সাপ এর কামড় যখন ভাইরাল নিউজ !! সপ্নে সাপ দেখলে ৯ টি ঘটনা ঘটে। Viral news when snake bites!! If you see a snake in a dream, 9 things happen.

সপ্নে সাপ দেখলে

সপ্নে সাপ দেখলে 

এর কামড় যখন ভাইরাল নিউজ সারাবিশ্বে !! কেন ? প্রথমে আপনাদের এই মজার কাহিনী টা বলি।    
 
প্রিন্ট মিডিয়ার যুগ প্রায় শেষের দিকে।
মেইন স্ট্রিম পত্রিকা গুলো পাঠক ধরে রাখতে মরিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত প্রকাশিত হয় পত্রিকার নিউজ কন্টেন্ট। তাদের কিছু নিউজ কন্টেন্ট উদ্ভট। হেডলাইনের সাথে নিউজের কোন মিল নাই। কমেন্ট বক্সে নেটিজেনদের গালাগালি।
 
কোনটা নিউজ কোনটা নিউজ নয় এটা সাংবাদিকরা ভালো বলতে পারবেন। আমি শুধু এই আপনাদেরকে সাপের কামড় নিয়ে একটা ওয়ার্ল্ড নিউজ শেয়ার করব। 
 
আমাদের দেশে যেহেতু আলাদা করে কোনো জরিপ হয় না। সে ক্ষেত্রে কোন প্রজাতির সাপ বেশি দংশন করে। তা একেবারে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে বিভিন্ন হাসপাতালে কামড়ে আহত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে। এসব রোগীদের উপসর্গ দেখে একটা ধারনা আমরা পাই। চার ধরনের সাপ বেশি দংশন করে থাকে। এর মধ্যে আছে পদ্ম গোখরো, বিভিন্ন ধরনের ক্রেইট বা শাখিনী, সবুজ বোড়া ও চন্দ্রবোড়া। 
 
আমাদের দেশে আসলে নিরীহ এই প্রাণীর কামড় নিয়ে নানা গালগপ্পো আছে। যেমন নানা উপাখ্যান কিংবা চলচ্চিত্রে  দংশনের পর বিষ নামানো হয়।  বিষ নামানো নিয়ে নানান দৃশ্য দেখানো হয়। সেগুলোও অনেকে বিশ্বাস করে বসেন। তাঁরা মনে করেন, অ্যান্টিভেনম বা ওষুধের দরকার হয় না। কার্বলিক অ্যাসিডের বিষয়টিও একেবারে ভ্রান্ত একটি ধারণা।
 
 
সপ্নে সাপ দেখলে
সপ্নে সাপ দেখলে

সপ্নে সাপ দেখলে কি হয় 

অনেকসময়ই স্বপ্নে সাপ দেখতে পাই আমরা। তাও আবার যে কোনও সাপ নয়। কাল নাগিনী, রাসেল ভাইপার। স্বপ্নে দেখা সেই প্রাণীটি যদি আমাদের কামড়ায় অথবা ফণা তুলতে উদ্যত হয়তখনই ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি আমরা। কোন ব্যাক্তি যদি নিয়মিত ভাবে এই প্রাণীটি স্বপ্নে দেখেন, তাহলে কি হবে?  
 
১. স্বপ্নে যদি সাপ দেখা যায়—- ধন প্রাপ্তির সূচনা করে।
২. সপ্নে সাপ দেখলে অর্থাৎ যদি দেখেন এটা আপনাকে দংশন করছে, তাহলে আপনার মারা যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা
৩. স্বপ্নে যদি দেখেন এরা আপনার সামনে দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। তাহলে আগামীতে কালসর্প আপনার সামনে পড়বে।
৪. সপ্নে সাপ দেখলে অর্থাৎ যদি পানিতে এদের দেখতে পান, পূর্ণ কালসর্প যোগের পূর্ব সংকেত সূচিত করে।
৫. সপ্নে সাপ দেখলে অর্থাৎ যদি দেখেন গরুর উপর ফোঁস ফোঁস করছে এমন দেখা যায়। তাহলে অচিরেই আপনার হাতে অনেক টাকা পয়সা আসতে পারে।
 
৬. সপ্নে সাপ দেখলে অর্থাৎ যদি সর্প আর বেজির লড়াই দেখা যায় – তা হলে বুঝতে হবে যে, পরিবারে গৃহের দেবতা রুষ্ট আাছেন।
৭. সপ্নে সাপ দেখলে যদি কোনও জন্ম কোষ্ঠী দেখা যায়- তা হলে কোষ্ঠীতে কালসর্প যোগ আসার পূর্ব সংকেত পাওয়া যায়।
৮. স্বপ্নে যদি কাক সাপ হয়ে যাচ্ছে এমন দেখা যায় – তা হলে কালসর্প যোগ বেড়ে যেতে দেখা যায়। কাককে রাহুর প্রতীক বলে মনে করা হয়।
৯. সপ্নে সাপ দেখলে, যদি এদের সাথে উড়তে থাকেন। তাহলে আগামীতে আপনার যাত্রা পথ নিষ্কণ্টক হবে।

স্বপ্নে এদের দেখা পাওয়া এমন বিশ্বাস হিন্দুদের মাঝে খুব প্রভাবিত। 

ন্যাচারাল উপায়ে আজীবন ডায়াবেটিস মুক্ত থাকুন। 

সপ্নে সাপ দেখলে
সপ্নে সাপ দেখলে

পড়ুন – পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সাপের গল্প। 

সাপ কি গরুর দুধ খায় 

নানা ধরনের গুজব রয়েছে। এগুলোর অন্যতম হলো, এরা গরুর বাঁট থেকে দুধ খায়। গরুর বাঁটে এমন কিছু চিহ্ন থাকে, যেগুলো থেকে যুগ যুগ ধরে এই ধারণা শিকড় গেড়েছে মানুষের মনে। যে কৃষকেরা গরু লালন পালন করেন, তাদের চোখে এ দৃশ্য ধরা পরে। 

এগুলোর যে কোন একটা লক্ষন বা সব গুলো লক্ষন একসাথে দেখা যেতে পারে। তেমন টা দেখলে অনেকেই মনে করেন, রাতে সর্প এসে চুরি করে গরুর বাঁট থেকে দুধ খেয়ে গেছে। আসলেই কি সত্যি? নাকি অন্য কোনো ব্যাখ্যা আছে? 

প্রথমেই বলি গরুর পায়ে আঁশের চিহ্ন দেখা নিয়ে। এই চিহ্ন দেখে গৃহ্স্থ মনে করেন প্রাণীটি রাতে গরুর পা জড়িয়ে ধরে দুধ খেয়েছে। এভাবে যখন গরুর পা জড়িয়ে থাকে, গরু তখন নড়াচড়া করতে পারে না।   

 
 
সপ্নে সাপ দেখলে
সপ্নে সাপ দেখলে
অন্যদিকে গরুর পা লোমে ঢাকা। এই ঘন লোমের ওপর আঁশের চিহ্ন পড়ার তো কোনো কারণই নেই। তবে সেটা গরু বেধে রাখা দড়ি থেকেও হতে পারে। দেখা যায়, গরুর গোয়ালে একাধিক গরু অথবা ছাগল রাখা হয়। রাতে নড়াচড়া করতে গিয়ে অন্য গরুর বা ছাগলের দড়িতে পা জড়িয়ে যেতে পারে। তখন এ রকম বাঁধনের চিহ্ন হতে পারে পায়ে।

বাঁটের ওপরে ছোট ছোট লালচে যে দাগ দেখা যায়, সেগুলো তাহলে কী? সেটা যাই হোক এভাবে বাঁটে দাগ হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিষধর হলে তো কথাই নেই। বিষধর দাঁত যদি বসে যায় বাঁটে, মারা পড়বে গরু। তাহলে এগুলো কিসের দাগ? 

কখনো দেখেছেন, গৃহস্থ কিভাবে গাভীর দুধ দোহন করে ? যদি দেখে থাকেন, নিশ্চয় এ-ও দেখেছেন, দুধ দোহনের পরে অনেকে বাঁট ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলেন। কেউ কেউ তেলও লাগান। এর কারণ আছে। দুধ দোহনের পরে বাঁট পরিষ্কার না করলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। গরুর বাঁট ও এর আশপাশে ব্যাসিলাস মাইকোব্যাকটেরিয়াম নামের ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এ ছাড়া কেনডিডা এপিডার্মোফাইটেন নামের ছত্রাকের সংক্রমণও হতে পারে।

যারা নিয়মিত বাঁট পরিষ্কার করেন, তাদের গরুর বাঁটে এ ধরনের দাগ দেখা যায় না। বাঁট পরিস্কার করার পর সরিষার তেল মাখানো হয়। এই তেল জীবাণু প্রতিরোধে কাজ করে। কিন্তু যারা দুধ দোহনের পর গরুর বাঁট ঠিকমতো পরিষ্কার করেন না। পরিস্কার শেষে বাঁটে সরিষার তেল মাখেন না, তাঁদের গরুর বাঁটে এ ধরনের ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। এটাকে সাপের দাগ বলে মনে করার কোনো কারণ নেই।

জীবনে সফল হতে চাইলে যে বইটি আপনার পড়া দরকার।  

সপ্নে সাপ দেখলে
সপ্নে সাপ দেখলে

এখন কেউ হয়তো কথার খাতিরে বলতে পারেন, বাঁট থেকে দুধ খেতেও তো পারে! তাহলে জেনে রাখুন, সর্প বাঁট থেকে দুধ চুষে খেতে পারে না। এভাবে বাঁট থেকে দুধ চুষে খাওয়ার জন্য অবশ্যই উপযুক্ত ঠোঁট ও জিভ থাকতে হয়। এদের জিভ স্তন্যপায়ী প্রাণীর জিভের মতো নয়। এদের জিভ সরু ও চিকন। এই জিভ দিয়ে কখোনেই বাঁট থেকে দুধ চুষে খাওয়া সম্ভব নয়।

তা ছাড়া তরল চুষে খেতে হলে মুখের এবং বুকের ভেতরকার চাপ হঠাৎ অনেকটা কমিয়ে ফেলতে হয়। মানুষের বেলায় বুক ও পেটের মাঝখানে মধ্যচ্ছদা নামের পর্দা থাকে। মধ্যচ্ছদা নিচের দিকে নেমে গিয়ে বুকের ভেতরকার চাপ অনেকটা কমিয়ে দেয়। ফলে মানুষ জিভ দিয়ে চুষে দুধ খেতে পারে। 

কিন্তু সর্পের কোনো মধ্যচ্ছদা নেই। এ জন্য  এদের পক্ষে কোনো কিছু জিভ দিয়ে চুষে খাওয়া সম্ভব নয়। ফলে গরুর বাঁট থেকে দুধ চুষে খাওয়ার কোনো উপায় নেই ।

মাঝে মাঝে তাহলে গরুর বাঁট শুকিয়ে থাকে কেন? শুকিয়ে থাকা বা চুপসে থাকার বিষয়টাকে বলে প্রতিবর্ত। এটা হল জীবের এমন একটা শারীরিক বৈশিষ্ট্য। যা অনেকটাই জীবের অজান্তেই ঘটে। ভয় পেলে যেমন মানুষ ঘেমে ওঠে, নিজের অজান্তেই গরুও তেমনি সাপের ভয় পায়। সেটা সর্পের ভয়েই হতে পারে। অনেক সময় গৃহস্থ দেখতে পান, সকালে সর্প বাবা গোয়াল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তখনই হয়তো খেয়াল করেন, গরুর বাঁট চুপসে আছে।  

সহিংস মুভি দেখার অভ্যাস থাকলে, এই লিঙ্কে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন। 

সপ্নে সাপ দেখলে
সপ্নে সাপ দেখলে

এরও ব্যাখ্যা আছে। সাপ শীতল রক্তের প্রাণী। এরা পরিবেশের তাপমাত্রা অনুযায়ী শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে না। তাই শীতকালে একটু উষ্ণতার খোঁজে অনেক সময় গোয়ালে আশ্রয় নেয়। কারণ গোয়ালে খড়কুটো রাখে মানুষ, তারপর শীতকালে গোয়াল উষ্ণ রাখার জন্য ছাই ছিটিয়ে দেন। গরমে গোয়ালে ইঁদুরের উপদ্রব হয়। সাপ ইঁদুরে পিছু নিয়ে গোয়ালে এসে আশ্রয় নিতে পােরে।সেখানে উষ্ণতা খুঁজতে চায় গরু। সাপ দেখে গরু ভয় পেয়ে যায়। তখন অজান্তেই বাঁট সংকুচিত হয়ে যায়।

আরেকটা কথা বলা জরুরি। স্তন্যপায়ী প্রাণী ছাড়া আর কোনো প্রাণীর শরীর দুধ খাওয়ার উপযোগী নয়। সাপের শরীর দুধ হজম করতে পারে এমন কোনো প্রমাণও নেই। তবে পানির দরকার হয়, সাপ পানি পান করতে পারে। দুধ খায় এমন কোনো প্রমাণ আজ পর্যন্ত মেলেনি। বাঁট চুষে দুধ পান করা তো সাপের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয়।

ডিম কেন খাবেন, প্রতিদিন কয়টা খাবেন। জেনে বিস্তারিত কথা। 

সপ্নে সাপ দেখলে
সপ্নে সাপ দেখলে
এদেশে কখন সাপ কামড়ায় 
সাধারনত এদের কামড়ে বর্ষা কালে মানুষ মারা যায়। ১৯৮০ এর দশকে বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ খোলা জায়গায়, ঝোপের আড়ালে, নদীর তীরে মলত্যাগ করতেন।
একদিন সন্ধ্যার পর ইন্দোনেশিয়ার একটি গ্রামের একজন বাসিন্দা মলত্যাগ করতে যান। 
বাড়ির পাশের ঝোপে।
তিনি হাঁটু ভেঙে দু পায়ের উপর ভর করে বসেছেন। এমন সময় একটি সাপ ইঁদুর ধরার চেষ্টা করে। ইঁদুর টি দৌড় দেয় লোকটার দু পায়ের মাঝখান দিয়ে।
সাপটিও ইঁদুর কে পিছন থেকে তারা করে।
নির্বোধ সাপ ঝুলন্ত যৌনাঙ্গ কে ইঁদুর ভেবে কামড়ে ধরে। লোকটার একটি পা লেজ দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে। 
মরন যন্ত্রণায় চিৎকার করেন লোকটি। বাড়ির লোকজন লাঠি নিয়ে দৌড়ে আসে। পিটিয়ে মারে।
সাপটি বিষাক্ত ছিল না, লোকটি বেঁচে যান।
আনতারা নিউজ এজেন্সি ঘটনাটা প্রকাশ করে। বিশ্ব মিডিয়ায় নিউজটি বেশ হাস্যরস তৈরি করে।
 
 
সপ্নে সাপ দেখলে
সপ্নে সাপ দেখলে
 
সেলিম হোসেন – ২০/০৯/২০২২ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *