাদের বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েরা। আজকেই যদি রাস্তায় তাদের দেখা পান, তাহলে ত্বক এবং শারীরিক গঠন খেয়াল করবেন এই মেয়েদের। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাবেন।
জিনে নিন – অসুস্থ শরীরে কতবার খাবেন।
আজকের থাইরয়েড সমস্যা ১-৫ বছরের মধ্যে আরও অনেক গুলো রোগ ডেকে আনবে। চিরমুক্তি পেতে কোন ঔষধ লাগবেনা। শুধুমাত্র কেমিক্যালি কসমেটিক্স ব্যাবহার বন্ধ করুন। হেলদি লাইফ স্টাইল পালন করুন। থাইরয়েড সমস্যা এবং অন্যান্য রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন সহজেই।
জেনে নিন – কিভাবে হেলদি লাইফ স্টাইল অনুসরণ করবেন।
আপনার সৌন্দর্য নিহিত আপনার খাবারে। লাইফ স্টাইলে। সাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন। রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমাতে যান। ব্যায়াম করুন, স্ট্রেস দূর করুন। গ্লামার উপচে পড়বে। ন্যাচারাল কসমেটিক ব্যাবহার করুন। তৈরি করুন ঘরেই। সব উপাদান আপনার হাতের কাছেই আছে। ইউটিউবে সার্চ করুন শত শত রেসিপি পাবেন।
থাইরয়েড – দিশা পাটানি বলিউড অভিনেত্রী
বলি অভিনেত্রী দিশা পাটানি। তাঁর অভিনয়ের পাশাপাশি অ্যাকশনের জন্যও বেশ পরিচিত। তাঁর সুন্দর চেহারা নিয়ে শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেদের মাঝেও চর্চা চলে অবিরাম। তাঁর টোন ফিগার সকলেরই নজর কাড়ে। তাঁকে প্রায়শই মেকআপ ছাড়া লুকে দেখা যায়। আর সেই সব ছবি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে নেন।
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন সুস্থ ত্বক বলতে তিনি শৈশবে কখনও ফেসওয়াশ ব্যবহার করেননি। দই ও বেসন দিয়ে মুখ ধুতেন। এই রেসিপিটি তাঁর মায়ের কাছ থেকে শিখেছিলেন। তবে তা বেশ কার্যকর। রাসায়নিক মুক্ত জিনিস ব্যবহারের কারণে তাঁর ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
দিশা পাটানি জানিয়েছেন, ঘুমানোর আগে তিনি মুখ ধুয়েই ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার লাগান। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে এটি প্রয়োগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিনেত্রীর মতে, তিনি অনেক কিছু ব্যবহার করেন না, লাগানোর পরে ভালো ঘুমান, যা ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হেলদি লাইফ স্টাইল ন্যাচারালি হাইফো থাইরয়েড দূর করবে। আজীবন সুস্থ থাকবেন।
সেলিম হোসেন – ২০/০২/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.