তুমি পাদ দাও নাকি বায়ু ত্যাগ কর
কোন নামে ডাকব? আমাদের নিকট বেশি পরিচিত ” পাদ ” শব্দটি। অতএব আমরা বায়ু ত্যাগ নয় পরিচিত শব্দটি বলব। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসরে পাদ কর্মটি সারেন দিনে ১৪ বার। মহিলারা একটু পিছিয়ে তারা সারেন ১০ বার। শব্দ হতেও পারে নাও পারে। পাদের গতিবেগ কত ? পাদের গতিবেগ – ৭ মাইল / ঘন্টা ।
১. খাবার একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় হজম হয়। এ সময় পেটে বহু ধরনের গ্যাস তৈরি হয়। সেগুলি পেটে জমে থাকলেই ক্ষতি। বরং পায়ু পথে সশব্দে বা নিঃশব্দে বেরিয়ে গেলেই লাভ। পেটে চাপ পড়লে নির্দ্বিধায় সেই পাদ ছেড়ে দিন।
২. পেটে বায়ু জমলে, তা চেপে রাখলে অস্বস্তি হয়। আর সেটি ত্যাগ করলে অস্বস্তি কেটে যায়। তার পাশাপাশি আরও কিছু উপকারও হয়। দেখা গিয়েছে, আরাম করে এই বাতাস বের করে দিতে পারলে মানসিক চাপ কমে, মন হালকা হয়।
৩. পাকস্থলিতে খাবার হজম করতে সাহায্য করে ব্যাকটেরিয়া। তারা এই গ্যাসের অনেকটা তৈরি করে। দেখা গিয়েছে যাঁদের একেবারেই গ্যাস হয় না, তাঁদের হজম প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে। যাঁরা খাবার খুব ভাল করে হজম করেন, পুষ্টিগুণ পুরোমাত্রায় গ্রহণ করেন, তাঁদের পেটে বায়ুর উৎপাদনের মাত্রা বেশি।
জেনে নিন কোন খাবার গুলো বেশি বায়ু উৎপন্ন করে।

৪. এই তথ্যটা বেশ মজার। পাদের গন্ধ নাকে এলে আমরা নাক সিটকাই। কারন দুর্গন্ধ লাগে। কিন্তু নিজের পেটে তৈরি হওয়া গ্যাস আবার নাক দিয়ে শরীরে ঢুকলে, তারও কিছু উপকার আছে।
ছুটে বের হওয়া পাদে হাইড্রোজেন সালফাইড নামক উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের উপর যে মাইটোকনড্রিয়ার আবরণ থাকে। যা কোষগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। হাইড্রোজেন সালফাইড তার ক্ষয় রোধ করে। অতএব নিশ্চিন্ত তুমি পাদ দাও।
তুমি পাদ দাও, বায়ু জমার কারন কি

নিয়ে আমরা উপমহাদেশের মানুষেরা ভব্যতা দেখাই না। কেউ পাদ কর্ম সারলে আমরা খুব হাসাহাসি করি। জনসমক্ষে সারলে তার রেহাই নাই।
ইন্দিরা গান্ধী তখন প্রধানমন্ত্রী। একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সাক্ষ্যাত দেন। সাক্ষ্যাতকালীন সময়ে তিনি সশব্দে ছেড়ে দেন। রেকর্ড হয়ে যায় পাদের শব্দ। সাক্ষ্যাতকার এডিট করা হয়। প্রচারের সময় ভুলবশত মুল সাক্ষ্যাতকারটি প্রচার হয়।
জেনে নিন – বাচ্চাদের লম্বা করার উপায়।

এ ব্যাপারে ইরানের একটি ঘটনা আছে। ইরানের একটি ভরা মজলিশে এক যুবক পাদ কর্ম সারেন। ধরুন তার নাম রাফসান। সশব্দে সবার মাঝে ছেড়ে দেন। পুরো মজলিশে হৈ হৈ সাড়া পরে যায়। লজ্জায় রাফসান শহর ছেড়ে চলে যান।
বহু বছর পর শহরে ফিরে আসেন। ততদিনে রাস্তা ঘাট বাড়ি ঘরের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নিজ বাড়ি চিনতে পারছিলেন না। গলির মাথায় আড্ডা দিচ্ছিল কয়েকজন উঠতি যুবক। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন ” রাফসান দের বাড়ি কোনটা”।
ছেলে গুলো বলল ” কোন রাফসান, পাদ মারা রাফসানের কথা বলছেন ” ?
মনের দুঃখে রাফসান বাড়িতে না গিয়ে ফিরে গেলেন।
পশ্চিমারা বায়ু ত্যাগের ব্যাপারে দ্বিধা রাখেন না। তারা পায়ু পথে চাপ অনুভব করলে প্রকাশ্যেই ঝেড়ে দেন।
কিছুদিন পূর্বে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রকাশ্যে প্রায় মিনিট খানেক ধরে বোঁ বোঁ শব্দে ছেড়ে দেন পেটে আটকে থাকা বাতাস। যখন রাজা চার্লস এর সাথে সাক্ষ্যাত করছিলেন। সারা দুনিয়ায় হাসির রোল ওঠে।
জেনে নিন – এদেশে কিভাবে এল হেলদি লাইফ স্টাইল এবং রিক্সা।

অনাকাঙ্খিত লজ্জা থেকে বাঁচতে, পেটের এসিডিটি কমাতে বাজে খাবার খাবেন না। হেলদি খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাবেন। এক্ষেত্রে আপনার আপনার সবচেয়ে বড় সহযোগী আপেল সিডার ভিনেগার। আপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত খাবেন। সুস্থ থাকবেন, লজ্জা থেকে বাঁচবেন।
সেলিম হোসেন – তাং ১৭/০২/২০২৪ ইং – প্রতীকী ছবি গুলো পেক্সেলস থেকে নেয়া
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.