ইমানদার চোর কি অবাক কাণ্ড ! অলস চোর, নিউজ ভাইরাল চীনে। ২ চায়না চোরের গল্প। Lazy thief, news viral in China. 2 The story of the China thief.

ইমানদার চোর
ইমানদার চোর এবং অলস চোর

চিনা সংবাদ পত্রের একটি নিউজ বেশ আলোড়ন তুলেছে। এক অসচেতন ব্যাক্তি এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যা পরিনত হয়েছে ওয়ার্ল্ড নিউজে। ঘটনা ৮ নভেম্বরের ২০২৩ এর। গভীর রাতে ইউনানের এক বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিলেন এক চোর। নাম তাঁর ইয়াং। বাড়িতে ঢোকার পরই ইয়াং বুঝতে পারেন, বাড়ির লোকজন জেগে আছেন; তাঁদের নানা কথাবার্তাও আসছিল কানে। তাই লোকজন ঘুমিয়ে না পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকেন।

অলস ইয়াং জানতেন না, এই অপেক্ষা তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে! ওই বাড়ির লোকজনের ঘুমিয়ে পড়ার জন্য অপেক্ষা করতে করতে একপর্যায়ে নিজেই ঘুমিয়ে পড়েন ইয়াং। এরই মধ্যে শিশুসন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বাড়ির মালিক ট্যাং।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার শব্দ বেশ বিরক্তিকর। যার নাক দিয়ে শব্দ বের হয় তিনি টের পান না। কিন্ত অন্যরা ঘুমাতে পারেন না। ইয়াং গভীর ঘুমে তলিয়ে যান। শুরু হয় নাক ডাকা। বেসুরো শব্দ বের হতে থাকে ক্রমাগত।

ইয়াং এর নাক ডাকার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় ট্যাংয়ের। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, শব্দটি হয়তো পাশের কোনো বাড়ি থেকে আসছে। তাই খুব একটা গা করেননি। এরও মিনিট চল্লিশেক পর বিছানা ছেড়ে শিশুসন্তানের দুধের বোতল পরিষ্কার করতে নিজের ঘর থেকে বের হন ট্যাং।

জেনে নিন – চীনের নারীরা কেন অপরিচিত সঙ্গী খুঁজছেন।

ইমানদার চোর

পড়ুন – অসচেতন হলেই সফলতা ব্যর্থতায় পরিণত হবে।

ইমানদার চোর এবং অলস চোর 

তখন বুঝতে পারেন, শব্দটি আসছে তাঁর বাড়িরই আরেকটি ঘর থেকে। ওই ঘরের দরজা খুলে চমকে ওঠেন তিনি। দেখতে পান, অচেনা এক লোক মেঝের ওপর শুয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন। আর সেই লোক হলেন চুরি করতে ঢোকা ইয়াং! এরপর ট্যাং দ্রুত পরিবারের সদস্য জাগিয়ে তোলেন। ডাকা হয় পুলিশকেও। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াংকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগেও ইয়াংয়ের অপরাধের ফিরিস্তি দিয়েছে পুলিশ। চুরির দায়ে ২০২২ সালেই কারাগারে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। গত সেপ্টেম্বরে আবার ছাড়া পেয়ে চুরি শুরু করেন তিনি।

এদিকে নাক ডাকার শব্দে চোর ধরা পড়ার এ খবর গণমাধ্যমে আসার পর তা হাস্যরসের কারণ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘মজার ঘটনা। চোরই বাড়িতে পুলিশ ডেকে এনেছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘তিনি তো চুরি করেননি। তাহলে কী সাজা পাবেন ?’

চীনের সাংহাইতে এক চোর একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি করেছেন। চুরি শেষে মালিকের উদ্দেশে চিরকুট লিখে গেছেন। তিনি লিখেছেন আপনার প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ভালো না। এ কারনে আগামী দিনে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। 

প্রায় প্রতিটি বাসাতেই থাইরয়েড রোগী, নিয়মিত ঔষধ কেনা। সুস্থ থাকবেন, আর ঔষধ কেনা লাগবেনা !  

