আদর্শ খাবার কিনোয়ার সাথে পরিচিত হোন
কিনোয়া একটি হেলদি খাবার। ওজন কমাতে চান ? সুস্থ থাকতে চান। খেতে পারেন কিনোয়া। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ভাত বা রুটির থেকে অনেক কম। তাই ইনসুলিন নিঃসরণ কম হয়।
প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকায় কিনোয়া থাকবে। কারন এতে আছে উচু মানের প্রোটিন। আছে প্রচুর ফাইবার। ভিটামিন মিনারেলস তো আছেই। এক বাটি কিনোয়ার মধ্যে ন’ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। একারনে এটি সুপার ফুড। পুষ্টি গুন ঠিক রাখতে রান্না করতে হবে সঠিক ভাবে।
জেনে নিন – সহজে ওজন কমানোর প্রথম ধাপ
খাবারের পিক
কেনার সময় খেয়াল করুন।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের কিনোয়া পাওয়া যায়। সাদা, লাল ও কালো—এই তিন ধরনের কিনোয়ার মধ্যে কোনটি খেতে চান, সেটি কিনুন। সাদা কিনোয়া সহজেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। তবে, গুণগত মানের দিক দিয়ে লাল ও কালো কিনোয়া এগিয়ে রয়েছে। আবার মাল্টি কালার কিনোয়াও কিনতে পাবেন।
জেনে নিন – সহজে ওজন কমানোর দ্বিতীয় ধাপ
ওজন কমানোর খাবার কিনোয়া।
যেভাবে রান্না করবেন।
কিনোয়া ভাল করে ধুয়ে নিন। কিনোয়ার মধ্যে স্যাপোনিন নামের একটি যৌগ রয়েছে। এটি আপনার কিনোয়ার স্বাদ তেতো করে দিতে পারে। প্রয়োজনে কিনোয়া কিছুক্ষণ পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পুনরায় ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
এক কাপ কিনোয়াতে দুই কাপ পানি দিন। সিদ্ধ করার ক্ষেত্রে পানি ও কিনোয়ার অনুপাত বজায় রাখা দরকার। এতে কিনোয়া ভাল করে সিদ্ধ হবে।
প্রথমে উচ্চ আঁচে রাখুন, পানি ফুটলে ধীরে-ধীরে আঁচ কমিয়ে দিন। তারপর কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। এতে ১৫ মিনিটেই ভাল করে সিদ্ধ হয়ে যাবে। তবে, খেয়াল রাখুন যাতে খুব বেশি সিদ্ধ না হয়ে যায়।
এটি সিদ্ধ হতে প্রায় ১৫ মিনিট মতো সময় নেয়। কিনোয়া সিদ্ধ করে স্যালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। সিদ্ধ কিনোয়ার সঙ্গে তাজা শাকসবজি, চিকেন ইত্যাদি যোগ করে খেতে পারেন। কিন্তু গরম অবস্থায় কিনোয়াতে কোনও উপকরণ মেশাবেন না।
জেনে নিন – ওজন কমিয়ে সুস্থ থাকার উপায়
সিদ্ধ হওয়ার পর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এতে কিনোয়ার ময়েশ্চার ঠিক থাকবে। ঘরের তাপমাত্রায় আসার পর বাকি উপকরণ মিশালে এর স্বাদ বাড়বে। এখন পুরোপুরি তৈরি আপনার জন্য হেলদি খাবার।
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.