একটি বদঅভ্যাস রাতের ঘুম নষ্ট করে। বদ অভ্যাসটি কি আছে ? A bad habit ruins a good night’s sleep.

একটি বদঅভ্যাস
 একটি বদঅভ্যাস রাতের ঘুম নষ্ট করে

কি সেই অভ্যাস ? রাতে ঘুম আসেনা ? কেন ঘুম ভালো হয় না?  রাতে ভালো ঘুম না হওয়ার অনেক গুলো কারন আছে।একটা গুরুত্বপূর্ণ কারন যা আপনি চাইলেই দূর করতে পারেন। আর স্বর্গীয় ঘুম কে আপন করে নিতে পারেন।  

আমরা কত ঘণ্টা ঘুমাব ? হিসাব টা জানা জরুরী। আমরা যারা পূর্ণ বয়স্ক মানুষ তারা ঘুমাব ৭- ৮ ঘণ্টা। শিশুদের ক্ষেত্রে পরিমান টা হবে ৯-১৩ ঘণ্টা। নবজাতক বাচ্চাদের ১২-১৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুম হচ্ছে ন্যাচারাল ঔষধ। ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীরে জমে থাকা টক্সিন থেকে বের করে দিয়ে কর্মক্ষমতাও বাড়ায়। কর্মময় দিনটি কেমন যাবে তা অনেকটাই নির্ভর করে রাতে ভালো ঘুমের উপর। শুধুমাত্র একটি বদঅভ্যাস ঘুমের সর্বনাশ ঘটাতে পারে। 

জেনে নিন – কিভাবে প্রতিদিন বিষ খাচ্ছেন। 

একটি বদঅভ্যাস

একটি বদঅভ্যাস ইনসমনিয়া আনতে পারে 

রাতে ঘুম না আসা অথবা ঘুম আসলো অথচ বারবার ভেঙে গেল এটাকে বলে ইনসমনিয়া। বাংলায় বলি অনিদ্রা রোগ। যার ফলে দিনের বেলায় ঝিমুনি ভাব বা ঘুম হতে পারে। এই উল্টো কাজে মনোযোগে ব্যঘাত ঘটবে। অল্পতে রাগ হতে পারে, মেজাজ খিটখিটে থাকবে সারাদিন। কেউ কেউ খুব বিষণ্ণ হয়ে পড়েন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই ইনসমনিয়া হতে পারে। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের হার কমে যাওয়া বা ঘুম পাতলা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। বর্তমানে যে বিষয়টা বেশি প্রভাব ফেলছে ঘুমের উপর তা হল সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই এই সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে ইনসমনিয়ার ভুক্তভোগী।  

অধ্যাপক ওয়াকার ‘হোয়াই উই স্লিপ’ বইয়ে লিখেছেন, ‘বিশ্বের একটা বিশাল অংশ অন্ধকারে জেগে থাকে। যে ঘুম তাদের নষ্ট হচ্ছে, সেটা যে পূরণ করা দরকার, সেটা তারা ভাবে না। তারা মনে করে, ‘যা গেছে তা গেছে।’

বউয়ের কাছে গল্প বলে রুটি বেলা বেলুনের বারি খেল অমিত। 

একটি বদঅভ্যাস

একটি বদঅভ্যাস আনবে অনিদ্রা যা ক্ষতি হতে পারে

শারীরিক বা মানসিক সমস্যা তৈরি হবে ঘুম না হওয়ার কারনে। মোট পর্যালোচনা করা হয়েছে ১৫৩ টি গবেষণা, জানা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ওজন বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। জার্নাল সায়েন্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, অনিদ্রার সঙ্গে দ্রুত মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু অন্যান্য অসুখ যেমন ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতা এবং ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার সঙ্গে ইনসমনিয়ার যোগসূত্র রয়েছে।  

অন্য  এক গবেষণা বলছে, কেউ টানা ১৭ থেকে ১৯ ঘণ্টা জেগে থাকলে মস্তিষ্কে যে ধরনের প্রভাব পড়ে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলেও একই ধরনের প্রভাব পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। গবেষণায় বলছে, কোনো ব্যক্তি যদি টানা ১১ দিন না ঘুমিয়ে থাকে, এতে স্বাভাবিক আচরণ ও দৈনন্দিন কাজেকর্মে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। যা তাকে শর্ট টাইম মেমোরি লস থেকে শুরু করে হেলুসিনেশন, এমনকি মস্তিষ্ক বিকৃতির দিকেও নিয়ে যেতে পারে।
 
 
একটি বদঅভ্যাস
একটি বদঅভ্যাস কি সেই বদঅভ্যাস 

একটি বদঅভ্যাস, একটি বদঅভ্যাস শব্দটি বারবার বলছি। কেন বলছি ? বাসায় ঢুকতে বিকেল, সন্ধ্যা বা রাত। প্রথমে ফ্রেশ হওয়া, এরপর রিলাক্স সময় ব্যয়। সোফায় বসে টিভি দেখা অথবা বিছানায় শুয়ে সেলফোন চালানো। বিছানায় শুয়ে সময় কাটালে এটা ঘুমের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে।

আমাদের শরীর খুবই স্মার্ট, বিছানায় শুয়ে বসে সময় কাটালে শরীর জেনে যায়, এটা বিশ্রাম করার জায়গা, ঘুমানোর নয়। মুল কারন তারা রুমে ঢুকেই বিছানায় চলে যান, একারনে শরীর বুঝতে পারেনা, তারা বিশ্রাম নিচ্ছেন নাকি ঘুমাচ্ছেন। বিশ্রাম এবং ঘুম আলাদা বিষয়। ভালো ঘুমাতে চাইলে দ্রুত রাতে খাবার শেষ করতে হবে। বিশ্রাম হবে সোফায় বা চেয়ারে। বিশ্রামকালীন সময়ে সবচেয়ে ভালো কাজ বই পড়া। বই পড়লে দু চোখে তন্দ্রাভাব চলে আসবে। রাত দশটার মধ্যে ঘুমানোর জন্য বিছানায় চলে যাবেন।  

পরকীয়া মানে কি ? কেন মানুষ পরকীয়া করে ? 

একটি বদঅভ্যাস

এসময় বিছানায় গেলে ভালো ঘুম হবে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে ১০/২০ মিনিট নিশ্বাসের ব্যায়াম। 4-7-8 breathing technique লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলেই চলে আসবে ভিডিও। এই ব্যায়াম স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিবে। নিঃশ্বাসের ব্যায়াম শেষে আলো নিভিয়ে দিলেই। ঘুম আর ঘুম ।

ঘুমের মধ্যে চোখের মণি ঘুরতে থাকে। সাধারণভাবে ঘুমের পাঁচটি পর্যায় রয়েছে। একদম শেষ পর্যায়ে আমাদের ঘুম খুব গভীর হয়। সেই পর্যায়েই আমরা স্বপ্নও দেখি ও চোখের মণি ঘুরতে থাকে। আমরা আশা করছি সবার জন্য ভালো ঘুম।  কিভাবে একটি বদঅভ্যাস রাতের ঘুম নষ্ট করে। আশাকরি বিষয়টা সবাই বুঝতে পেরেছেন। মেনে চলাটাও সবার জন্য সহজ। 

হোস্টেল বা মেসে থাকা ছেলে মেয়েরা সাধারণত রাত জাগেন। তাদের ঘুম দেরিতে হয়। 

সেলিম হোসেন – ১৩/০১/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী 

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *