টক দই কি এর ১০ উপকারিতা
এটি দুদ্ধজাত খাবার। যা দুধের ব্যাক্টেরিয়ার গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। টক দই বা Yoghurt তৈরি হলে দুধের সব উপাদানই থাকে। বেরিয়ে যায় শুধু কেসিন। ল্যাকটোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করা হয়। যা দুধের প্রোটিনের উপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ এবং এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে। পৃথিবীতে মানুষ খাবার টি বহু বছর যাবত খেয়ে আসছে। যতদূর জানা যায় প্রায় ৪৫০০ বছর ধরে আমরা দই তৈরি করছি এবং খেয়ে আসছি।
ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ এবং সাস্থ্যকর উপায়।

টক দই এবং বিজ্ঞানী এলি মেচনিকফ

টক দই এর ১০ টি উপকারিতা
১. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হজমে সহায়তা করে। হজম প্রক্রিয়া ঠিকভাবে চলতে থাকলে পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি কমতে পারে। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, আমার এভাবে বলতে পারি, মুলত হজম ক্ষমতার উপর নির্ভর করে শরীরের সুস্থতা।
২. হাড়ের গঠন শক্তিশালী করতে
Yoghurt এ আছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D। যা হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হয় এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৩. শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরায়
টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকস শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি দেহে মেটাবলিজম বাড়ায়। যার ফলে সহজে ওজন কমানো সম্ভব হয়।
ফ্যাটি লিভার দূর করুন মাত্র একমাসে ন্যাচারালি।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকস পাকস্থলির বাজে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। একারনে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। ফলে সংক্রমণ বা রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হয়। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. চুল এবং ত্বকের জন্য উপকারী
দইয়ে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সাস্থ্য ভালো রাখে। চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। ত্বকের ব্রণ বা অন্যান্য সমস্যা কমায়। খুশকি ও চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
৬. হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে
টক দইয়ে থাকা উপকারী ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, এবং পটাসিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।দইয়ের নিয়মিত ব্যবহারে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং কোলোস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সন্তানেরা বখে যাচ্ছে বাবা মায়ের কারনে। কারন এবং প্রতিকার জেনে নিন।

৭. মানসিক তৃপ্তি আনে
দইয়ের মধ্যে থাকা ভিটামিন B12 এবং ফোলেট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি শরীরে সুখী অনুভূতির সৃষ্টি করতে পারে। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
৮. পাকস্থলীর সুস্থতায়
দই নিয়মিত খেলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পেটের অস্বস্তি যেমন গ্যাস, এসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি কমতে সাহায্য করে।
৯. গরমে ঠাণ্ডা পেট
গরমের দিনে দই খাওয়া শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং পেটের অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়। গরমের দিনে টক দইয়ের লাবাং খেতে খুবই মজা। বাংলাদেশে বেশ কিছু কোম্পানি লাবাং তৈরি করে। এর মধ্যে আরং এর লাবাং টাই বেশী প্রচলিত।
১০. ব্লাডে চিনি নিয়ন্ত্রন করে
দই খেলে রক্তে চিনির (গ্লুকোজ) মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
জীবনে সফল হতে চান ? তাহলে আব্রাহাম লিঙ্কনের জীবনী আপনার অনুপ্রেরনা।

কফির সাথে টক দই দিলে মুখ ফর্সা হয়
টক দই কোন টা খাবেন
সবচেয়ে ভালো হয় যদি বাসায় তৈরি করা যায়। তাহলে কোন ব্র্যান্ডের টা খাব, কোন টা খাব না, সেটা ভাবার দরকার হয় না। তবে যদি নিতান্তই সুযোগ না থাকে, তবে তো বাজার থেকেই কিনতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে Milk vita Yoghurt. এরপর আরং এর টা। তারপরও যদি ভাবেন তবে নিতে পারেন প্রান কোম্পানির টা। যেটাই কিনুন খেয়াল করে দেখবেন দোকানি দইটি নরমাল ফ্রিজে রেখেছে কিনা। যদি ডিপ ফ্রিজে রাখা টক দই কিনবেন না।
টক দইয়ের গুনাগুন নিয়ে বলছেন, বিশ্ব খ্যাত ডাঃ এরিক বারগ।

সেলিম হোসেন – তাং – ০২/০১/২০২৫ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.