ফাস্টিং এর উপকারিতা অটোফেজি। অটোফেজি পেতে করনীয়। Fasting benefits autophagy. to induce autophagy.

ফাস্টিং এর উপকারিতা
ফাস্টিং এর উপকারিতা  ফাস্টিং কি 

ফাস্টিং বিষয়টা মুলত না খেয়ে থাকা। ফাস্টিং দুই ধরনের এক ইন্টারমিটেন্ট এবং ড্রাই ফাস্টিং বা রোজা রাখা । ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কে ট্রেন্ড হিসেবে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন, উপকারিতা পাচ্ছেন। তবে রোজা রাখা তা বেস্ট। সেটা ওজন কমাতে চান বা অসুখ থেকে মুক্তি চান। ইন্টারমিটেন্ট কে কেউ কেউ বার ওয়াটার ফাস্টিং বলেন। রোজা রাখার বিষয় তো আমরা সবাই জানি। ইন্টারমিটেন্ট টা কিভাবে করব জেনে নিই। 

ইন্টারমিটেন্ট ব্যাপারটা খুবই আনন্দের এবং কার্যকরী। তার আগে চলুন কিছু ফ্যাক্টস জেনে নেই সম্পর্কে। অনলাইনে সবচাইতে বেশি খোঁজা শব্দ গুলোর মধ্যে উপরের দিকে স্থান ইন্টারমিটেন্ট।  কী পরিমাণ সাড়া তাহলে বুঝতেই পারছেন। ইংল্যান্ডের জার্নাল অব মেডিসিন এ নিয়ে একটা গবেষণাপত্রই বানিয়ে ফেললো শুধু একটা ডায়েট স্টাইলের উপর ভিত্তি করে। এছাড়াও ২০১২ সালে বিবিসি-তে একটি প্রোগ্রাম হতো, যার নাম ছিলো ‘Eat Fast, Live Longer’। বুঝতেই পারছেন জ্ঞানীগুণী মহলে এই বস্তুর ভক্তের অভাব নেই।

কেন রাতে আপনার ঘুম হচ্ছে না, জেনে নিন কারন ও প্রতিকার। 

ফাস্টিং এর উপকারিতা 

ফাস্টিং এর উপকারিতা এবং সময় নির্ধারণ 

ধরে নিতে পারেন আমাদের হিন্দু ভাইবোনেরা যেমন উপবাস করেন। সারাদিন তারা ভারী খাবার গ্রহন করেন না। পানি বা জুস জাতীয় খাবার গ্রহন করেন। তো আমরা কি করব ? ধরুন রাতের ডিনার করলাম সন্ধ্যা ৭ টায়। পরদিন ব্রেকফাস্ট করব সকাল ১১ টায়। এক্ষেত্রে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হবে ১৬ ঘণ্টা। এটা ছোট মাপের ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। আমরা সময় বাড়িয়ে নিলে অটোফেজি বেশি হবে। আর যদি ডিনার থেকে ২০/২১ ঘণ্টা পরে গিয়ে ব্রেকফাস্ট করা যায় এতে করে শরীরে স্টেমসেল তৈরি যা সব ধরনের রোগ নিরাময় করে। 

ইন্টারমিটেন্ট কালীন না খেয়ে থাকার সময়ে আমরা কি খাব ? সকাল টা আমরা শুরু লেবু বেকিং সোডা দিয়ে। এরপর গিয়ে ভিনেগার লেবু পানি খাব যখন ক্ষুধা ভাব অনুভত হয়। তারপরে ব্লাক কফি খেতে পারি। লাল চা খেতে পাই অবশ্যই চিনি ছাড়া। যেসব খাবারে প্রোটিন, শর্করা বা ফ্যাট আছে সেগুলো খাবনা। 

তবে যদি টানা কয়েক দিন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং চলে সে ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি উপকার হবে। আর খাওয়া যেতে কোল্ড প্রেস কোকোনাট ওয়েল। গ্রিন জুস বা স্মুদি যদি খুব ক্ষুধা লাগে। 

হু হু করে বাড়ছে কিডনি রোগী। কিডনি সুস্থ রাখার উপায় কি। 

ফাস্টিং এর উপকারিতা 

ফাস্টিং এর উপকারিতা ওজন কমানো 

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা সারাদিন পানি বা এজাতীয় খেয়ে ওজন কমানোর প্রচেষ্টা সম্পর্কে আপনি শুনে থাকবেন।  সম্প্রতি কোস্টারিকার এক ব্যক্তি অ্যাডিস মিলার দাবি করেছেন, তিনি ২১ দিনে শুধু পানি বা আমরা যা বলেছি সে জাতীয় খাবার খেয়ে উপবাসের মাধ্যমে ১৩ কেজি ওজন কমিয়েছেন। তিনি এখন রীতিমত ভাইরাল হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফাস্টিং এর উপকারিতা নিয়ে মুটিয়ে যাওয়ারা খুব আকৃষ্ট হয়েছেন।   

মিলার জার্নিটি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে, জানিয়েছেন বিস্তারিত। সেখানে তিনি বলেন, ‘এ বছরের শুরুতে, আমি কোস্টারিকাতে ২১ দিনের জন্য শুধু পানি পান করে উপবাস শুরু করি। আর এই অভিজ্ঞতা সত্যিই আমার জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি ২১ দিন পানি পান করে উপবাস করেছি। এতেই ১৩.১ কেজি (২৮ পাউন্ড) হারিয়েছি। শরীরের ৬ শতাংশ চর্বি কমেছে। প্রতিদিন আমাদের শরীরে মিনারেল দরকার হয়, তাই একচামচ পিঙ্ক সল্ট মেশানো পানি খাবেন জার্নি চলাকালীন। যদি একটানা অনেকদিন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন, তবে স্মুদি এবং কোকোনাট ওয়েল খাবেন। তা না হলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ’

শিখ নারী এবং মুসলিম তরুনের ঐতিহাসিক প্রেম এবং বিয়ে। কিন্ত আদালতে কেন, কি হল শেষে। 

ফাস্টিং এর উপকারিতা 

ফাস্টিং এর উপকারিতা জানি, কিন্ত অটোফেজি হয় না  

অটোফেজি পেতে করনীয়। রোজা বা রাখলে ড্রাইফাস্টিং করলে অটোফেজি হয় ? তাতে লাভ কি ? অটোফেজি সব ধরনের অসুখে মেডিসিনের কাজ করে কার্যকর ভাবে। ক্যান্সার, ব্লাড, প্রেসার, খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, ইনফ্লামেশন কমায় আরও অনেক অনেক উপকারিতা। তবে অটোফেজি সুফল পেতে শরীরকে আগেই প্রস্তত করতে হবে। কারন কয়েকটি কারনে রোজা রাখলেও শরীরে অটোফেজি হয় না।

১. যদি স্ট্রেস থাকে, তখন শরীরে তখন করটিসল আসবে অটোফেজি হবে না।

২. শরীরে সুগার, ইনসুলিন, এমন কি এমাইনো এসিড বেশি থাকলেও অটোফেজি কাজ করবে না।

৩. যদি গুরুতর কোন রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফাস্টিং করবেন। 

জেনে নিন – একমাসে ১৫ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়। 

ফাস্টিং এর উপকারিতা

ফাস্টিং এর উপকারিতা 

পেতে যা করতে হবে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে সবার আগে প্রয়োজন মনোযোগের সাথে প্রার্থনা। আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করা, নিশ্বাসের ব্যায়াম করা, ব্যায়াম করা, যোগ ব্যায়াম করা, দৌড়ানো। ভালো ঘুমানো, তারাতারি ঘুমাতে যাওয়া, তারাতারি ঘুম থেকে উঠা। সাস্থ্যকর খাবার পরিমিত পরিমানে গ্রহন করা।  

ফাস্টিং এর উপকারিতা

পড়ুন – ফাস্টিং এর উপকারিতা সম্পর্কে আরও জানতে। 

সুগার, ইনসুলিন, এমাইনো এসিড কমাতে খাবারে ন্যাচারাল খাবার বেশি পরিমানে রাখুন। সাস্থ্যকর ফ্যাট খান, যেমন ডিম, মাখন, ঘি, অলিভ ওয়েল, নারিকেল তেল। সামুদ্রিক মাছ, নদীর মাছ, দেশি মুরগি, গরুর মাংস এগুলো খাবেন।

বৃহস্পতিবারের রোজায় আমার আজকের খাবার। সালাদ ডিম চিয়া সিড পিনাট বাটার । ফাস্টিং এর উপকারিতা অটোফেজি। অটোফেজি পেতে করনীয়। আশাকরি বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন। 

সেলিম হোসেন – ২১/১২/২৩ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী 

Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *