চা পাতা চীনা কথা। চা তৈরির চায়না রেসিপি ৭ ধাপ। Chinese recipe for making tea 7 steps. Tea leaves are Chinese words.

চা পাতা
চা পাতা চীনা কথা

তৃষ্ণা নিবারন বা ক্লান্তি দূর নয়। উদ্দিপনা ধরে রাখতেই শুধু নয়। চা নিয়ে চীনাদের মধ্যে একটি দর্শন কাজ করে। চা পান করাকে আধ্যাত্মিক সাধনা মনে করে চীনারা।

চীনারা মনে করে, চা পরিবেশন এবং পান করা এক বিশাল শিল্প কলা। তারা যেন তেন ভাবে চা তৈরি করেন না। প্রতিটি ধাপে থাকেন মনযোগী। চায়ের জন্য ফুটানো পানি, চায়ের সরঞ্জাম। চা পানের সময়। একসাথে পান করার সময় সবার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেন।



চা তৈরিতে কেমন পানি দরকার ? খনিজ ও রাসায়নিক মুক্ত পরিচ্ছন্ন পানি। হাজার বছর ধরে তারা ব্যাবহার করেছেন ইয়াংসি নদীর পানি। সুউচ্চ পর্বত থেকে ধেয়ে আসা ঝর্না, বৃষ্টির পানি। এসব পানিতে চমৎকার চা তৈরি হয়।
দ্বিতীয়ত তারা ব্যাবহার করে আসছেন। নদীর পানি, পুকুর বা কুয়ার পানি।

এরপরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চায়ের কাপ, কেটলি, চামচ, ট্রে, চিনির কৌটা, দুধের বাটি। গ্রিন টি, ব্লাক টি, উলাং টি সব ধরনের চা ই চীনারা পান করেন। পরিবেশনের সময় চায়ের বিপরিত রঙের কাপে ঢালা হয়। পানকারীদের রুচি, একাগ্রতা, মৌনতা বিবেচনা থেকে বাদ পরে না। 

পড়ুন – রাইস টি কেন খাবেন ? 

চা পাতা

চা পাতায় পানীয় তৈরি চীনা নিয়মে। 

১. কোন পানি নিতে হবে, সেটা আগেই বলেছি। লাইনের ক্লোরিন মিশানো পানি নিবেন না।  

২. পানি কে পুরোপুরি ফুটান। পানি ফোটার পরে এক মিনিট অপেক্ষা করুন। চুলা নিভিয়ে দিন। 

৩. প্রয়োজনীয় চা পাতা নিন। এককাপের জন্য ২ মিলি গ্রাম পাতা। ওজন সঠিক হওয়া একান্ত প্রয়োজন। 

৪. শুকনো পরিস্কার কেটলিতে চা পাতা ঢালুন। এবার ফুটন্ত পানি কেটলিতে ঢালুন। কেটলির ঢাকনা লাগিয়ে দিন। 

৫. চা পাতাকে ভালোভাবে ভিজতে দিন। ৫ মিনিট ধরে ভেজান। ৫ মিনিট পরে লিকার কাপে ঢালুন। 

৬. এবার চায়ের সাথে আপানার পছন্দের সামগ্রি মিশাতে পারেন। মনে রাখবেন দুধ এবং চিনি চায়ের গুনাগুন নষ্ট করে দেয়। 

৭. চা কখনো পুনরায় গরম করে খাবেন না। 

চা পাতা

জেনে নিন – বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৭ টি চায়ের কথা। 

পানীয় হিসেবে চা কেই গ্রহন করুন। সব ধরনের দোকানে পাওয়া কোমল পানীয় বর্জন করুন। আপনার শরীর আপনাকেই সুস্থ রাখতে হবে। সুস্থ শরীর জীবন কে আনন্দময় করে। সেই বন্ধু বা নিকটজনকে পোস্টটি শেয়ার করুন যিনি বাজে পানীয় তে অভ্যস্ত। সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন। 

চা পাতা নির্দোষ পানীয় কিন্ত চীনা মদ 

মজার একটি সত্য ঘটনা। মার্শাল টিটো, জন্ম ১৮৯২ সালে। তিনি ছিলেন সাবেক যুগোস্লোভিয়ার প্রেসিডেন্ট। তখন সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া একসাথে ছিল। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী টিটো, সারা পৃথিবীতে তার নাম ছড়িয়েছেন। একশ দিন হয়ে গেল হাসপাতালের বেডে টিটো, ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দিয়েছেন।  জোসিপ ব্রোজ টিটো আর বাচবেন না। কিন্ত টিটো বেঁচে আছেন এবং প্রতিদিন রাষ্ট্রের রিপোর্ট গুলো পড়ছেন। ৯২ বছর বয়সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ছেন, কোন এলোমেলো কথা বলছেন না।     

পার্টি প্রেসিডিয়ামের ১৪ সদস্য পালা করে ২৪ ঘণ্টা তার পাশে থাকছেন।  তারা প্রত্যেকেই প্রতিদিন টিটোর সাথে ১০/১৫ মিনিট রাষ্ট্রীয় আলোচনা করছেন। সরকার ও পার্টির সব প্রশাসনিক যন্ত্রই উঠিয়ে আনা হয়েছে বেলগ্রেড থেকে স্লোভেনিয়ারঈই রাজধানীতে। হাসপাতালের পুরো আটতলা জুড়ে বসেছে প্রেসিডেন্টের ক্যাবিনেট। এখানে চা পাতা এবং চীন কিভাবে এল ? হ্যাঁ, এখন সেটাই বলছি। 

চা পাতা

চারপাশে তুমুল আলোচনা, টিটোর জীবনী শক্তির উৎস কি ? জানা গেল উনি মেল সিল্কওয়ার্ম টনিক চিউ খেতেন। যা চীনে তৈরি একধরনের মদ। বোতলের গায়ে লেবেলে লেখা আছে, এই চিউ অতি কৌশলের সাথে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান উপাদান হচ্ছে যৌন সঙ্গম করেনি এমন পুরুষ সিল্কওয়ার্ম। এই রেশম পোকা গুলো শুধুমাত্র সুনটেক প্রদেশেই পাওয়া যায়। 

এই মদ খেতে হাল্কা এবং সুস্বাদু। এটা বংশ বৃদ্ধির অঙ্গকে খুবই শক্তিশালী করে। কিডনির উপকার করে, শুক্রাণু বাড়ায় দ্রুত গতিতে। হাড়ের মজ্জা বৃদ্ধি করে। স্নায়ুতন্ত্র, যৌন অক্ষমতা, স্বপ্নদোষ এবং হাঁটুর দুর্বলতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী ঔষধ রুপে কাজ করে। 

আসলে টিটো এটা খেতেন নাকি টিটোকে নিয়ে মুখরোচক আলোচনা। সত্য টা জানা যায় নি। তবে দুটো প্রশ্ন উঠেছিল এই মদ নিয়ে। ১. কিভাবে পুরুষ সিল্কওয়ার্ম কে চিন্হিত করা হয়। ২. এই পুরুষ সিল্কওয়ার্ম যে সঙ্গম করেনি সেটা মদের কোম্পানি বুঝল কিভাবে ?  

সেলিম হোসেন – তাং ১৮/০৭/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *