অভ্যাস – ভালো এবং মন্দ।
দুটো বিষয় আছে। ভালো কোন বিষয়ে অভ্যাস্ত হলে সেটাকে স্বাভাবিক মনে হয়। আমরা নিয়মিত সেটা করতে থাকি। খারাপ কোন বিষয়ের ক্ষেত্রেও একই অনুভুতি। যিনি নিয়মিত ফজরের নামাজ জামাতে পড়েন, তার কাছে ভোর হওয়ার আগেই ঘুম থেকে উঠে পরা খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্ত যিনি সূর্য গরম হলে বিছানা ছাড়েন ? তার অবস্থা কি ?
মানুষ অভ্যাসের দাস
ঘুম থেকে দেরিতে উঠা ব্যাক্তি মনে করেন সকালের ঘুম সেরা ঘুম। পিৎজা, বার্গার, কেক ড্রিংক সমঝদার মনে করে এগুলোই অভিজাত খাবার। চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের সমঝদার, মিষ্টি খান নেশার মত। অথচ এসবে আমাদের কে অসুস্থ করে তোলে। সময় নষ্ট করে। কর্ম ক্ষেত্রে বিঘ্ন তৈরি করে।
ভালো থাকবেন কিভাবে ? জেনে নিন মন ভালো করার বিভিন্ন উপায়।
যারা মসজিদে জামাতে নামাজ পড়েন। তারা একটা বিষয় খেয়াল করেছেন ? করোনা পূর্ব সময়ে মুসল্লি নামাজে দাঁড়াত কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে। এটাই সুন্নাহ সম্মত। করোনা কালীন সময়ে শুরু হয় তিন ফিট দূরে দূরে দাঁড়ানো। ধীরে ধীরে করোনা ভীতি দূর হয়। মুসুল্লিগন পাশাপাশি দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্ত পরস্পরের মাঝে ফাঁক রেখে। এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানোতে মুসল্লি অস্বস্তি বোধ করেন। অযাচিত একটি খারাপ অভ্যাসে মুসুল্লি আক্রান্ত।
পড়ুন – লেখাটা পরলে এখন থেকে নিয়মিত পান্তা ভাত খাবেন।
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস
একবেলার খাবারে শুধুই সালাদ খান। হতে পারে এটা রাতে, দুপুরে বা সকালে। সালাদ বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা যায়। খেতেও সুস্বাদু হয়। সুবিধাজনক সময় বেছে নিন। একটানা ৪০ দিন এটা করুন। সালাদের স্বাদে জিহ্বা অভ্যস্ত হবে।নিজের শরীরে একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। ভালোলাগার আমেজ অনুভব করবেন। এই ভালোলাগাই আপানাকে হেলদি লাইফ স্টাইলে নিয়মিত করে তুলবে।
খারাপ অভ্যাস
গ্রামের মেয়ে রোজিনা। ভোরের শিশির পায়ে মেখে হাঁটাহাঁটি করে। কৈশোরের চঞ্চলতায় পরন্ত বিকেলে গম ক্ষেতের আইল দিয়ে দৌড়ায়। হলুদ রঙের ফুলে ভরা সরিষা ক্ষেত দেখে মুগ্ধ হয়। বুক ভরে সরিষা ফুলের গন্ধ নেয়। রোজিনা দেখতে বেশ মিষ্টি চেহারার। কালো চোখ, উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণ গায়ের রঙ। আর বছর দুয়েক পরেই কিশোরীর দেহে যৌবন ফুটে উঠবে।
রোজিনা এখন কিশোরী থেকে তরুণীতে পরিনত হয়েছে। হাতের আঙুল গুলো ভরাট হয়েছে। শরীরের বাক গুলো এখন পুরোপুরি স্পষ্ট। যখন পুকুরে গোসল করে, তখন পুকুর পাড়ের ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে কামুক পুরুষের কেউ কেউ সেই দৃশ্য দেখে। মুরুব্বীদের হাতে ধরাও পরেছে দু একজন। গ্রামের যুবকেরা বাড়ির আশপাশে ঘুরাঘুরি বাড়িয়ে দিয়েছে। বাড়ির বাইরে বের হলে মা তাকে চোখে চোখে রাখে। সাবধান করে ” কারও ফুসলানিতে নির্জন জায়গায় যাবি না। মাথা নেড়ে সায় দেয় রোজিনা।” পুরনো দিনের গল্প বলছি। যখন দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রন উপাদান সহজলভ্য হয়নি।
স্ত্রীকে খুশি রাখা খুব জরুরী। কিভাবে তাকে খুশি রাখবেন, জেনে নিন।
সবার কপালের নিচের ন্যাচারাল দুই সিসি ক্যামেরা ছিল রোজিনার উপর। তাই খবর টি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোজিনা বমি শুরু করেছে, খেতে পারছেনা। মুরুব্বিরা বুঝে ফেলেন কি হয়েছে ? বাচ্চা এসেছে মেয়েটির পেটে। গ্রামের বদনাম হয়ে যাবে! মেয়েকে তো বিয়ে দিতে হবে। গ্রাম্য সালিশ বসল। বেশিরভাগ মানুষ রোজিনার প্রতি সদয় হল। মাতবর মুরুব্বি বললেন ‘ মা, তোমাকে ক্ষমা করা হল। তুমি আর এরকম ভুল করোনা। রোজিনার বাবা মাকে পরামর্শ দেয়া হল ” মেয়েকে দ্রুত বিয়ে দিতে।”
গৌড়, কবিরাজ কে খবর দেয়া হল। গর্ভপাত করাতে। কবিরাজ ঔষধ দিলেন। যথা সময়ে গর্ভপাত হয়ে গেল। রোজিনার বাবা, মা বিয়ের তোরজোড় শুরু করলেন। কিন্ত পাত্রপক্ষ গর্ভপাতের কথা জেনেই পালিয়ে যায়। সময় পাঁচ ছয় মাস পরে আবার কানাঘুষা শুরু হল। রোজিনা আবার গর্ভবতী।
বিচার বসল, রোজিনা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। নানান জন নানা কথা বলছে। মেয়ে ভালো না,মাথার চুল গুলো ন্যাড়া করে দাও। গ্রাম থেকে বের করে দাও। মাতবর মুরুব্বী অভিজ্ঞ মানুষ। তিনি বললেন ‘ মা দেখ, তুমি একই ভুল আবারও করেছ। তোমাকে নিয়ে গ্রামবাসী বিপদে আছে। বদনাম হয়ে যাচ্ছে গ্রামের। এখন কি করি ? ‘ চাচা আমাকে এবারের মত মাফ করে দিন, আর এমন হবে না। মাথা তুলে বলল রোজিনা।
স্বামী স্ত্রীর একান্ত সময় কিভাবে বাড়াবেন, মধুর করে তুলবেন, জেনে নিন উপায়।
গৌড়, কবিরাজকে ডাকা হল। গর্ভপাত হয়ে গেল। সমস্যা দেখা দিল মাস চারেক পর। আবার একই কাহিনী। রোজিনা গর্ভবতী। সালিশ বসল, উত্তেজিত জনতা। সবাই কথা বলছে, শুধু চেঁচামেচির শব্দ। কারও কথা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। চেচিয়ে উঠলেন, মাতব্বর চুপকর সবাই। নীরবতা নেমে এল সালিশ বৈঠকে। মাতব্বর রাগান্বিত স্বরে রোজিনা কে বললেন ” তোমার সমস্যা টা কি ? বার বার একই ঘটনা ঘটাচ্ছ ? ”
রোজিনা বলল, চাচা আমার অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। অভ্যাসবশত আমি কাজ টা করে ফেলি।
একা একা তো এটা করা যায় না ? তাই না? তোমার সাথে আর কার অভ্যাস খারাপ হয়েছে শুনি, তিরস্কারের স্বরে বললেন মাতব্বর। আপনার ছোট ছেলে, খালেকের, বলল রোজিনা।
সেলিম হোসেন – ০২/০৬/২০২৪০ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী।
Information source : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.