সুখ কি
অনেক দিন আগের কথা। রাখাল যুবক। সুখী মানুষ কে জানতে বের হলেন ভ্রমনে। মরুভূমির অনেকটা পথ পাড়ি দিলেন। ছোট্ট একটা পাহাড়ের উপরে দুর্গ দেখতে পেলেন।
এটার কথাই বলেছিলেন একজন বৃদ্ধ। বলেছিলেন এখানে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি থাকেন। তিনি বলতে পারবেন যুবকের প্রশ্নের উত্তর।
রাখাল যুবক কি করলেন ? রাখাল যুবক দুর্গের গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন।
জ্ঞানী ব্যক্তি একজন ধনী ব্যবসায়ী। তার কাছে অনেকেই আসছেন, কথা বলছেন, চলে যাচ্ছেন।
জ্ঞানী ব্যক্তির নজর পড়লো রাখাল যুবকের উপর। কাছে ডাকলেন।
কি চাও তুমি?
আমি জানতে এসেছি সুখ কি? বললো রাখাল যুবক
এ বিষয়ে বলতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। আমার হাতে সময় নেই। তুমি বরং এক কাজ কর। ঘন্টা দুয়েক আমার এই দুর্গটা ঘুরে ফিরে দেখো। আর হ্যাঁ, ছোট চামচে দুই ফোঁটা তেল দিচ্ছি এটা যেন পড়ে না যায়। খেয়াল রাখবে।
রাখাল যুবক সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করলেন। চামচের তেলে দৃষ্টি নিবদ্ধ, যেন পড়ে না যায়। ঘন্টা দুয়েক পরে জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে দেখা করলেন।
জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন ” তুমি কি আমার খাবার ঘরের পারস্য থেকে আনা পেইন্টিং, স্যুভেনির গুলো দেখেছো ? মালির পরিশ্রমে ১০ বছর ধরে গড়ে ওঠা ফুলের বাগান গুলো দেখেছো?
না দেখিনি।
তাহলে আবার যাও সবকিছু ভালোভাবে দেখে আসো।
রাখাল যুবক সবকিছু ভালোভাবে দেখে আসলেন। মনে লোভা পাহাড় ,ফুলের বাগান, পেইন্টং ইত্যাদি। পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিলেন।
লোকটি বললেন তোমার চামচে তেল কই। তেল তো পড়ে গিয়েছে।
রাখাল যুবকের এতক্ষণে চামচের তেলের কথা খেয়াল হলো।
শোনো যুবক, সুখী হতে তোমার প্রতি আমার উপদেশ।
” প্রতিদিন পৃথিবীর রূপ সুধা উপভোগ করো। তোমার প্রতি অর্পিত দায়িত্ব এবং কাজ সঠিকভাবে পালন কর।”
মানুষের সুখ কোথায়
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা, সুখী হওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে অনেক অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া।
জনগণের বড় একটা অংশ চুরি-ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িত। এদের কাজ সিন্ডিকেটবাজি-বিদেশে টাকা পাচার ।
দেশের জনগণকে তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে ভালো থাকতে চায়। বাস্তবতা ভিন্ন। এভাবে অসৎপথে আয়ের মাধ্যমে তারা বিলাসবহুল জীবন কাটাতে পারে।
কিন্ত তাদের অধিকাংশই মানসিকভাবে চরম অশান্তিতে আছে।
সেলিম হোসেন – তাং ৩০/০৪/২০২৪ ইং – ছবি গুলো প্রতীকী।