আদা পানি লিভার ডিটক্স করে
লিভার, কিডনি, পাকস্থলী ডিটক্স করুন ! বিজ্ঞাপনের বাহার, সোশ্যাল মিডিয়ায়, অন্যান্য মাধ্যমে। দামী দামী প্রডাক্ট। ৭ দিনে লিভার ডিটক্স ধরনের নানা প্রলোভন ! এগুলো শুধু টাকা ব্যয় হয়। উল্টো শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারন, প্রডাক্ট গুলোর মান যাচাই করার কোন উপায় নেই।
আমার প্রতিদিন যে খাবার খাই তা থেকে প্রচুর বাই প্রডাক্ট তৈরি হয়। যাকে বলে ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’। আর বাজে খাবার লিভাররে উপর প্রচুর চাপ তৈরি করে। আমরা অসুস্থ হই। ফ্রি র্যাডিক্যাল আর টক্সিন মুক্ত করতে প্রয়োজন ডিটক্সিং। ফাস্টিং এর সময় আদা পানি অসাধারন ডিটক্স করে।
আমরা জানি ফাস্টিং সব রোগের ঔষধ। ২০১৬ সালে ফাস্টিং আবিস্কার করে নোবেল প্রাইজ পান জাপানি বিজ্ঞানি ইয়োশিনারি অশুমি। তারপর এটি নিয়ে আরও গবেষণা হয়েছে। আমরা পেয়েছি ন্যাচারালি সুস্থ থাকার উপায়। এবারে বিস্তারিত জেনে নেই, ফাস্টিং এ আদা পানির লিভার ডিটক্সের কথা। আরও বলব বিদেশি এক বউয়ের প্রতারনার ভাইরাল কাহিনী।
ন্যাচারাল মেডিসিনে আজীবন সুস্থ থাকুন

আদা পানি কখন খাবেন এবং তৈরির উপায়
অসুস্থ বা সুস্থ শরীর। যে অবস্থায়ই থাকুন, খেতে পারেন এই আদাপানি। বেশি উপকার পাবেন পেট খালি থাকা অবস্থায় খেলে। তবে খাবার গ্রহনের দুই ঘণ্টা পরও খেতে পারেন। আর ফাস্টিং অবস্থায় তো খাবেন ই। দারুন ভাবে শরীরের টক্সিন গুলো পরিস্কার করবে।
যেভাবে তৈরি করবেন – তৈরি করা খুবই সহজ। ফুটানো একমগ গরম পানি নিন। এক ইঞ্চি পরিমান আদা নিন। আদাটাকে স্টিলের ঝাঁঝরিতে গ্রাট করুন। কুচিকুচি করে কাটতেও পারেন। পানিতে ঢেলে দিন আদাটুকু। ধীরে ধীরে আদার রস পানিতে ছড়িয়ে পড়বে।
এবার চায়ের মত করে চুমুক দিয়ে খেতে থাকুন। খাওয়া শেষে দারুন একটা ভালোলাগা তৈরি হবে শরীরে। হজম এবং এনজাইমের কার্যকারিতা বাড়াবে। ফলে খাবার সহজে হজম হবে । গ্যাস, বদহজম, পেট ফাঁপা দূর হবে।
Gut parasite পেটে কৃমি পরজীবী সংক্রমন দূর করুন ন্যাচারাল উপায়ে

আদা পানির প্রধান ৫ টি উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ – আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ঠান্ডা-কাশি সিজন শুরু হচ্ছে। এ থেকে রেহাই পাবেন।
২. হৃদপিণ্ড সুস্থ – আদা রক্তনালী প্রসারিত করে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে, ফলে হার্ট ভালো থাকে।
৩. ওজন কমাতে – যদি সকালে খালি পেটে খান। তাহলে মেটাবলিজম বাড়বে, ফলে চর্বি দ্রুত ঝরবে। ওজন কমাতে কাজে দিবে।
৪. বমি বমি ভাব – সমস্যা টা কারও কারও আছে। আপনার থাকলে আদাপানি খান। হাতেনাতে প্রমান পাবেন।
৫. জয়েন্ট পেইন – আদা ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক। এর প্রদাহনাশক গুণ আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট পেইন কমাতে সাহায্য করে।
উপাদান টি আমাদের ঘরেই থাকে। অলসতা ঝেরে ফেলুন। আজ থেকেই তৈরি করুন আদাপানি খাওয়ার অভ্যাস। মাত্র একমাস নিয়ম করে খেলেই অবাক হয়ে যাবেন। সারাজীবন পানীয় টি আপনার সঙ্গী থাকবে।
এলোভেরা জুসটাও লিভার ডিটক্সে দারুন উপকারি

আদা পানি নয় বউয়ের প্রতারনার ভয়াবহ কাহিনী
০২ আগস্ট ২০২৫
বাহরাইনের এক শহরে তাদের নিবাস। স্ত্রীর ভালোবাসায় তৃপ্ত ভদ্রলোক। দারুন সুখের সংসার। তিনি স্ত্রীকে ভালোবেসে একে একে জন্মদেন ৫ টি সন্তান। তারা বড় হতে থাকে। একজন দায়িত্ববান পিতা সন্তানদের যেভাবে ভালবাসেন, যত্ন নেন, তিনি ঠিক তেমন টাই করেছেন। জীবনের সব আয় রোজগার ঢেলেছেন স্ত্রী সন্তানদের পিছনে। সন্তানেরা সবাই উচ্চ শিক্ষা শেষে কর্মজীবনে।
এখন তার সুখে দিন কাটানোর কথা। আর সুখেই কাটছিল দিন। কিন্ত সমস্যা তৈরি করল এক অসুখ। ডাক্তারের কাছে গেলেন। নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা চলল। অযাচিত একটি বিষয় ধরা পরল। যার কোন প্রয়োজনই ছিলনা ! ডাক্তার জানালেন, আপনি চিরদিনই সন্তান জন্মদানে একজন অক্ষম ব্যাক্তি।
বাঁই বাঁই করে মাথায় চক্কর দিতে লাগল। তাহলে ৫ টি সন্তান এল কোত্থেকে ! ৪০ বছর ধরে সংসার করছেন অথচ কিছুই টের পেলেন। বাড়িতে ফিরলেন। সবকিছু স্ত্রীকে বললেন, পুরো বাড়ি একেবারে গরম করে ফেললেন। সবাই পরামর্শ দিলেন, ডিএনএ টেস্ট করতে। তিনি সব সন্তানকে ডাকলেন। ডিএনএ টেস্টে স্ত্রী সন্তানেরা রাজি। সন্তানদের ধারনা, বাবা বুড়ো বয়সে পাগল হয়েছেন !
ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক আদার রয়েছে বহু সাস্থ্য উপকারিতা

যথারীতি ডিএনএ টেস্ট সম্পন্ন হল। কারও সাথে ভদ্রলোকের ডিএনএ মিলল না। চারিদিকে ছড়িয়ে পরে খবর। মুহূর্তেই পুরো বাহরাইনে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিনত এই আজব কাহিনী। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ঘটনাটি। ৪০ বছরের সংসার ! অনেকেই বিষয়টি কে হৃদয় বিদারক বলছেন। কেউ বা বলছেন বুদ্ধিমতি মহিলা, অক্ষম পুরুষ কে সন্তানের বাবা হওয়ার আনন্দ দিয়েছেন ! নানান কথা।
০২/০৮/২০২৫ ইং বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় ঘটনাটি। আমরা সেখান থেকেই আমরা জানতে পারি। ভদ্রলোক আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। বাহরাইনের শরিয়া বলেছে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ অনুযায়ী ওই ব্যক্তি পাঁচ সন্তানের জৈবিক পিতা নন। বাহরাইনের উচ্চ শরিয়াহ আদালত রায়ে জানায়, সব প্রমান অনুযায়ী ভদ্রলোকের পিতৃত্ব বাতিল হয়ে গেছে।
রায়ে আরও বলা হয়, সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সরকারি সব নথিপত্র থেকে ওই ব্যক্তির নাম মুছে ফেলা হবে। বাদীর আইনজীবী ইবতিসাম আল সাবাগ বলেন, ৪০ বছর ধরে এই ব্যক্তি বাবার দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। অথচ এখন জানতে পারলেন, এরা তার সন্তানই নয়। এটা নিঃসন্দেহে এক গভীর প্রতারণা।
আদা পানির উপকারিতা নিয়ে গবেষণা পেপার পড়ুন

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা থেমে নেই। কেউ বলছেন, এটি একজন পুরুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। কেউ আবার এটিকে পুরো একটি পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা হিসেবে দেখছেন।
সেলিম হোসেন – তাং ২৫/০৯/২০২৫ ইং – প্রতীকী ছবি গুলো পেক্সেলস থেকে নেয়া
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.









