স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে মধুরতা
একান্ত আন্তরিক সম্পর্কের নাম স্বামী স্ত্রী। সারাদিন ঝগড়া হয়। আবার রাতে সব ভুলে যায়। রাতে ঝগড়া হয়। বউ চিন্তা করে সকালেই বাসা ছেড়ে চলে যাব। স্বামী ভাবে এভাবে আর নয় এবার আলাদা হতেই হবে। সকালে বউ মুখ ঘুরিয়ে বলে “ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আস”। স্বামী সুরসুর করে চলে যায়। তারপর খাবার টেবিল, সব কিছু স্বাভাবিক।
প্রত্যেক টা সম্পর্কের একটা মুল জায়গা থাকে। একান্ত কর্মকাণ্ড থাকে। এই মুল জায়গা এবং কর্মকাণ্ডে সবাইকে যত্নশীল হতে হয়। একে অপরের প্রতি যত্ন, দায়িত্ব সম্পর্কে কে মধুরতায় দীর্ঘায়িত করে।
স্বামী স্ত্রী কেন একে অপরের যত্ন নেয়
দম্পতি যখন একান্তে সময় কাটান। নিভৃতে নির্জনতায়, গভীর রাতে হতে পারে বা দিনেও হতে পারে। তখন পরস্পরের মন দৈহিক আবেগ সর্বোচ্চ মাত্রায় অবস্থান করে। তারা সেরা আনন্দ পেতে চান। আনন্দ যত গভীর হয়, দেহমন তত উতফুল্ল হয়ে উঠে। যার প্রতিফলন ঘটে উভয়ের সারাদিনের কাজ কর্মে। এক অপরের প্রতি খুবই ভালোবাসা দেখান।
আর এই একান্ত সময় টা যদি ভালো না হয়, তাহলে তার প্রভাব পড়ে উভয়ের দেহমনে। দিনের পর দিন যদি তারা বিছানায় ভালো সময় না কাটান, তাহলে ধীরে ধীরে একে অপরের প্রতি আকর্ষণ হারাতে থাকেন। এভাবে একসময় সম্পর্কে কোন আকর্ষণ থাকে না। উভয়ে ভাই বোনের মত জীবন যাপন করেন।
বাড়ে তিক্ততা, সম্পর্কের অবনতি। দম্পতিদের তিক্ততা আমরা বিভিন্ন রকম গল্প শুনি। আপনাদের কে একটি দম্পতির ভিন্ন গল্প শোনাই।
পড়ুন – দম্পতিদের সম্পর্ক নিয়ে National library of medicine এর রিসার্চ।
স্বামী স্ত্রী নিয়ে গল্প
গল্প টা ইরানের। সেটল ম্যারেজ, সম্পন্ন হয়েছে যুবক যুবতির। অভিভাবক গন দেখাশুনা করেছেন। আলাপ আলোচনা করে বিয়ের কথা পাকাপাকি করেছেন। বিয়ের পূর্বে ছেলে মেয়ে কেউ কাউকে দেখেন নি। বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। ছেলের চেহারা দেখতে ভালো না, বেশ কদাকার। কিন্ত মেয়ে মাসাআল্লাহ, খুবই সুন্দরী।
তো বিয়ের কিছুদিন পর মেয়ে একদিন ছেলেকে বলল ” ইনশাআল্লাহ আমরা মৃত্যুর পর দুজনেই বেহেস্তে যাব”। কি করে বুঝলে ! স্বামী অবাক হয়ে প্রশ্ন করল।
মেয়েটি বলল – খেয়াল করেছি তুমি আমার দিকে যখন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাক। তখন তোমার ঠোঁট বিড়বিড় করে নড়তে থাকে। নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর। আমার মত সুন্দরী মেয়েকে বউ হিসেবে পেয়ে। যেহেতু তুমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর, এ কারনে আল্লাহ তোমাকে বেহেস্তে নিবেন।
আর আমি তোমাকে স্বামী হিসেবে পেয়ে যে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। ছবর করে আছি, তোমাকে তালাক দিয়ে চলে যাইনি। এজন্য আমিও বেহেশতে যাব।
পড়ুন – কেন স্বামীদের পুরুষাঙ্গ কেটে দিচ্ছেন স্ত্রীরা।
যে দিন স্বামী স্ত্রীর ইচ্ছা হয়
আমরা জানি কাজের জন্য প্রস্তুতি আবশ্যক। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য তো বেশি প্রস্ততি দরকার। বিকেল বা সন্ধ্যায় মেসেজ দিন। ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিন। তাহলে দেখবেন স্ত্রী তৈরি হয়ে আছেন। তার পছন্দের কোন খাবার নিয়ে বাসায় ফিরুন। স্ত্রী অতি আদরে আপনাকে বরণ করে নিবেন। এরপর যখন সময় হবে বিছানায় যাওয়ার। তখন উভয়েই ভালোভাবে হাত মুখ পরিস্কার করে নিবেন। দাঁত ব্রাস করবেন।
স্বামী স্ত্রী একান্ত সময় যা করবেন
প্রথমেই ফোরপ্লে। এটা আবার কি ? এমন একটি শব্দ যা যৌন ক্রিয়াকলাপ গুলিকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত সহবাস বা অন্যান্য যৌন ক্রিয়াকলাপের আগে আমরা যা করি। ফোরপ্লেতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যেমন চুম্বন, স্পর্শ, আদর করা এবং ওরাল সেক্স।
ফোরপ্লে সবসময় কম উত্তেজিত জায়গা দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে বেশি উত্তেজিত জায়গার দিকে ধাপে ধাপে যাওয়া উচিত। ফোরপ্লে শুধুমাত্র নারীর জন্য প্রযোজ্য নয়, এটা পুরুষেরও প্রয়োজন। যদিও বেশিরভাগ নারীই এ বিষয়ে বেশ উদাসীন। ফলে দাম্পত্য জীবনে যতটা সুন্দর হওয়ার কথা, ততটা হয় না।
মিলনের সময় বেশিরভাগ নারী নিষ্ক্রিয় থাকে। ফলে পুরুষের মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়, মিলন সফল হয় না। দীর্ঘ সময় ফোরপ্লে করার পরও যোনিপথ শুকনো থাকলে কোল্ড প্রেস কোকোনাট ওয়েল ব্যবহার করা উত্তম।
নতুন বিবাহিত নারীর যোনিপথ প্রথম দিকে কোনো কারণ ছাড়াই শুকনা থাকতে পারে। পুরুষ যত দ্রুত উত্তেজিত হয়, নারী ঠিক উলটো।
পড়ুন – যাদের আগ্রহ কমে গিয়েছে, বয়সে তরুন অথবা বয়স ৪০+ ঘরেই তৈরি খুব সহজে ম্যাজিক টনিক।
সঠিকভাবে ফোরপ্লে করলে যোনিতে কামরস আপনাআপনি আসে। সাথে কিছু রোমান্টিক কথা হলে আরও সহজ হয়ে যায়। এটা বিরক্ত বা তাড়াহুড়ো না করে স্বামী স্ত্রী দু’জনকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
ফোরপ্লেতে কোন অঙ্গে কত সময় দেবেন, তা জেনে নিন-
ঠোঁট ২ মিনিট – দু’কান ৩ মিনিট – কপাল ২ মিনিট – ঘাড় ২ মিনিট – পিঠ ২ মিনিট – পেট ৩ মিনিট – দুই হাত ৩ মিনিট – দুই পা ৩ মিনিট – নিতম্ব বা পাছা ৪ মিনিট – ব্রেস্ট ৬ মিনিট -যৌনি পথ ৭ মিনিট
স্বামী স্ত্রী দু’জনেই মোট ৩৭ মিনিট সময় ধরে ফোরপ্লে করুন এবং ফলাফল কতটা মধুর হয়, তা নিজে দেখুন।
সেলিম হোসেন – তাং ১৪/০৮/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী