রাতে ঘুম আসে না কেন
আমরা এখন কারনে, অকারনে, ফ্যাশনে না ঘুমিয়ে রাত জাগি।
একারনে ঘুম নামের এই ন্যাচারাল ঔষধ কে আমরা কাজে লাগাতে পারি না।
রাতে ঘুম না হওয়া কি কোনো রোগের লক্ষণ
শুধুমাত্র যথা সময়ে না ঘুমানোর কারনে আমাদের কর্ম ঘণ্টা কমে যায়। চিন্তা ভাবনায় বিভ্রান্তি দেখা দেয়। দিনের বেলায় মেজাজ খারাপ থাকে। মাংস পেশীতে খিঁচ ধরে। ওজন বাড়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়, ফলাফল ডায়াবেটিস। বিষণ্ণ হই, উচ্চ রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরল, নানা রকম অসুখ শরীরে জেঁকে বসে।
রাতে ঘুম না আসার কারন কি
১. অনিয়মিত ঘুমের রুটিন ২. শোবার আগে স্ক্রিন টাইম, অর্থাৎ স্মার্ট ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার বা টেলিভিশন ইত্যাদি ৩. ক্যাফেইন – কফি বা এজাতীয় খাবার এবং অ্যালকোহল সেবন ৪. স্ট্রেস এবং উদ্বেগ ৫. দেরিতে ভারী খাবার খাওয়া।
কি কি খাবার খেলে রাতে ভালো ঘুম হয়
ভালো ঘুমের জন্য যে খাবার গুলো ডিনারে রাখতে পারি। ডিম, মিষ্টি আলু, কাঠবাদাম, কলা, মধু, নদী বা সমুদ্রের তৈলাক্ত মাছ। এ খাবার গুলো ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।
এই দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের মানুষের ১০ টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া সঠিক সময়। এসময় মস্তিস্কের পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণ শুরু হয়। মেলাটোনিন হরমোন আমাদের ঘুমের কারন।
পরিত্রানের উপায় !
সুস্থ থাকতে, ভাল থাকতে, পরিবারের সবাইকে ভালো রাখতে, প্রয়োজনীয় কাজ যথা সময়ে করতে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করব। হেলদি লাইফ স্টাইল অনুসরন করব।
আশাকরি জানতে পেরেছেন রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার।
রাতে ঘুম আসে না কেন ? একটি মজার গল্প
অফিসের হিসাব রক্ষক সাহেব প্রতিদিন ১/২ ঘণ্টা দেরি করে অফিসে আসেন।
মহা বিরক্ত অফিসের বস। তাকে ডাকলেন রুমে।
বস: আপনি দেরি করে অফিসে আসেন কেন ?
হিসাব রক্ষক: স্যার রাতে ঘুম আসে না, রাত ৩/৪ টার আগে আমি ঘুমাতে পারিনা। একারনে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়।
বস: আমি ডাক্তার কে বলে দিচ্ছি, আপনি ওর চেম্বারে গিয়ে পরামর্শ নিন।
হিসাব রক্ষক ডাক্তারের সাথে দেখা করলেন, সব শুনে ডাক্তার ঔষধ দিলেন। ঔষধ খেয়ে দু চোখ বেয়ে ঘুম নামল। ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘুম থেকে উঠলেন। সবার আগে অফিসে পৌঁছালেন।
বস অফিসে পৌঁছালে খুশি খুশি মনে গেলেন বসের সাথে দেখা করতে।
হিসাব রক্ষক: স্যার ডাক্তার সাহেব খুবই ভালো ঔষধ দিয়েছেন। দারুন ঘুম হয়েছে।
বস: সেটা তো বুঝলাম, কিন্ত গতকাল অফিসে আসেননি কেন ?
রাতে ঘুম আসে না কেন ? লেখাটি কেমন লেগেছে কমেন্ট বক্সে লিখে জানান।
সেলিম হোসেন – ২৭/০১/২০২৪ ইং
Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.