সুস্থ থাকা
ওজন কমানো সহজ কাজ। সুস্থ থাকা আরও সহজ। জানিয়ে দিচ্ছি উপায়। বাড়ি বানাতে সুন্দর একটি প্লান দরকার। আর্কিটেকচার দিয়ে প্লান করানো উত্তম। এরপর সিমেন্ট – স্ক্যান, সুপারক্রিট বা হোলসিম এদের টা হলে ভালো হয়। রড বিএসআরএম টাই তো সেরা। রাজমিস্ত্রি হিসেবে তাদেরই নিয়োগ দিতে হবে, যাদের কাজের সুনাম আছে। রঙ, টাইলস হবে বাজারের সেরাটা।
সুষ্ঠু নির্মাণের জন্য একজন ইঞ্জিনিয়ারের তদারকি দরকার। এখন আশাকরা যায় একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি হবে। যা দৃষ্টিনন্দন, আরামদায়ক, বাসযোগ্য।
ওজন কমানো সহজ কাজ। সুস্থ থাকা আরও সহজ। দেখুন ভিডিও
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে আছে ১০ -৫০ ট্রিলিয়ন কোষ। আরও সহজ করে বললে একজন মানুষ আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ১০ ট্রিলিয়ন কোষের সমষ্টি। শরীরের কয়েক বিলিয়ন কোষ প্রতিদিন ঝরে যায় এবং নতুন তৈরি হয়। আমাদের এই শরীর টাও একটি বাড়ির মত। কোষ তৈরিতে প্রয়োজন প্রোটিন, ভাল ফ্যাট এবং মিনারেল। খাবার যদি অসাস্থ্যকর হয় তাহলে দুর্বল কোষ তৈরি হয়। আমরা অসুস্থ হই।
জেনে নিন – দ্রুত সহজে হেলদি উপায়ে ওজন কমানোর উপায়।
আমাদের এই শরীর নামক বাড়িটা তৈরি করতে সাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করতে হবে। যাতে থাকবে – প্রোটিন, ভালো ফ্যাট এবং মিনারেল। ভালো কোষ তৈরি হবে। আমরা সুস্থ থাকব। বাড়ি তৈরিতে এত যত্ন এত খেয়াল। শরীরের দিকেও খেয়াল থাকবে শতভাগ। তবেই সুন্দর করে তৈরি করা বাড়িতে আরামে ঘুম দেয়া যাবে।
সুস্থ থাকার ১১ টি উপায়
১. লিফট থেকে নেমেই গাড়ি ! এরপর অফিসে উঠতে লিফট। তারপর সারাদিন অফিসে বসে থাকা। আমাদের বহু মানুষের লাইফ স্টাইল টা এমন হয়ে গেছে। সুস্থ থাকার জন্য লাইফ স্টাইল বদলে ফেলুন। এক দিনে অন্তত ৫ হাজার স্টেপ হাঁটুন। অথবা ব্যায়াম করুন, প্রতিদিন গায়ে রোগ লাগাবেন ৩০ মিনিট সময় ধরে। স্বাস্থ্যের পক্ষে খাবার যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি রোজ হাঁটাচলা করা। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা উচিত। খাবারের পর ৮০ স্টেপ হাঁটা রাসুলের ( সঃ ) সুন্নত। সকালে আধ ঘণ্টা জোর কদমে হাঁটলে উপকার পাবেন। সকালে সময় না-পেলে রাত্রি নামার পূর্বেই আধ ঘণ্টা অবশ্যই হাঁটুন।
২. প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি পান করবেন। এক এক জন মানুষের শরীরে পানির চাহিদা এক এক রকম। স্বাভাবিক ভাবে ৫-৭ মগ পানি পান করুন। এটি আপনাকে হাইড্রেট রাখবে ও খাবার হজম করতেও সাহায্য করবে। পরিমান মত পানি খেলে শরীরের সমস্ত টক্সিন অপসারিত হয়। কম পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকে শুষ্কভাব ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুরান ঢাকা এবং এক ছাগল বেপারির গল্প।
৩. নিয়মিত ফাস্টিং করবেন। ধরুন রাতের খাবার সন্ধ্যা ৭ টায় খেলেন, তাহলে ব্রেকফাস্ট করবেন সকাল ১১ টায়। তাহলে ১৬ ঘণ্টা ফাস্টিং হয়ে যাবে। এতে শরীরে অটোফেজি হবে। অর্থাৎ শরীরে মরা কোষ গুলো রিসাইকেল হয়ে যাবে। যদি ফাস্টিং এর সময় আরও বাড়াতে পারেন তাহলে আরও বেশি উপকার পাবেন।
৪. রাতের খাবার আসরের নামাজের পর অথবা সন্ধ্যা ৭ টার আগেই শেষ করবেন। । তাহলে শরীর খাবার হজম করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবে। যা সুস্থ থাকার জন্য আবশ্যক।
৫. চা ও কফি পরিমান মত পান করলে শরীর সুস্থ থাকে। অনেকেই অভ্যেসবশত চা ও কফি পান করে থাকেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে এঁদের পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখুন। বেশি পান করলে শরীরের ক্ষতি হয়। চা বা কফি সবসময়ই দুধ, চিনি ছাড়া খাবেন। প্রতিদিন চা, কফি মিলিয়ে মোট চার কাপ খেতে পারেন।
৬. চা ও কফির পরিবর্তে গ্রিন টি শরীরের পক্ষে অধিক উপকারী। এটি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে যার ফলে হজম তাড়াতাড়ি হয়। এর ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন দ্রুত শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই দিনে দুই কাপ খেতে পারেন গ্রিন টি। সুস্থ থাকার জন্য গ্রিন টি একটি ভালো পানীয়।
ঔষধ ছাড়া আজীবন সুস্থ থাকার উপায়।
৭. ফাস্টফুড খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এই খাবারগুলি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এতে অধিক পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই ফাস্টফুড ও বাইরের খাবার খাওয়া ছেড়ে দিন। কোন অকেসন বা আবশ্যক কারন ছাড়া বাইরে খাবেন না। ওজন কমাতে চাইলে তো এগুলি খাওয়া বন্ধ করুন। সুস্থ থাকার জন্য তো অবশ্যই এসব খাবার থেকে দূরে থাকবেন।
৮. নেশা করা বা মাদক নেয়া শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। মদ্যপান ও ধূমপান ফুসফুস ও লিভারের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে নেশা বা মাদক থেকে দূরে থাকুন।
৯. সুস্থ থাকার জন্য করতে পারেন যোগ ব্যায়াম। যোগাসন শরীরকে নমনীয় করে, পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও জরুরি। যোগাসন নানান রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারে। মাথা ব্যথা থেকে শুরু ক্যান্সারের চিকিৎসায় যোগাসন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১০. আমাদের অসুস্থ করে মিষ্টি খাবার। যাতে মেশানো থাকে সাদা চিনি। তো এই চিনি যুক্ত মিষ্টি খাবার থেকে দূরে থাকুন। তাহলে রক্তে শর্করার পরিমান কম থাকবে। ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। এ ছাড়াও মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেলে ওজন কমবে সহজেই।
স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেন কেটে ফেললেন স্ত্রী ?
১১. সর্বোপরি ভালো ঘুম সুস্থ থাকতে জরুরি। যাঁরা রাতে ঠিক-ঠাক ঘুমাতে পারেন না, তাঁরা প্রায়ই কোনও না-কোনও রোগে ভুগতে থাকেন। শরীর ও মস্তিষ্ক— উভয় ক্ষেত্রেই ভালো ঘুম প্রভাব বিস্তার করে। পর্যাপ্ত ঘুম না-পেলে রাতে কফি পান করা বন্ধ করুন। অন্যদিকে অবসাদ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ব্রিদিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন ব্যক্তিকে অবসাদ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
দেখুন আমার আজকের ডিনার / ব্রকলি গাজরের সবজি/ মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ / সাউয়ার ক্রাউট / বাদাম / ডিম / ভিনেগার পানি আগে খেয়ে নিয়েছি।
আবারও বলি ওজন কমানো সহজ কাজ। সুস্থ থাকা আরও সহজ।
সেলিম হোসেন – ১৩/০১/২০২৪ ইং
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.