ইমানদার চোর

ইমানদার চোর 

১৭ ই মে ২০২৪ ইং

চোরের সাথে কি ‘ ইমানদার চোর ‘ শব্দটি যায় ? ইমানদার চোর শব্দ নিয়ে অনেক বিতর্ক হতে পারে। আসুন আমরা জেনে নিই চোর ভাইয়া ইমানদার চোর কি না। দিনের ছুটি শেষে অফিস বন্ধ। মালিক এবং কর্মচারী সবাই ফিরে গেছেন যার যার বাসায়। রাত গভীর হয়, এমন সময় অফিস ভবনের দেয়াল বেয়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পরেন চোর। যার নামের শেষাংশ স্যাং। তিনি বিভিন্ন টেবিলের উপর দেখতে পান স্মার্ট ফোন। প্রতিটা ডেস্কেই পান এপলের ম্যাক বুক। খুজে পান একটি এপল স্মার্ট ওয়াচ।

তারাতারি বেশ কয়েকটি ফোন এবং ল্যাপটপ একটি টেবিলে জড়ো করেন স্যাং। এরপর একটু ধীর স্থির হন। আরাম করে হাত পা ছড়িয়ে একটি চেয়ারে বসেন। এতগুলো ল্যাপটপ ফোন ! কি করা যায় ভাবতে থাকেন। ছোট একটি কাগজের টুকরো নেন। স্যাং কাগজে অফিসের মালিকের উদ্দেশ্যে কিছু কথা লিখেন। এরপর স্যাং চুরির মাল নিয়ে বেরিয়ে পরেন।

পরদিন অফিস সময়ে সবাই প্রতিষ্ঠানে ঢুকেই অবাক হন। প্রায় সব গুলো ফোন একটা টেবিলের উপর স্তূপ করা দেখতে পান। দ্রুত মালিক চলে আসেন। তার নজর পরে একটি ল্যাপটপের নিচে ছোট কাগজের টুকরো। তাতে লেখা, ‘প্রিয় বস, আমি একটি হাতঘড়ি ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে গেলাম। আপনার চুরিরোধী ব্যবস্থার উন্নয়ন করা উচিত। আমি সব ফোন ও ল্যাপটপ নিচ্ছি না। কারণ, আমার আশঙ্কা, এতে আপনার ব্যবসা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

জীবনে সফল হওয়ার অন্যতম শর্ত, সুন্দর করে গল্প বলা। 

ইমানদার চোর

ইমানদার চোর স্যাং! 

চিরকুটের একেবারে শেষে স্যাং লেখেন, ‘আপনার ফোন ও ল্যাপটপ ফেরত পেতে চাইলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’ চিরকুটের শেষে তিনি নিজের ফোন নম্বরও দিয়ে দেন। ঘটনা দ্রুত পুলিশ জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় নজরদারি ক্যামেরা ও স্যাংয়ের দেওয়া ফোন নম্বর ব্যবহার করে তাঁকে শনাক্ত করা হয়।

স্যাং কিছুটা নির্ভার এবং নিশ্চিত ছিলেন। তিনি ট্রেনে করে সাংহাই শহর ছেড়ে বাইরে যাচ্ছিলেন। কিন্ত স্যাং এর দুর্ভাগ্য কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ তাকে ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছে হাত ঘড়ি ও ল্যাপটপ ছিল। পরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই স্যাং কে  নিয়ে মজার সব মন্তব্য করেছেন। অনেকে তাঁকে ‘দয়ালু চোর’ বলে মন্তব্য করেছেন। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে একজন মজা করে মন্তব্য করেছেন, ‘তিনি খুব কৃপণের মতো অপরাধ করেছেন।’

আরেকজন ঠাট্টা করে মন্তব্য করেন, ‘ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিককে বরং চুরি রোধের ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে বলা উচিত। চোরকেও তাঁর পলায়নের দক্ষতা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া উচিত।’ ইমানদার চোর স্যং কে নিয়ে নানা আলোচনা। আপনার কি মনে হয় স্যাং ইমানদার চোর।

যে উপায় গুলো আপনাকে আজীবন সুস্থ রাখবে। 

ইমানদার চোর

সেলিম হোসেন – ২০/১১/২০২৩ – ছবিগুলো প্রতীকী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *