স্মৃতি শক্তি কমে যাচ্ছে কেন

স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজন




স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় ৭ টি
১. ব্যায়াম করুন
আগেই বলেছি ব্যায়াম করলে মাসল বাড়ে। ব্যায়ামের প্রভাব পরে আমাদের মস্তিষ্ককেও পরে । ব্যায়ামের পর মস্তিষ্ক অনেক বেশি অক্সিজেন পায় ফলে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে। কিংবা হাঁটাও যেতে পারে, হাঁটাহাঁটি ফলে ব্রেইনে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
যে ভুলে সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।

২. মেডিটেশন
মেডিটেশন অনেক ভালো কাজ করে। বেশিরভাগ মানুষ মেডিটেশন কয়েক দিন করে এরপর ফলাফল না দেখে ধৈর্য হারিয়ে মেডিটেশন করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এর ফলাফল পেতে কিছুটা সময় প্রয়োজন তাই ধৈর্য সহকারে রোজ কিছু সময় মেডিটেশন করতে হবে। যদি মুসলিম হন, তাহলে আপানার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় জামাতে মসজিদে নামাজ আদায় করা। এটা দারুন কাজে দিবে।
৩. বই পড়া
যেকোনো বই পড়ার সময় অনেক বেশি ধৈর্য সহকারে পড়তে হয়। প্রতিটি লাইন বুঝে বুঝে পড়তে হয়। প্রতিদিন বই পড়ার ফলে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়ে। তাদের একদম বই পড়ার অভ্যাস নেই তারা হয়তো শুরুতে বেশিক্ষণ ধৈর্য ধরে রাখতে পারবেন না। কিন্তু প্রতিদিন বই পড়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে বই পড়ার অভ্যাস আয়ত্তে আনা সম্ভব। বই পড়ুন ফোকাস বাড়বে, চিন্তার করার ক্ষমতা বাড়বে।
৪.পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাতে হবে। ঘুম হতে হবে ভালো কোয়ালিটির। ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে, মোবাইল সহ সমস্ত প্রকার ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিদিন না ঘুমালে স্মৃতি শক্তি লোপ পায়। ব্রেইন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
সারাদিন কাজের ফলে আমাদের শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কও ক্লান্ত হয়ে পরে। তাই মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুম আমাদের ব্রেইনের বাড়াতে সাহায্য করে ৷

৫.খাদ্যাভ্যাস
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে রয়েছে খাদ্যের ভূমিকা। প্রতিদিন ডায়েটে একমুঠো বাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া দুধ মাখন মাছের তেল ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে যেমন : ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল। স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির খাবার। চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন।
৬. নতুন কিছু করা
জীবনে পরিবর্তন আনুন। প্রতিদিন একই কাজ করতে করতে ব্রেইন ক্লান্ত। এক্ষেত্রে সে সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। তাই জীবনযাত্রায় মাঝেমধ্যে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসা উচিত। ছুটির দিনে পরিবার কিংবা বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে।
ভ্রমণ বা নতুন স্থানে ঘুরে বেড়ালে স্মৃতি শক্তি ভালো হয়। বাড়িতে নিজেই কোন রান্না করতে পারেন। ছবি আঁকতে পারেন। যদি বাগান থাকে সেখানে কিছু সময় কাজ করতে পারেন। কারণ নতুন কোন কাজ করতে চেষ্টা করার সময় আমাদের ব্রেনের অনেক বেশি সচেতন ও সক্রিয় হয়ে উঠে। যার ফলে ব্রেইন স্মৃতিতে যে কোন কিছুই খুব সহজে ধরে রাখতে পারে।
কৃমি দূর করার মহা ঔষধ অরগানিক কোল্ড প্রেস কোকোনাট ওয়েল।

৭. মনে রাখার উপায়
পড়াশোনা সংক্রান্ত যেকোনো কিছু মনে রাখার সঠিক সময় হচ্ছে খুব ভোরবেলা। সারারাত ঘুমের ফলে ব্রেন অনেক বেশি সচল থাকে। তাই সকাল বেলা যেকোনো কাজ ব্রেন খুব সহজে স্মৃতিতে রেখে দেয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ নোট করে রাখা যেতে পারে। ডায়েরি লেখার অভ্যাস করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কোন কিছু যদি আমরা লিখি তাহলে সেটি ব্রেন খুব সহজে আয়ত্ত করে রাখে।
এছাড়া আমরা আরও কিছু কাজ করতে পারি।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির দোয়া
বিসমিল্লাহ বলে পড়াশোনা শুরু করা। পবিত্রতা বজায় রাখা এবং নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। সুরা আলা, সুরা ইনশিরাহ, ও সুরা কাহফ পড়া স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সহায়ক। নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত। আয়াতুল কুরসি ও সুরা ফাতিহা বেশি বেশি পড়া। রাব্বি জিদনি ইল্মা জিকির করা। নামাজ শেষে দোয়া করতে পারেন। অন্য সময়ও দোয়া করতে পারেন।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ
কোন সিরাপ বা ঔষধ এগুলো খাবেন না। এগুলো কোন সমাধান নয়। সমাধান আপনার নিজের কাছে যা আমরা বিশদভাবে আলোচনা করেছি। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।
