বেকিং সোডার ৯ টি চমৎকার ব্যাবহার। 9 Great Uses of Baking Soda

বেকিং সোডার
বেকিং সোডার ১০ টি চমৎকার ব্যাবহার 

ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিন জার্নাল অব স্পোর্টস ২০০৮ এ একটি গবেষণা প্রকাশ করে। সেখানে দেখানো হয়। ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইল রানার যখন বেকিং সোডা খায়। এরপর দৌড়ায় তখন কি ঘটে ? তাদের স্পীড, ফ্যাটিগ্নেস, এনার্জি অনেক বেড়ে যায়।

ঐ গবেষণার পরে, বিভিন্ন টেনিস খেলোয়াড়, এথলেট বেকিং সোডা খাওয়া শুরু করেন। The new England journal of medicine. ২০১০ সালে গবেষণার ফলাফল দেখিয়েছেন। তারা বলেছেন যে সব টেনিস খেলোয়াড় রা নিয়মিত এটি খায়, তখন স্পোর্টস পারফরম্যান্স বেড়ে যায়। এমন কি কন্সিসটেন্স শট পাওয়ার বেড়ে যায়।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা 

নিয়ে আমেরিকায় আরও গবেষণা হচ্ছে। কিভাবে এটা এথলেট এবং সাধারন মানুষের আরও উপকারে আসে। এখানে আমরা নাম উল্লেখ করতে পারি ডাঃ ডোনালড এর। তিনি বলেন কিভাবে এটি পি এইচ স্বাভাবিক রাখতে পারে, মেটাবোলিজম বাড়াতে পারে।

বেকিং সোডাতে কি আছে  

এন্টি ইনফ্লামেটরি, সুদিং, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, ডিটক্সিফাইং, রিলাক্সিং প্রপারটিজ। এছাড়াও আরও অনেক গুলো প্রপারটিজ আছে। যারা গ্যাসের ট্যাবলেট খান, তারা খেতে পারেন এটা। এটা ন্যাচারাল। গ্যাসের ট্যাবলেটের নানান প্রতিক্রিয়া আছে, বেকিং সোডায় সেটা নেই।

বেকিং সোডা কখন খাবেন

একটা বিষয় খুবই খেয়াল রাখতে হবে। বেকিং সোডা যখন তখন খাওয়া যাবে না। এটা খেতে হবে খাবার খাওয়ার দের থেক দুই ঘণ্টা পরে। অর্থাৎ পেটের খাবার টা হজম প্রক্রিয়ার যাওয়ার পরে। খাওয়ার পরপর খেলে হিতে বিপরিত হবে। আবার আপনি খাবার গ্রহনের এক ঘণ্টা আগেও খেতে পারেন। ঘুমানোর আগে খেতে পারেন খালি পেটে।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা লেবু একসাথে 

লেবু এবং বেকিং সোডা একসাথে মিলে বাফার কম্পোনেন্ট তৈরি করে। বাফার কম্পোনেন্ট কি ? লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড। বেকিং সোডাতে আছে সোডিয়াম বাই কার্বোনেট। দুটো মিলে সোডিয়াম সাইট্রেট তৈরি করে। এই সোডিয়াম সাইট্রেট টাই বাফার কম্পোনেন্ট। বাফার কম্পোনেন্ট কি করে ? এটা আমাদের পি এইচ কে সঠিক মাত্রায় রাখে।

ধরুন আপনার স্ট্রেস আছে, বদ হজম বা কোন মেটাবলিক ইস্যু আছে। এক্ষেত্রে আপনার পি এইচ বাড়বে অথবা কমে যাবে। বাফার কম্পোনেন্ট শরীর কে এলকালাইন মুডে রাখবে। আপনি সুস্থ থাকবেন। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই বাফার কম্পোনেন্ট টা খেয়ে নিন।

পড়ুন – লেবুর সাথে কিভাবে তৈরি করবেন উপকারী পানীয়। 

বেকিং সোডার ১০ টি উপকারিতা 

১. অ্যাসিড নিঃসরণ হলো শরীরের খুব সাধারণ একটি ঘটনা। যার ফলে অম্বলের সমস্যা প্রায়শই দেখা দিয়ে থাকে। এতে  সোডিয়াম বাইকার্বোনেট থাকার জন্য অম্বলের সমস্যা এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। 

২. শরীর থেকে অম্লের পরিমাণ কমাতে এবং পি.এইচ এর ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই ন্যাচারাল উপাদান। শরীরে অম্লের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে অস্টিওপরোসিস, আর্থারাইটিস এর মতো সমস্যা দেখা দেয়।

৩. মূত্রনালির সংক্রমণের উপশম করার অন্যতম একটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলো বেকিং সোডা। এটি পানির সঙ্গে মিশ্রণ করে খেতে হয়ে।

৪. অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমতে পারে। শরীরে পেশীগত টান টান ভাব দেখা দিতে পারে।  এই সমস্যার প্রতিষেধক হিসাবে এটি অত্যন্ত উপকারী। পানির সঙ্গে মিশ্রিত বেকিং সোডা এক্ষেত্রে অসাধারণ উপকার করে।

৫. মার্কিন সোসাইটি অফ নেফ্রোলজির মতো একটি পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, এটি শরীরে কিডনির কার্যকলাপ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ঘটায়।

৬. ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ মূত্র এবং টিস্যুতে অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে সারা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। যার ফলস্বরূপ গেঁটে বাত দেখা যায়। এটি ঠিক করতে বেকিং এই উপাদান অসম্ভব উপকার করে।

৭. মৃত কোষ অপসারিত করে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে । এর ফল স্বরূপ ত্বকের পুরানো দ্যুতি ফিরে আসে। এর জন্য কেবল প্রয়োজন পানির সঙ্গে মিশিয়ে মুখে বৃত্তাকারের ঘষে লাগানোর। তবে এটি সপ্তাহে দুই দিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।

বেকিং সোডা

৮. টিন এজ দের ক্ষেত্রে ব্রন মারাত্মক সমস্যা। এই ন্যাচারাল উপাদান টি হাতের কাছেই রাখুন। ব্রণ এবং মুখে হওয়া ফুসকুড়ি কমাতে অসাধারণ উপকার করে ।

৮. মধু এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে প্রতিদিন তিন মিনিট করে ঠোটে লাগিয়ে রাখলে ঠোটের কালোভাব দূর হবে। ঠোটে আলতো ভাবে লাগান। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৮. দাঁত পরিস্কারে অদ্বিতীয়। এটার মত পরিস্কার অন্য কিছুতেই হয় না। দাঁতের ওপর থেকে দাগ ওঠানোর জন্য এর ভূমিকা অসাধারণ।

৯. কোনো বিজ্ঞানসম্মত মতামত না থাকলেও চুলকে নরম করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই ন্যাচারাল উপাদান টি।

এখন থেকে এক কৌটা হাতের কাছেই রাখুন। নিয়মিত ব্যাবহার করুন। এটি আপনার এবং পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষায় দারুন উপকারী একটি ন্যাচারাল উপাদান।

বেকিং সোডা

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

সেলিম হোসেন – ১১/০৮/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *