স্ট্রেস কি
যখন স্নায়ু বা নার্ভ উত্তেজিত হয়। সব স্নায়ু উত্তেজিত হলে নিউরোট্রান্সমিটার ‘এড্রেনালিন’ স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেড়ে যায় রক্তচাপ, ঘুমে সমস্যা, কমে যায় ক্ষুধা এবং বুক ধড়ফড় করা অনুভূত হয়। সাধারন অর্থে এটাই স্ট্রেস।
পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার
এই সমস্যা জীবন ধ্বংস করে। কিভাবে করে ? তার একটি প্রমাণ আমরা দেখব। পরীক্ষামূলক প্রমাণ। পরীক্ষাটি চালিয়েছিলেন জগদ্বিখ্যাত ব্যাক্তি ইবনে সিনা। পশ্চিমে আভিসিনা নামে পরিচিত। জন্ম ৯৮০ , মৃত্যু ১০৩৭ সালে। আমরা সবাই মোটামুটি তাকে জানি।
তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের রচয়িতা। তার মধ্যে “কিতাবুশ শিফা” অন্যতম। যেটি একটি দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক বিশ্বকোষ। তার রচিত “কানুন ফিততিব” চিকিৎসা বিজ্ঞানে ১৬৫০ সাল পর্যন্ত পড়ানো হয়েছে।
স্ট্রেস কাকে বলে অনুধাবন করতে
দুটো নিরীহ ভেড়ার বাচ্চা নেন তিনি। বাচ্চা দুটোকে দুটি খাঁচায় রাখেন। ভেড়ার খাঁচার বিপরীতে রাখেন একটি নেকড়ে। আলাদা অন্য একটি খাঁচাতে। বাচ্চা দুটোকে এমনভাবে রাখা হয় । এতে একটি বাচ্চা নেকড়েকে দেখতে পায়। অপর টি দেখতে পায় না।
যে বাচ্চাটি নেকড়েকে দেখতে পায়। সেটি ভীত হয়, ম্যা ম্যা করে। ঘুম কমে যায়। ধীরে ধীরে খাওয়া বন্ধ করে। একমাসের মাথায় বাচ্চাটি মারা যায়। অন্যদিকে যেটি নেকড়েকে দেখতে পায় না। সেটি খাবার দাবার ঠিকমত খায়, ঘুমায়। এক মাসের মাথায় এ বাচ্চাটি হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠে।
আমরাও প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। ভেড়া যেমন নেকড়ে কে ভয় পায়, আমরা স্ট্রেস কে। এই সমস্যাকে যদি পাত্তা দেয়া হয় তাহলে আমাদের অবস্থা হবে, মরে যাওয়া ভেড়ার মত। আর ম্যানেজ করলে আমরা পাব সাস্থ্যকর সুন্দর জীবন। থাকব ফিট। কাজকর্ম করব আনন্দে।
জেনে নিন – এসিতে টনের মাপ কিভাবে হয়
স্ট্রেস হরমোন কমানোর উপায়
১. কর্টিসল হরমোন ক্ষরন কমাতে হবে। ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। অবশ্যই নিজের শারীরিক সক্ষমতা অনুযায়ী পরিমিত পরিমানে।
২. উইম হফের নিঃশ্বাসের ব্যায়াম খুবই কার্যকরী। যা প্রতিদিন করতে হবে।
৩. কর্টিসল ক্ষরন কমাতে মাছের তেল খেতে পারেন। খেতে পারেন মাছের ডিম। অবশ্যই নদী অথবা সামুদ্রিক মাছ।
৪. সর্বোপরি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ জীবন কে সহজ করে দিবে। নিয়মিত প্রার্থনা করতে হবে। ফোকাস থাকবে প্রতিদিন ধেয়ে আসা চ্যালেঞ্জের ইতিবাচক দিকে । নিজের একটুখানি চেষ্টায় সবরকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে।
৫. রম্য গল্প পড়ুন। এটা দারুন কাজে দেয়।
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস।
একবার তাকে জিজ্ঞেস করা হল বিবাহ এবং কৌমার্য ( বিয়ে না করা ) এ দুটোর মধ্যে কোন টি ভালো। একজন পুরুষের জন্য। সক্রেটিস বললেন ” যে পন্থাই অবলম্বন কর না কেন পরিণামে পস্তাতে হবে। ঐ যে আমাদের একটি প্রবাদ আছে ” বিয়ে হচ্ছে দিল্লিকা লাড্ডু। ” যে খায় সে পস্তায়, যে খায় না সেও পস্তায়।
সক্রেটিস পরে অবশ্য উপদেশ দিয়েছেন। যেভাবে হোক বিয়ে কর। যদি ভালো স্ত্রী পাও তাহলে তোমার লাভ। আর যদি মন্দ স্ত্রী পাও তাহলে দেশের লাভ। কারন এক্ষেত্রে তুমি দার্শনিক হবে।
সেলিম হোসেন – ১০/০৫/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী।
Reference : Dr Eric berg, Dr Mujibul Haque, Dr Jahangir Kabir, Dr Mujibur Rahman, Dr Mandell, Dr Jason Faung, Dr Sten Ekberg and many medical health journals.