২ লাখ টাকা আয় করুন প্রতিমাসে
রোজগারের জন্য তরুন তরুণীরা দারুন চিন্তিত। মাসে ২ লাখ টাকা আয় অনেকেরই কাম্য। কিন্ত অনেকেই ভুল পথে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব। যেমন – ডেস্টিনি, ইভ্যালি রাসেল ভাই, শেয়ার মার্কেট ইত্যাদি। একেবারে হতাশ হয়ে পড়েছেন। টাকা রোজগারের জন্য হতাশার কিছু নাই। টাকা রোজগার করতে কি লাগে ? আজীবন এই কথাটা মনে রাখবেন, তাহলে কখনো রোজগার নিয়ে ভাবতে হবে না। ১. জ্ঞ্যান, ২. যে বিষয়ের জ্ঞ্যান ওই বিষয়ের উপর কাজে দক্ষতা, ৩. কমিটমেন্ট অর্থাৎ কেউ আপনাকে ওই কাজের দায়িত্ব দিলে তা যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করা।
আমি এক মাসে ২ লাখ টাকা আয় করার আইডিয়া আপনাদের দিব। ছোট একটি হোটেল করবেন। ঢাকা শহরে এমন হোটেল অনেক গুলো করা যাবে। জেলা শহর গুলোতে একটি হোটেল চলবেই। যথেষ্ট পরিমান জ্ঞ্যান অর্জন করুন হেলদি খাবারের উপর। প্রথমে বাসায় খাবার গুলো তৈরি করে পরিবারের সবাই খান। হেলদি খাবারের ব্যাপারে অভিজ্ঞ হয়ে উঠুন। এরপর ধীরে ধীরে হোটেল শুরুর কাজে নেমে পড়ুন। আমেরিকা ইউরোপে এমন ন্যাচারাল, হেলদি খাবারের হোটেল অনেক দেখা যায়। এই ধরনের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট দারুন ভাবে বেড়ে চলেছে।
জীবনে সফল হতে হলে সফল ব্যাক্তিদের জীবনী আপনাকে অনুপ্রেরনা যোগাবে। যেমন আব্রাহাম লিঙ্কন।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ডিজিজ, পেটে গ্যাস, বদ হজম নানান সমস্যা। এরকম সমস্যাযুক্ত মানুষে ভর্তি আমাদের চার পাশ। সমস্যা নিয়েই কাজের প্রয়োজনে আমাদের কে ছুটতে হয়। বাসার বাইরে দিনের অধিকাংশ সময় কাটাতে হয়। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার যেটাই করতে চান, স্বাস্থ্যকর ন্যাচারাল খাবারের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নেই। ক্ষিদে পেলে বাসার বাইরে হোটেল খুজে আমরা হয়রান হয়ে যাই। কিন্ত শেষমেশ অসাস্থ্যকর খাবারেই পেট ভরতে হয়।
সাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা বেড়েছে। অসুস্থ মানুষতো বটেই, সাস্থ্য সচেতন মানুষও বাসার বাইরে ভালো খাবার টা খেতে চান। এই সচেতনতা টা মানুষের মাঝে জাগিয়েছেন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির। তার লাইভ ভিডিও গুলো বেশ বড় হয়। বড় ভিডিও সত্ত্বেও লাইভ গুলো বেশ দর্শক প্রিয়তা পাচ্ছে। অনেক ভিউ হচ্ছে। বলতে পারি হেলদি লাইফ স্টাইলের ব্যাপ্তি বেড়েছে পূর্বের থেকে অনেক অনেক বেশি।
মানুষের এই সাস্থ্যকর খাবারের চাহিদাটাই ছোট্ট হোটেল থেকে – মাসে ২ লাখ টাকা আয় করার সুযোগ এনে দিয়েছে। কিভাবে মাসে ২ লাখ টাকা আয় করবেন ? আমরা সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। বেকারত্ব দূর করতে পারবেন সেই সাথে নিজে এবং পরিবারের লোক সুস্থ থাকতে পারবেন।
সফলতার পথে বাধা কিভাবে এড়িয়ে চলতে হয়, শেখালেন নাদির শাহ্।
২ লাখ টাকা আয় প্রথম কাজ
প্রথম কাজ রেস্টুরেন্টের একটি সুন্দর নাম। তাড়াহুড়ো করবেন না, ধীরে সুস্থে ভেবে চিন্তে সাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত নাম নির্বাচন করুন। ফেসবুকে হোটেলের নামে একটি পেজ খুলুন। পেজের ডিজাইনটা আকর্ষণীয় হতে হবে। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও পেজ বা একাউনট খুলবেন। যেমন – ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটস এপ, টেলিগ্রাম, ইউটিউব। এরপর পেজে খাবারের ছবি, ভিডিও আপলোড করুন নিয়মিত।
ধীরে ধীরে আপনার হোটেলের নাম পরিচিতি পাবে। এরই মাঝে জায়গা খুজতে থাকুন। জায়গাটি মেইন রোডের পাশে হওয়ার দরকার নেই। এক লেন ভিতর দিকে নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে এডভান্স কম লাগবে, ভাড়া কম পড়বে। খুব বেশি বড় জায়গা লাগবে না। একসাথে বিশজন বসতে এমন রুম নির্বাচন করতে হবে। আবার কেউ চাইলে বড় ফুড কার্টেও এমন হোটেল চালাতে পারেন।
সাধারণত খাবারের দোকানে বিভিন্ন রকম ছবি লাগানো হয়। আপনি কিছুটা ভিন্ন ছবি দিয়ে সাজাবেন খাবারের ঘর এবং বিলবোর্ড। ছবিতে থাকবে খাবারের পাশাপাশি মানুষের ব্যায়ামের ছবি, দৌড়ানোর ছবি, জিম করার ছবি ইত্যাদি।
হু হু করে বাড়ছে কিডনি রোগী। পরিত্রানের উপায় কি ?
২ লাখ টাকা আয় করতে খাবার
যতদূর জানি, সাস্থ্যকর খাবারের হোটেল ঢাকা শহরে একটিও নেই। জেলা শহর গুলোতেও নেই। খাবার নির্বাচনটা হতে হবে সঠিক। ন্যাচারাল এবং সাস্থ্যকর। যেমন কোন সয়াবিন তেল খাবার তৈরিতে ব্যাবহার করা যাবেনা। খাঁটি সরিষার তেল ব্যাবহার করতে হবে। যেসব খাবারে ঘিয়ের প্রয়োজন সেখানে ঘি ব্যাবহার করতে হবে। আবার বুলেট কফি তৈরিতে কোল্ড প্রেস নারিকেল তেল লাগবেই।
অনেকেরই ধারনা আছে এই খাবার গুলো খেতে সুস্বাদু হয়না। ভুল, একবারেই ভুল ধারনা। স্বাদে অনেক মজার হতে পারে এই খাবার গুলো। শুধু প্রয়োজন সঠিকভাবে খাবারটি তৈরি করতে পারা। মাসে ২ লাখ টাকা আয় করতে খাবারের মান, স্বাদ এবং ক্রেতা হ্যাপিনেসের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
বাংলাদেশের প্রথম হেলদি খাবারের রেস্টুরেন্ট দেখুন ভিডিওতে।

খাবার গুলো দেখতে কেমন হবে, তার কিছু নমুনা দিলাম। আর মেনু কেমন হবে তারও কিছু ধারনা দিচ্ছি। বাকিটা আপনারা নিজেদের মত করে সাজাতে পারেন।
জেনে নিন – সালাদ এক বেলার পরিপূর্ণ খাবার।
সকালের মেনু হতে পারে
ভিনেগার লেবু পানি / বেকিং সোডা লেবু পানি / বুলেট কফি / সালাদ বা ডিম পোঁচ।
দুপুরের মেনু হতে পারে
সালাদ / শাক বা সবজি / ডিম, মাছ বা মাংস / বাদাম/ ব্লক রাইস
সন্ধ্যার মেনু হতে পারে
সালাদ / শাক বা সবজি / ডিম, মাছ বা মাংস / বাদাম / সাউয়ার ক্রাউট / টক দই / কিমচি / ব্ল্যাক রাইস বা অন্য কিছু।
প্রতিদিন ২৪০ জন মানুষকে সেবা দিলে অথবা ২৪০ টি পার্সেল ডেলিভারি করলে গড়ে ৫০ টাকা লাভ থাকতে পারে জনপ্রতি। আপনারা খাবারের মেনু আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী অথবা ক্রেতার চাহিদামত সাজাতে পারেন।
অভ্যাস মানুষের দাস, কথাটা প্রবাদের মত। গল্পটি পড়ুন, অনেক মজা পাবেন।
তাহলে মোট মাসিক আয় দাঁড়াবে
২৪০ জন *৫০ টাকা = ১২০০০ টাকা
১২০০০*৩০= ৩৬০০০০ টাকা
ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারী অন্যান্য খরচ বাবদ সম্ভাব্য ব্যয় ১৬০০০০ টাকা।
নীট লাভ ২০০০০০ টাকা
শৈশবের কথা কি আপনার মনে পরে ? শৈশব বিখ্যাত লেখক খুসবন্ত সিং এর আবেগ আপনার চোখ ভিজিয়ে দিবে।
আমি এখানে খরচ বেশী করে দেখিয়েছি এবং লাভের পরিমান কম করে দেখিয়েছি। আশাকরি আপনারা খরচ কমাতে পারবেন এবং লাভ অনেক বেশী করতে পারবেন। অভিজ্ঞতা যত বাড়বে হোটেলের সেবা তত উন্নত হবে। আর সেবা উন্নত হলে, ক্রেতা বাড়তেই থাকবে। আর ২ লাখ টাকা লাভের কথা বলেছি, তা বেড়ে যেতে পারে বহুগুন। সবার জন্য শুভকামনা
সেলিম হোসেন – তাং ১২/০৫/২০২৩ ইং – কিছু ছবি পেক্সেলস থেকে নেয়া।