স্ত্রীর মন জয় করতে ৮ উপায়। স্ত্রী নিয়ে বিভিন্ন দেশের রসঘন অনুভুতি। 8 ways to win your wife’s heart. Wise people have strong feelings about their wives.

স্ত্রীর মন জয় করতে

স্ত্রীর মন জয় করতে ৮ উপায়

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক টা একটি পবিত্র সম্পর্ক। একে অপরের জন্য হালাল। আজীবন একসাথে পথ চলার বন্ধন। একজনের সাহায্য আরেকজনের লাগবেই। এই সম্পর্ক কে যত্ন নিতে প্রতিনিয়ত। যেমন ধরুন – গাছ থেকে একটি পাকা আম পারলেন। এটি খেতে চাইলে ধুয়ে পরিস্কার করতে হয়। তারপর কাটতে হয়, এরপর পরিবেশন। এটাই যত্ন, একেবারেই ছোট্ট উদাহরন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু গ্রুপ আছে পুরুষদের, কিছু নারীদের। এই সব গ্রুপে বিভিন্ন গল্প লেখা হয়, মন্তব্য করা হয়। যা একে অপরের বিরুদ্ধে নেতিবাচক। ক্ষেত্র বিশেষে বিদ্বেষপূর্ণ। যা একেবারেই কাম্য নয়। এই সম্পর্ক নিয়ে জ্ঞ্যানীরা কি বলেন। সেই বিষয় গুলো আমরা জানব। আরও জানব কিছু রসঘন মন্তব্য।

আপনার দাদা দাদীদের বিয়ে কিভাবে নির্ধারিত হয়েছিল জানেন। 

স্ত্রীর মন জয় করতে
স্ত্রীর মন জয় করতে

স্ত্রীর মন ভালো রাখার ৮ টি  সহজ উপায়  

১. মুড সুইং শব্দটা ব্যপকতা পেয়েছে সমাজে।  আপনার স্ত্রীর যদি ঘন ঘন মুড সুইং হয়,তবে তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন,স্ত্রীর মন বুঝার চেষ্টা করুন। তার মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে স্বামীর একটু খানি আন্তরিকতা।
২. সারাদিন বাসায় বসে থাকতে থাকতে তার হয়তো একঘেয়েমি লাগতে পারে।  তাই ছুটির দিন গুলোতে তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। কোথায় যাবেন, বউয়ের মতামত নিতে পারেন। দু’জন একান্ত সময় কাটাতে পারবেন। কেননা প্রিয়জনের সাথে সময় কাটালে মানুষের বিষন্নতা দূর হয়ে যায়।
৩. স্বামী স্ত্রীতে ঝগড়া, রাগ, অভিমান হওয়া সাভাবিক। বউ অভিমান করলে বাসায় ফেরার সময় তার পছন্দের জিনিস নিয়ে ফিরতে পারেন। গোলাপ আর চকলেট দেখে অন্তত সে আর রাগ করে থাকতে পারবে না।
৪. রোমান্টিকতা সব মেয়েরাই পছন্দ করে। রসিকতা সব মানুষই পছন্দ। বউয়ের সাথে খুনসুটি দুষ্টুমি করুন, রান্নার সময় চুপিচুপি পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে তাকে বিরক্ত করুন। সে উপভোগ করবে।
৫. নেচার সবাই পছন্দ করে। নেচারের সৌন্দর্য দেয় অন্যরকম ভালোলাগার অনুভুতি। ছাদে উঠে যান, বা বাইরে বের হন। জোছনা রাতে দুজন চাঁদ দেখতে পারেন একসাথে। চাঁদ দেখতে দেখতে অনেক গল্প হবে, কথা হবে। যার অনুভুতি থেকে যাবে দীর্ঘসময়। এই অনুভুতি সুখের পরশ নিয়ে আসবে। জীবনের ঝামেলা মোকাবেলা করা সহজ হবে।
স্ত্রীর মন জয় করতে
স্ত্রীর মন জয় করতে

স্ত্রীর মন নিয়ে আরও 

৬. স্ত্রী অসুস্থ হলে তাকে ওষুধ খাইয়ে দিন। কেননা অসুস্থ থাকলে কোনো কিছু ভালো লাগে না। ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলে যাওয়ারই সম্ভাবনা থাকে।তাই নিয়ম করে আপনিই সে ক’টা দিন তাকে ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিন কিংবা পাশে থাকলে নিজেই খাওয়ান।
৭. বিশেষ সময়ে মেয়েদের মনমেজাজ খারাপ থাকে। যেমন মাসিক চলাকালীন সময়ে। এ সময়ে পেট ব্যথা হয়, কারও কারও বেশি হয়। অন্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমন সময় স্ত্রীদের শারীরিক মানসিক সমর্থন খুব প্রয়োজন।  শত ব্যস্ততার পরেও তার ঘন ঘন খোঁজ নিন, খেঁয়াল রাখুন। অন্তত এই সময়গুলোতে বাজে ব্যবহার করবেন না। মাসিকের সময় ইন্টারকোর্স করবেন না। আপনাকে এই সময়গুলোতে হতে হবে সহনশীল। আন্তরিকতার সাথে তার সাথে মিশতে হবে। ঠিক কি করলে স্ত্রীর মন ভালো হবে,সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
৮. আমরা প্রতিদিনই ব্যস্ত থাকব। অনেক অনেক ঝামেলায় থাকব। এসব বিষয় একদমই স্ত্রীকে ছোঁবে না। তার সময় দিতে নির্ভেজাল, ভালবাসায় পূর্ণ। তবেই ভালবাসা ফেরত পাওয়া যাবে। সংসারে টাকার প্রয়োজন অনিবার্য। তাই বলে টাকার পাহাড়ে স্ত্রীকে শুইয়ে দিলেই তিনি ভালো থাকবেন না। শুধু টাকাতেই যদি বউয়েরা সুখী হত, তাহলে কোন টাকা ওয়ালার বউ পরকীয়া করত না। অন্যের সাথে ভেগে যেত না।
জীবন সঙ্গীর পিছনে শুধু টাকা ব্যয় করার চেয়ে সময় ব্যয় করাটা বেশি জরুরি। কেননা টাকা দিয়ে সৌখিন চাহিদা পূরণ করা যায়। তবে মনে পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে দাম্পত্য জীবন পার করা যায় না।
স্ত্রীর মন জয় করতে
স্ত্রীর মন জয় করতে

স্ত্রীর মন নিয়ে বিভিন্ন দেশের রসঘন গল্প  

দুটি গল্প শোনাব আপনাদের একটি ইংল্যান্ডের অন্যটি ভারতের।
প্রথমে ইংরেজদের টা শোনাই
এক ব্রিটিশ যুবক তার পাকিস্তানি বন্ধুর সাথে টেলিফোন আলাপে দুঃখ প্রকাশ করছিল। বলছিল ” চেষ্টা করছি, কিন্ত বিয়ে করতে পারছি না। কারন যে মেয়ে বন্ধুকেই বাড়িতে নিয়ে আসি, মা অপছন্দ করে বসেন।”
তাহলে এক কাজ করনা কেন, বন্ধুটি পরামর্শ দিল ” তোমার মায়ের চেহারা এবং আচরনের সাথে হুবুহু মিল রেখে একজন মেয়ে বন্ধুকে বাসায় নিয়ে এসো। নিশ্চয়ই মা পছন্দ করবেন। “
সেটাও করেছিলাম ” কিন্ত এক্ষেত্রে বাবা রাজি হননি। ব্রিটিশ যুবক বলল। “
স্ত্রীর মন জয় করতে
স্ত্রীর মন জয় করতে
স্ত্রীর মন নিয়ে এবার ভারতীয় গল্প 
মহারাষ্ট্রের এক ভদ্রলোক সকালে অফিসে যাচ্ছিলেন। স্ত্রী ব্রিফকেস এগিয়ে দিয়ে বললেন ” অফিস থেকে ফেরার পথে চারটা মোরগ নিয়ে এসো। আগামীকাল আমাদের বিয়ে বার্ষিকী, মোরগ পোলাও রান্না করব।”
ভদ্রলোক একগাল হেসে বললেন ” পাঁচ বছর পূর্বের আমাদের এক ভুলের জন্য চারটা মোরগের প্রাণনাশ করাটা কি সঙ্গত হবে ?
এ গল্প গুলো মজা করার জন্য বলা। আসলে জীবন একটাই, সুখে থাকতে হলে স্ত্রীর মনকে গুরুত্ব দিতেই হবে।
সেলিম হোসেন – ০৬/০৯/২০২৪ ইং

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *