পালং শাকের রুটি রেসিপি: স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টের ১০ উপকারিতা ও তৈরির সহজ পদ্ধতি
ব্রেকফাস্ট বা ডিনারে একটি দারুণ স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে পালং শাকের রুটি। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি ওজন কমানোর যাত্রায় বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
পালং শাক কেন খাবেন? পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
পালং শাকে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ‘এ’, ‘কে’, ‘সি’, ‘ই’, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড এবং সেলেনিয়াম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই উপাদানগুলোকে সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন।
আসুন, পালং শাকের এমন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
পালং শাকে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম নিয়মিত খেলে তা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. ওজন কমানোর জার্নিতে সহায়ক
ওজন কমানোর জন্য কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার অপরিহার্য। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে মাত্র ৭ কিলোক্যালরি থাকে, যা এটিকে ওজন কমানোর জন্য একটি দারুণ বিকল্প করে তোলে। পালং শাকের রুটি খেলে পেট ভরা থাকে, কিন্তু ক্যালোরি ইনটেক কম হয়।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। যেহেতু পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকে, তাই এটি হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর।
৪. দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে
পালং শাকের সবুজ পাতায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল এবং উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন। এগুলো আমাদের দৃষ্টি শক্তির সক্ষমতা ধরে রাখে এবং চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ইদানিং কিছু মনে থাকেনা। সম্ভবত কারন এটাই।

৫. ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
পালং শাকে থাকা ভিটামিন A ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ব্রণ, বলিরেখা পড়া এবং বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করে, ত্বককে নরম ও স্থিতিস্থাপক রাখে।
৬. ক্লান্তিভাব দূর করে
পালং শাকের উচ্চ মাত্রার আয়রন দেহে অক্সিজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (ভিটামিন C ও E) শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে পুনরুজ্জীবিত হতে সাহায্য করে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
৭. শরীরের প্রদাহ (Inflammation) প্রতিরোধ করে
পালং শাকে রয়েছে নিওজেন্থিন নামক উপাদান, যা প্রদাহ নিরাময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি রাখলে উপকৃত হতে পারেন।
পরকীয়ায় বিপর্যস্ত জীবন সংসার। কিন্ত কেন ? কিভাবে মিলবে মুক্তি।

৮. হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে
ফলিক অ্যাসিড কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই জরুরি। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকায় এটি হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৯. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
এই সবজিতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন A রোগ প্রতিরোধী শ্বেত রক্তকণিকার সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। ফলে দেহ বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা পায়।
১০. ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা
পালং শাকে দশটিরও বেশি ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এই পলিনিউট্রিয়েন্টসগুলো দেহের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেলকে নিউট্রালাইজ করে, ফলে দেহ ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারে।
যে উপায় গুলো অবলম্বন করলে বউ আপনার উপর দারুন খুশি থাকবে।

পালং শাকের রুটি রেসিপি: খুব সহজ পদ্ধতি
পালং শাকের রুটি তৈরির পদ্ধতি খুবই সহজ এবং দ্রুত তৈরি করা যায়। ডাক্তারকে বিরক্ত না করে সুস্থ থাকতে এই রেসিপিটি জেনে নিন!
উপকরণ:
- পালং শাক: পরিমাণ মতো (এক আঁটি)
- কাঁচামরিচ: ২-৩টি (ঝাল অনুযায়ী)
- পেঁয়াজ কুচি: সামান্য
- ধনিয়া পাতা: পরিমাণ মতো
- আটা বা ময়দা: পরিমাণ মতো (কিংবা চালের গুঁড়া, যা দিয়ে রুটি বানাতে স্বচ্ছন্দ)
- লবণ: স্বাদ মতো
- সরিষার তেল বা ঘি: খুব অল্প পরিমাণে (রুটি ছেঁকার জন্য)
তৈরির পদ্ধতি:
১. ব্লেন্ড করা: পালং শাক, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ কুচি এবং ধনিয়া পাতা ব্লেন্ডারে নিন। এতে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে দিন।
২. পেস্ট তৈরি: উপকরণগুলো ভালোমতো ব্লেন্ড করে ঘন কাদার মতো একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন।
৩. মিশ্রণ তৈরি: একটি পাত্রে এই মিশ্রণটি ঢালুন। এতে স্বাদমতো লবণ এবং রুটি তৈরির উপযোগী ঘনত্ব আনার জন্য পরিমাণ মতো আটা/ময়দা (অথবা চালের গুঁড়া) মেশান। মিশ্রণটি যেন রুটি তৈরির মতো ঘন হয়।
৪. রুটি তৈরি: তাওয়া গরম করুন। তাওয়ায় একেবারে অল্প পরিমাণে সরিষার তেল বা ঘি দিন।
৫. ছেঁকে নেওয়া: এবারে চামচ বা হাতা ব্যবহার করে মিশ্রণটি তাওয়ায় ঢেলে গোল রুটির আকার দিন। অল্প তাপে ভালোমতো উভয় পাশ ছেঁকে নিন।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর পালং শাকের রুটি!










