এসি রুমে ঘুম। কেন ভয়ের স্বপ্ন দেখেন। কি ঘটে মন এবং শরীরে। 1. A nightmare in an air-conditioned room

এসি রুমে ঘুম
এসি রুমে ঘুম

হাল্কা একটি কাঁথা। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাস। কি আরাম ! হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। গলা শুকিয়ে যায়। আসুন জেনে নেই কেন এমন হয়।

বিজ্ঞানের উন্নতিতে আমরা মানব দেহ নিয়ে নতুন নতুন অনেক কিছু জানতে পারছি।
মানব দেহ সবচেয়ে স্মার্ট একটি কর্মক্ষেত্র। মন এবং শরীর দারুনভাবে সম্পর্কিত। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের মস্তিস্ক সচল থাকে।
এসি রুমে
ঘুমানোর সময় আমাদের শারীরিক কোন অসুবিধা কে মস্তিষ্ক নিজেই দূর করে ।
যেমন ধরুন আমারা যখন এসি রুমে ঘুমাই এবং রুম যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা হয়ে যায়, তখন আমাদের শরীরও স্বাভাবিক তাপমাত্রার নিচে চলে যায়। কিন্তু তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নেমে যাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। বিষয় টা মস্তিষ্ক বুঝতে পেরে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
মস্তিষ্ক তখন আমাদের ভয়ের সপ্ন দেখায়। ভয়ের সপ্ন দেখলে আমাদের শরীর তাপ উৎপন্ন করে। নতুন করে উৎপন্ন হওয়া তাপে আমাদের শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরে আসে। আমরা স্বাভাবিক থাকি, ভালো থাকি। এভাবেই ব্রেইন আমাদের কে সুস্থ রাখে।

কি দারুন স্মার্টনেস, তাই না !! 

পড়ুন – এসি রুমের মাপ অর্থাৎ কত বর্গ ফুট রুমে কত টন এসি।

এসি রুমে
এসি রুমে ঘুম

ঘুমানোর সময় তাই অযথা ভয় নয়। আমাদের ব্রেইন আমাদের পক্ষে কাজ করবে।

এসি একটানা কত ঘন্টা চালানো যায়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসি দিনে ১০ থেকে ১৪ ঘন্টা একটানা চালানো যেতে পারে। এর বেশি সময় একটানা এসি চালানো কখনই উচিত নয়।
এসির কয়েল কতবার পরিষ্কার করা উচিত 
যদি ঢাকা শহরে থাকেন তাহলে বছরে ২ বার পরিস্কার করবেন। কারন এখানে বায়ু দূষণ বেশি। ঢাকার বাইরে থাকলে বছরে একবার পরিস্কার করবেন।
এসি রুমে
দীর্ঘ সময় এসি রুমে 

গরমের দিনে এখন আমাদের এসি ছাড়া চলেই না। বাসা অফিস গাড়ী সব মিলিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় এসিতে থাকি। রাত দিন সব মিলিয়ে আমরা প্রায় ২০ ঘণ্টা এসিতে কাটাই। এটা শরীরের জন্য খুবই খারাপ। অধিকাংশ সময় এসিতে থাকলে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।

১. একটা জিনিস আমরা লক্ষ্য করেছি বেশি সময় এসিতে থাকলে ত্বক তার আর্দ্রতা হারিয়ে শুকিয়ে যায়। ফলে ত্বক বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।

২. দিনের বেশিরভাগ সময় এসিতে কাটালে শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর যারা শ্বাসতন্ত্রের রোগী তাদের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

৩. দীর্ঘ সময় এসিতে কাটানো ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগার অন্যতম কারন। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকেন, তারা মাথাব্যথা ও অবসাদে বেশি ভোগেন।

৪. অধিকাংশ সময় এসিতে থাকার কারণে চোখের সমস্যা হতে পারে। আর যারা চোখে লেন্স ব্যবহার করেন, তারাও সমস্যায় ভুগতে পারেন।

৫. দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে অ্যালার্জির সমস্যাও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

৬. এসব ছাড়াও এসি বেশ কিছু রোগের প্রকোপকে বাড়িয়ে দেয়। যেমন— ব্লাডপ্রেসার, আর্থাইটিসসহ বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর সমস্যা ইত্যাদি।

এই আধুনিক জীবনে মোবাইল ছাড়া ১৩৪ দিন কিভাবে কাটল, কি অনুভুতি, জানলে অবাক হবেন। 

এসি রুমে

এসি কিভাবে পুরোপুরি সচল রাখবেন 

কী করবেন

১. এসি নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। শুধু বাইরে থেকে নয়, মেকানিক ডেকে সার্ভিসিং করাতে হবে। যাতে এসিতে কোন ত্রুটি না থাকে।

২. অনেকেই রুম বেশ ঠাণ্ডা করে রাখেন। ভুল একেবারেই ভুল। রুমের তাপমাত্রা ২১-২৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন।

৩. ঠাণ্ডার মৌসুমে এসি ব্যবহার না করাই ভালো।

৪. ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে সরিষার তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৫. মাঝে মাঝে মুখ, হাত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর প্রয়োজনে চাদর ব্যবহার করতে পারেন।

সেলিম হোসেন – তাং – ১০/০২/২০২৪ ইং – ছবি গুলো পেক্সেল থেকে নেয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *